ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়াইগ্রামে ভুয়া পশু চিকিৎসকের ইনজেকশনে ৪ শতাধিক হাঁসের মৃত্যু!

নাটোর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বড়াইগ্রামে ভুয়া পশু চিকিৎসকের ইনজেকশনে ৪ শতাধিক হাঁসের মৃত্যু!

নাটোরের বড়াইগ্রামে পশু চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে ৪ শতাধিক ডিমপাড়া হাঁস। রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত মৃত হাঁসের সংখ্যা ৪ শতাধিক হলেও ধারণা করা হচ্ছে ভুল ইনজেকশন প্রাপ্ত ওই খামারের ৭ শতাধিক হাঁসই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে শনিবার দিনব্যাপী ওই পশু চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম (২৯) ওই হাঁসগুলোকে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন পুশ করেন। রোববার সকালে খামার মালিক ফরজ আলী বাড়ির পাশের ওই খামারে গিয়ে দেখেন শত শত হাঁস মরে পড়ে আছে। এ সময় তিনি চিৎকার করে কান্না করতে থাকলে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসে। খামার মালিক ফরজ আলী উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পারকোল মৎস্যজীবি পাড়ার সোবাহান আলীর ছেলে। তার হাঁসের খামার বাড়ি সংলগ্ন বিলের পাশে।

ফরজ আলী জানান, হাঁসের রোগ ধরতে পারে নাই, তো চিকিৎসা কেন দিলো ওই ডাক্তার। আমি এখন সর্বশান্ত। সবগুলোই ডিম পাড়া হাঁস ছিলো। ৪’শ হাঁসের দাম কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা। আরও হাঁস মারা যাবে। আমি গরীব মানুষ। আমি এই ভুয়া ডাক্তারের বিচার চাই, ক্ষতিপূরণ চাই।
পশু চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম জানান, তার বাড়ি নওগাঁ জেলার ধামাইরহাটে। বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি এলাকায় একটি মুরগীর ফার্মে চাকুরী করার সুবাধে কিছু চিকিৎসা রপ্ত করেছেন তিনি । এ বিষয়ে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ঠাকুরগাঁও থেকে। সে বিভিন্ন এলাকায় টুকটাক হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তিনি আরও জানান, খামারে গিয়ে দেখেন হাঁসগুলোর প্লেগ ও কলেরা হয়েছে। তাই সে জেন্টামাইসিন ইনজেকশন পুশ করেন। এতে হাঁসগুলো এভাবে মারা যাবে বুঝতে পারেন নাই।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সাংবাদিকদের মাদ্যমে হাঁসের মৃত্যুর খবর জানতে পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এটি মর্মান্তিক একটি ঘটনা। ওই কথিত চিকিৎসক অবশ্যই একজন ভুয়া চিকিৎসক। উনি না জেনে, না বুঝে এ ধরনের চিকিৎসা দিতে পারেন না। তার এ কাজটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ভুক্তভোগী খামারী ক্ষতিপূরণ চেয়ে অভিযোগ দায়ের করলে নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বড়াইগ্রামে ভুয়া পশু চিকিৎসকের ইনজেকশনে ৪ শতাধিক হাঁসের মৃত্যু!

আপডেট সময় : ১২:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

বড়াইগ্রামে ভুয়া পশু চিকিৎসকের ইনজেকশনে ৪ শতাধিক হাঁসের মৃত্যু!

নাটোরের বড়াইগ্রামে পশু চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে ৪ শতাধিক ডিমপাড়া হাঁস। রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত মৃত হাঁসের সংখ্যা ৪ শতাধিক হলেও ধারণা করা হচ্ছে ভুল ইনজেকশন প্রাপ্ত ওই খামারের ৭ শতাধিক হাঁসই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে শনিবার দিনব্যাপী ওই পশু চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম (২৯) ওই হাঁসগুলোকে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন পুশ করেন। রোববার সকালে খামার মালিক ফরজ আলী বাড়ির পাশের ওই খামারে গিয়ে দেখেন শত শত হাঁস মরে পড়ে আছে। এ সময় তিনি চিৎকার করে কান্না করতে থাকলে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসে। খামার মালিক ফরজ আলী উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পারকোল মৎস্যজীবি পাড়ার সোবাহান আলীর ছেলে। তার হাঁসের খামার বাড়ি সংলগ্ন বিলের পাশে।

ফরজ আলী জানান, হাঁসের রোগ ধরতে পারে নাই, তো চিকিৎসা কেন দিলো ওই ডাক্তার। আমি এখন সর্বশান্ত। সবগুলোই ডিম পাড়া হাঁস ছিলো। ৪’শ হাঁসের দাম কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা। আরও হাঁস মারা যাবে। আমি গরীব মানুষ। আমি এই ভুয়া ডাক্তারের বিচার চাই, ক্ষতিপূরণ চাই।
পশু চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম জানান, তার বাড়ি নওগাঁ জেলার ধামাইরহাটে। বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি এলাকায় একটি মুরগীর ফার্মে চাকুরী করার সুবাধে কিছু চিকিৎসা রপ্ত করেছেন তিনি । এ বিষয়ে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ঠাকুরগাঁও থেকে। সে বিভিন্ন এলাকায় টুকটাক হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তিনি আরও জানান, খামারে গিয়ে দেখেন হাঁসগুলোর প্লেগ ও কলেরা হয়েছে। তাই সে জেন্টামাইসিন ইনজেকশন পুশ করেন। এতে হাঁসগুলো এভাবে মারা যাবে বুঝতে পারেন নাই।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সাংবাদিকদের মাদ্যমে হাঁসের মৃত্যুর খবর জানতে পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এটি মর্মান্তিক একটি ঘটনা। ওই কথিত চিকিৎসক অবশ্যই একজন ভুয়া চিকিৎসক। উনি না জেনে, না বুঝে এ ধরনের চিকিৎসা দিতে পারেন না। তার এ কাজটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ভুক্তভোগী খামারী ক্ষতিপূরণ চেয়ে অভিযোগ দায়ের করলে নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।