বড়াইগ্রামে আ’লীগ-বিএনপি’র কর্মীর সংঘর্ষ, আহত ৯, বাড়ি-ঘর ভাংচুর

- আপডেট সময় : ০১:৪৯:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে
বড়াইগ্রামে আ’লীগ-বিএনপি’র কর্মীর সংঘর্ষ, আহত ৯, বাড়ি-ঘর ভাংচুর
নাটোরের বড়াইগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। এ সময় ৪টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করার ঘটনাও ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের সৈয়দমোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভোরে দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়েছে। আহতরা হলেন, বিএনপি কর্মী হাবিবুর রহমান (৩৫), মাহফুজুর রহমান (২৪), জুয়েল রানা (৩২), আল আমিন আকাশ (২৬), আল আমিন (২০), রিয়াদ হাসান (১৭), আব্দুর রহিম (২৮) ও আওয়ামীলীগ কর্মী কসের উদ্দিন (৫৬), জিল্লুর রহমান (৩৮), ওসমান আলী (১৮)। আহতদের মধ্যে হাবিবুর রহমান ও মাহফুজুর রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার বৃ-কাছুটিয়া গ্রামের স্থানীয় বিএনপি নেতা সাইফুর রহমানের সাথে জোয়াড়ী গ্রামের স্থানীয় আ’লীগের নেতা দুলাল হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সুত্র ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কথাকাটি হয়। কথাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি, হাসুয়া, দা, কুড়াল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে আহত হয় কমপক্ষে ৯ জন।
বিএনপি নেতা সাইফুর রহমানের ভাতিজা ঈমান হোসেন জানান, আমাদের আম বাগানে দুলাল হোসেনের লোকজন প্রবেশ করে বাজে আড্ডা করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি চায়ের স্টলে রাজনৈতিক কথা বলা নিয়ে কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে দুলাল হোসেন তার লোকজন নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা করে। এতে তাদের পক্ষে ৬ জন আহত হয় এবং এ সময় তারা ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
আওয়ামীলীগ নেতা দুলাল হোসেন জানান, সাইফুর রহমানের ভাতিজা ঈমান হোসেন ও আব্দুর রহিমের সঙ্গে গাঁজা বিক্রির বিষয় নিয়ে জামাত আলীর ছেলে নাইম ও শহিদুলের ছেলে শিহাবের দ্বন্দ্ব হয়। এ সংক্রান্ত আট মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সাইফুর রহমান বিএনপি’র লোকজন নিয়ে এসে জামাত আলী ও শহিদুল ইসলামের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। পরে তারা আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমার ভাই কসের উদ্দিন বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে আমার ভাতিজারা একত্রিত হয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এই হামলায় আমাদের ৩ জন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।