ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেরপুর সরকারী মহিলা কলেজ ছাত্রী-শিক্ষকের অ/নৈ/তি/ক প্রেম রাজশাহীতে ছাত্রকে শাসন করায় স্কুলে সিসি ক্যামেরাসহ জিনিসপত্র ভাংচুর, শিক্ষককে লাঞ্ছিত গোদাগাড়ীতে ব্র্যাকের অগ্নি প্রকল্পের সার্ভিস ম্যাপিং শেয়ারিং সভা বাগাতিপাড়ায় সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু নাটোরে নিজের শিশু সন্তানকে আছড়ে হ/ত্যা করেছে পা-ষ-ণ্ড বাবা রাজশাহী হাসপাতালে একসঙ্গে পাঁচ পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা রাজশাহীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ হত্যার ঘটনায় মামলা ধামইরহাটে ইসলামী যুব কল্যাণ পরিষদ দূর্গাপুর শাখা কার্যালয় এর শুভ উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশ নাটোরে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের উপস্থিতিতেই শিক্ষার্থীদের দু’গ্রুপের হাতাহাতি, সমাবেশ মঞ্চ ভাংচুর রাজশাহী নগরীতে দৃষ্টিনন্দন ছয়টি ফুটওভার ব্রিজের উদ্বোধন

পুলিশের উপস্থিতিতে নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রত্যক্ষদর্শীরা এই অভিযোগ করেন। এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মধ্যরাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের নির্বাচনি অফিসে দুবৃত্তরা ভাঙচুর করে। আতাউর রহমান উল্লিখিত ইউনিয়নে মোটরসাইকেল মার্কায় নির্বাচন করছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তার নির্বাচনি অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙা অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। অফিসের সামনে ছেঁড়া পড়ে আছে মোটরসাইকেল প্রতীক সংবলিত নির্বাচনের পোস্টার। এই ঘটনায় ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আসমত আলী বলেন, রাতে আমি চৌধুরী হাটে চা খেতে আসি। তখন চৌধুরী হাট স্কুলে নৌকাপ্রার্থী নোবেলের নির্বাচনি জনসভা চলছিল। রাত একটু গভীর হলে একদল লোক মোটরসাইকেলের  অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও বাধা দেয়নি।

আতাউর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় চৌধুরী হাট স্কুলে বৈঠকের আয়োজন করে নৌকার প্রার্থী। সেখানে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল যোগে শত শত বহিরাগত মানুষ ভিড় করে। এক পর্যায়ে তারা আমার অফিসে ভাঙচুর করে। এ সময় আমার ৬ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়। আমরা উপস্থিত পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলাম কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

পুলিশের চার সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা এসআই ইসহাক এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনার সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। কারেন্ট ছিল না। ফলে ভাঙচুরের সময় আমরা বুঝতে পারিনি। তবে জানার সাথে সাথে সেখানে গিয়েছি। তখন কেউ ছিল না।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম বলেন, চৌধুরী হাটে যখন মিটিং চলছিল তখন পুলিশ ছিল। তবে তাদের উপস্থিতিতে ঘটনা ঘটেছে কিনা আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পুলিশের উপস্থিতিতে নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:০১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রত্যক্ষদর্শীরা এই অভিযোগ করেন। এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মধ্যরাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের নির্বাচনি অফিসে দুবৃত্তরা ভাঙচুর করে। আতাউর রহমান উল্লিখিত ইউনিয়নে মোটরসাইকেল মার্কায় নির্বাচন করছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তার নির্বাচনি অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙা অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। অফিসের সামনে ছেঁড়া পড়ে আছে মোটরসাইকেল প্রতীক সংবলিত নির্বাচনের পোস্টার। এই ঘটনায় ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আসমত আলী বলেন, রাতে আমি চৌধুরী হাটে চা খেতে আসি। তখন চৌধুরী হাট স্কুলে নৌকাপ্রার্থী নোবেলের নির্বাচনি জনসভা চলছিল। রাত একটু গভীর হলে একদল লোক মোটরসাইকেলের  অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও বাধা দেয়নি।

আতাউর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় চৌধুরী হাট স্কুলে বৈঠকের আয়োজন করে নৌকার প্রার্থী। সেখানে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল যোগে শত শত বহিরাগত মানুষ ভিড় করে। এক পর্যায়ে তারা আমার অফিসে ভাঙচুর করে। এ সময় আমার ৬ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়। আমরা উপস্থিত পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলাম কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

পুলিশের চার সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা এসআই ইসহাক এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনার সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। কারেন্ট ছিল না। ফলে ভাঙচুরের সময় আমরা বুঝতে পারিনি। তবে জানার সাথে সাথে সেখানে গিয়েছি। তখন কেউ ছিল না।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম বলেন, চৌধুরী হাটে যখন মিটিং চলছিল তখন পুলিশ ছিল। তবে তাদের উপস্থিতিতে ঘটনা ঘটেছে কিনা আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।