ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে পরিত্যক্ত বাসায় কলেজ ছাত্রকে আটকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা রাজশাহীতে চোর চক্রের নারীসহ চার সদস্য গ্রেপ্তার রাজশাহীর সাংবাদিক জামি রহমানের মৃত্যু শেরপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনের কারাদন্ড, সরঞ্জামাদি ধ্বংস রাজশাহী বিভাগে আমন সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্য মতবিনিময় সভা রাজশাহীতে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন বাগমারায় বাইগাঁছা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের মানববন্ধন বাগাতিপাড়ায় দীর্ঘ কর্মময় জীবন শেষে অবসরে গেলেন খোরশেদ পুলিশকে রাজনৈতিক দল নিরপেক্ষ সংস্থায় উন্নীত করতে কাজ করা হচ্ছে- আইজিপি নাটোরে ১৮ বাড়িতে অগ্নি সংযোগ মামলায় দুলুসহ ৯৪ আসামী খালাস

পুলিশের উপস্থিতিতে নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১১৩ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রত্যক্ষদর্শীরা এই অভিযোগ করেন। এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মধ্যরাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের নির্বাচনি অফিসে দুবৃত্তরা ভাঙচুর করে। আতাউর রহমান উল্লিখিত ইউনিয়নে মোটরসাইকেল মার্কায় নির্বাচন করছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তার নির্বাচনি অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙা অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। অফিসের সামনে ছেঁড়া পড়ে আছে মোটরসাইকেল প্রতীক সংবলিত নির্বাচনের পোস্টার। এই ঘটনায় ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আসমত আলী বলেন, রাতে আমি চৌধুরী হাটে চা খেতে আসি। তখন চৌধুরী হাট স্কুলে নৌকাপ্রার্থী নোবেলের নির্বাচনি জনসভা চলছিল। রাত একটু গভীর হলে একদল লোক মোটরসাইকেলের  অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও বাধা দেয়নি।

আতাউর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় চৌধুরী হাট স্কুলে বৈঠকের আয়োজন করে নৌকার প্রার্থী। সেখানে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল যোগে শত শত বহিরাগত মানুষ ভিড় করে। এক পর্যায়ে তারা আমার অফিসে ভাঙচুর করে। এ সময় আমার ৬ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়। আমরা উপস্থিত পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলাম কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

পুলিশের চার সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা এসআই ইসহাক এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনার সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। কারেন্ট ছিল না। ফলে ভাঙচুরের সময় আমরা বুঝতে পারিনি। তবে জানার সাথে সাথে সেখানে গিয়েছি। তখন কেউ ছিল না।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম বলেন, চৌধুরী হাটে যখন মিটিং চলছিল তখন পুলিশ ছিল। তবে তাদের উপস্থিতিতে ঘটনা ঘটেছে কিনা আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পুলিশের উপস্থিতিতে নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:০১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রত্যক্ষদর্শীরা এই অভিযোগ করেন। এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মধ্যরাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের নির্বাচনি অফিসে দুবৃত্তরা ভাঙচুর করে। আতাউর রহমান উল্লিখিত ইউনিয়নে মোটরসাইকেল মার্কায় নির্বাচন করছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তার নির্বাচনি অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙা অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। অফিসের সামনে ছেঁড়া পড়ে আছে মোটরসাইকেল প্রতীক সংবলিত নির্বাচনের পোস্টার। এই ঘটনায় ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আসমত আলী বলেন, রাতে আমি চৌধুরী হাটে চা খেতে আসি। তখন চৌধুরী হাট স্কুলে নৌকাপ্রার্থী নোবেলের নির্বাচনি জনসভা চলছিল। রাত একটু গভীর হলে একদল লোক মোটরসাইকেলের  অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও বাধা দেয়নি।

আতাউর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় চৌধুরী হাট স্কুলে বৈঠকের আয়োজন করে নৌকার প্রার্থী। সেখানে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল যোগে শত শত বহিরাগত মানুষ ভিড় করে। এক পর্যায়ে তারা আমার অফিসে ভাঙচুর করে। এ সময় আমার ৬ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়। আমরা উপস্থিত পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলাম কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

পুলিশের চার সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা এসআই ইসহাক এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনার সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। কারেন্ট ছিল না। ফলে ভাঙচুরের সময় আমরা বুঝতে পারিনি। তবে জানার সাথে সাথে সেখানে গিয়েছি। তখন কেউ ছিল না।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম বলেন, চৌধুরী হাটে যখন মিটিং চলছিল তখন পুলিশ ছিল। তবে তাদের উপস্থিতিতে ঘটনা ঘটেছে কিনা আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।