ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রির উদ্বোধন মোহনপুরে ফিড মিলে বিস্ফোরণ, আহত ৪ বাগাতিপাড়ায় পূজামন্ডপ পরিদর্শণ করলেন জামায়াত নেতারা আরও ৫দিনের রিমান্ডে আ.লীগ নেতা ডাবলু; বিক্ষুব্ধ জনতার ডিম, ইট ও কাদা নিক্ষেপ নাটোরে স্ত্রী-সন্তানদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে রায়পুরায় পূজামণ্ডপে ভাঙচুর নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নাটোরে পূজা মন্দির পরিদর্শনে ভারতী সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটি’ নামে সর্বদলীয় ঐক্যের আত্মপ্রকাশ গুরুদাসপুরে বেতন ভাতা আটকে রাখার অভিযোগ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে! বাগাতিপাড়ায় নর্দমায় পড়ে প্রাণ গেলো শিশু ছামাদের

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওবাসী, এলাকায় আনন্দ উল্লাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওবাসী, এলাকায় আনন্দ উল্লাস

আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওবাসী, এলাকায় আনন্দ উল্লাস। বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ওই এলাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সেটি করা হবে। এ লক্ষ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এখন খবর শোনার পর ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানি স্ট্যাটাস দিতে লক্ষ্য করা গেছে। সাধারন মানুষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন দ্রুত বাস্তবায়নেরর দাবিও জানিয়েছেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে  ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য আইনের মতো এখানে ৫৬টি ধারা হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রপতি আচার্য হবেন। তিনি স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের মেয়াদে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। দুই জন থাকবেন উপ-উপাচার্য, একজন থাকবেন ট্রেজারার। এখানে একটি তহবিল থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়েও রেজিস্ট্রার অফিস থাকবে। খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও শিক্ষাক্রম পরিচালনার জন্য বিধি-প্রবিধি করে নিতে পারবেন। বিধি ও প্রবিধিতে সবকিছু ডিফাইন করা হবে।

শিক্ষাবিদ মনতোষ কুমার দে বলেন, উত্তরাঞ্চলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা খুবই কম৷ আমাদের জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সচেতন হবে। পাশাপাশি যে এলাকাজুড়ে প্রতিষ্ঠানটি হবে সে এলাকার মানুষগুলোর জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হবে।বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে যাতায়াত ব্যবস্থা বাড়বে পাশাপাশি  অর্থনৈতিক ভাবে এ জেলা সমৃদ্ধ হবে৷ যত দ্রুত সম্ভব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টির কাজ শুরু হওয়া দরকার।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ খুব জরুরি। আজকে অনুমোদন হয়েছে দেখলাম৷ তবে বিস্তারিত এ বিষয়ে পরে বলতে পারব। আশা করছি জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে বিভিন্ন পাশ দিয়ে জেলার জীবনযাত্রার মান বাড়বে।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী। তিনি জনগনের জন্য কাজ করে থাকেন৷ সেই প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৯ শে মার্চ জননেত্রী শেখা হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ে এসে অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দেন। তার মধ্যে  তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দেন। আজকে তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। আমরা ঠাকুরগাঁওবাসী অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করছি আমাদের জেলার ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে এবং উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন হবে৷ পাশাপাশি  জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।

জেলা শহরের কোথায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বিমানবন্দর এলাকার উত্তরে  মুক্তা মেলার পাশে স্থাপন করা হবে৷

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওবাসী, এলাকায় আনন্দ উল্লাস

আপডেট সময় : ০৫:২৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওবাসী, এলাকায় আনন্দ উল্লাস

আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওবাসী, এলাকায় আনন্দ উল্লাস। বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ওই এলাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সেটি করা হবে। এ লক্ষ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এখন খবর শোনার পর ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানি স্ট্যাটাস দিতে লক্ষ্য করা গেছে। সাধারন মানুষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন দ্রুত বাস্তবায়নেরর দাবিও জানিয়েছেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে  ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য আইনের মতো এখানে ৫৬টি ধারা হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রপতি আচার্য হবেন। তিনি স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের মেয়াদে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। দুই জন থাকবেন উপ-উপাচার্য, একজন থাকবেন ট্রেজারার। এখানে একটি তহবিল থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়েও রেজিস্ট্রার অফিস থাকবে। খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও শিক্ষাক্রম পরিচালনার জন্য বিধি-প্রবিধি করে নিতে পারবেন। বিধি ও প্রবিধিতে সবকিছু ডিফাইন করা হবে।

শিক্ষাবিদ মনতোষ কুমার দে বলেন, উত্তরাঞ্চলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা খুবই কম৷ আমাদের জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সচেতন হবে। পাশাপাশি যে এলাকাজুড়ে প্রতিষ্ঠানটি হবে সে এলাকার মানুষগুলোর জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হবে।বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে যাতায়াত ব্যবস্থা বাড়বে পাশাপাশি  অর্থনৈতিক ভাবে এ জেলা সমৃদ্ধ হবে৷ যত দ্রুত সম্ভব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টির কাজ শুরু হওয়া দরকার।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ খুব জরুরি। আজকে অনুমোদন হয়েছে দেখলাম৷ তবে বিস্তারিত এ বিষয়ে পরে বলতে পারব। আশা করছি জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে বিভিন্ন পাশ দিয়ে জেলার জীবনযাত্রার মান বাড়বে।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী। তিনি জনগনের জন্য কাজ করে থাকেন৷ সেই প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৯ শে মার্চ জননেত্রী শেখা হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ে এসে অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দেন। তার মধ্যে  তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দেন। আজকে তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। আমরা ঠাকুরগাঁওবাসী অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করছি আমাদের জেলার ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে এবং উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন হবে৷ পাশাপাশি  জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।

জেলা শহরের কোথায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বিমানবন্দর এলাকার উত্তরে  মুক্তা মেলার পাশে স্থাপন করা হবে৷