পবায় ফাঁকা গুলির পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টেন্ডার বাক্স লুট, যুবদল নেতা আহত

- আপডেট সময় : ১২:৪২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
পবায় ফাঁকা গুলির পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টেন্ডার বাক্স লুট, যুবদল নেতা আহত
রাজশাহীর পবায় হাটের টেন্ডার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ফাঁকা গুলি করার পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টেন্ডারের কাগজপত্র লুট করে নিয়ে গেছে একপক্ষ। এময় ছুরিকাঘাতে এক যুবদল নেতা আহত হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পবা উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে পবা উপজেলা চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে টেন্ডার বাক্সটি পড়ে আছে। এর এক পাশ খোলা এবং ভেতরে কারও দরপত্র নেই। সব লুট হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
জানা গেছে, বাংলা ১৪৩২ বঙ্গাব্দের জন্য গত ১৫ জানুয়ারি পবার ১২টি হাট ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন পবার খড়খড়ি হাটকে কেন্দ্র করে বিরোধ দেখা দেয়। এর ফলে এই ককটেলবাজি ও টেন্ডার বাক্স লুটের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ সময় ছুরিকাঘাতে শাকিলুর রহমান রন (৪২) নামে এক যুবদল নেতা আহত হন। তিনি নগরীর চন্দ্রিমা থানার ফিরোজাবাদ এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) আরাফাত আমান আজিজ বলেন, দরপত্র জমাদানের সময় ছিলো সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। সকাল থেকে বেশ কয়েকটা দরপত্র জমাও পড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই দুপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণ ও কয়েক রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় দরপত্র বাক্স ভেঙে জমা হওয়া দরপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আমরা এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। এখন দরপত্রের কী হবে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, সাধারণত দরপত্র জমাদানের একাধিক সময় নির্ধারণ করা থাকে। আগামী তারিখ আছে ৬ ও ৭ এপ্রিল। ইজারা প্রক্রিয়া বাতিল হবে না।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, দলীয় দুই গ্রুপের মধ্যে টেন্ডার বাক্স লুট ও ককটেল বিস্ফোরণ করার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুরো বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হবে।
এবিষয়ে আরএমপির শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমা মোস্তারিন বলেন, উপজেলা প্রশাসন ১৫ জানুয়ারি পবার ১২টি হাট ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সোমবার ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। হাটগুলোর মধ্যে খড়খড়ি হাটকে কেন্দ্র করে বিরোধ দেখা দেয়। এর ফলে ককটেল বিস্ফোরণ ও টেন্ডার বাক্স লুটের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে এই ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা এখন সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখছি। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।