ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে এসআইয়ের গাফিলতি, এক বছরের জন্য তদন্ত কার্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৪০ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চগড়ে এসআইয়ের গাফিলতি, এক বছরের জন্য তদন্ত কার্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

উমর ফারুক, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ে এসআইয়ের গাফিলতি, এক বছরের জন্য তদন্ত কার্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
পঞ্চগড়ে আসামিদের দাঁড়া প্রবাহিত হয়ে  মনগড়া কাল্পনিক চার্জশিট দাখিল করে, চরম গাফিলতি করেছেন মামলার তদন্তকারী এসআই মো: আল আমিন সরকার, তাকে এক বছরের জন্য তদন্ত কার্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মতিউর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ সালে শ্রী রনজিৎ সেন, দিপেন সেন, হেমন্ত কুমার সেন, রমেশ কুমার সেনসহ মোট ২৬ জনের নামে একটি মামলা করেন রেজাউল ইসলাম। মামলায় উল্লেখ থাকে, গত ৫ ডিসেম্বর ২০২০ সালে রেজাউল ইসলামের বাসায় আগুন লেগে দিয়ে মালামাল চুরির ঘটনায় বোদা থানায়, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ সালে একটি মামলা করেন রেজাউল ইসলাম। সেই মামলা করায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে আসামিরা। এবং ১১ ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে খুনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা, সোরা, চাইনিজ কুড়াল, ধারালো চাপ্পর, মাংস কাটার অস্ত্র, লোহার রড, নিয়ে এসে রেজাউল ইসলাম, লিটন শেখ, রাসেল শেখ এবং নওশাদ আলীকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করেন। এতে ৪ জনকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, কর্মরত চিকিৎসক সেখানে তাদের ট্রিটমেন্ট করেন। পরে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়। তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে এটি কোর্টে  ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন রেজাউল ইসলাম। সেই মামলার তদন্ত দেওয়া হয় এস আই মো: আল আমিন সরকারকে। তদন্তে তিনি আসামিদের দাঁড়া প্রবাহিত হয়ে, মনগড়া কাল্পনিক চার্জশিট দাখিল করে, চরম গাফিলতি করেন। পরে তদন্ত করে দেখেন এই মামলার আসামিরা ৩২৬ ধারার অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, সুতরাং আদালতের নিকট এটা পরিষ্কার যে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুনির্দিষ্ট সুস্পষ্ট মেডিকেল থাকা সত্ত্বেও আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিটে ৩২৬ ধারা অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় অত্যন্ত দুঃখজনক প্রকাশ করেন আদালত। এতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আল আমিন সরকার বোদা থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় পঞ্চগড় আসামিদের দ্বারা প্রবাহিত হয়ে মনগড়া কাল্পনিক চার্জশিট দাখিল করে তদন্তের চরম গাফিলতি করেছেন। এবং সার্বিক বিবেচনায় তিনি তদন্তের অযোগ্য কর্মকর্তা মর্মে আদালতে নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডিবি পঞ্চগড় জেলা গোয়েন্দা শাখা এসআই পদে কর্মরত আছেন। এবং তার গাফিলতির কারণে এক বছরের জন্য সকল প্রকার তদন্ত কার্য থেকে বিরত রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মতিউর রহমান। এবং সেই আদেশ কবি ডিআইজি রংপু রেঞ্জ,  পুলিশ সুপার পঞ্চগড়, অফিসার ইনচার্জ বোদা থানা, এবং ডিবি অফিসার ইনচার্জ পঞ্চগড় বরাবর প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। এদিকে সেই মামলার আসামিরা হাজিরা দিতে আসলে আসামি শ্রী রঞ্জিত সেন, দিপেন সেন, গোপাল বর্মন, ঞঞ্জন বর্মন, শ্রী বকুল চন্দ্র সেন, শ্রী রমেশ চন্দ্র সেনকে গণ অন্তবর্তকালীন জামিন থাকায় এবং অপরাধে গুরুতর ও প্রকৃতি বিবেচনায় তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য করে পেনাল কোড ৩০৭/ ৩২৬ ধারায় অপরাধ আমলে গ্রহণ করে, তাদের স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। এবং আসামীদেরকে সি ডব্লিউ মূলে জেলহাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পঞ্চগড়ে এসআইয়ের গাফিলতি, এক বছরের জন্য তদন্ত কার্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

আপডেট সময় : ১২:৫৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

পঞ্চগড়ে এসআইয়ের গাফিলতি, এক বছরের জন্য তদন্ত কার্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

উমর ফারুক, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ে এসআইয়ের গাফিলতি, এক বছরের জন্য তদন্ত কার্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
পঞ্চগড়ে আসামিদের দাঁড়া প্রবাহিত হয়ে  মনগড়া কাল্পনিক চার্জশিট দাখিল করে, চরম গাফিলতি করেছেন মামলার তদন্তকারী এসআই মো: আল আমিন সরকার, তাকে এক বছরের জন্য তদন্ত কার্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মতিউর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ সালে শ্রী রনজিৎ সেন, দিপেন সেন, হেমন্ত কুমার সেন, রমেশ কুমার সেনসহ মোট ২৬ জনের নামে একটি মামলা করেন রেজাউল ইসলাম। মামলায় উল্লেখ থাকে, গত ৫ ডিসেম্বর ২০২০ সালে রেজাউল ইসলামের বাসায় আগুন লেগে দিয়ে মালামাল চুরির ঘটনায় বোদা থানায়, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ সালে একটি মামলা করেন রেজাউল ইসলাম। সেই মামলা করায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে আসামিরা। এবং ১১ ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে খুনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা, সোরা, চাইনিজ কুড়াল, ধারালো চাপ্পর, মাংস কাটার অস্ত্র, লোহার রড, নিয়ে এসে রেজাউল ইসলাম, লিটন শেখ, রাসেল শেখ এবং নওশাদ আলীকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করেন। এতে ৪ জনকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, কর্মরত চিকিৎসক সেখানে তাদের ট্রিটমেন্ট করেন। পরে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়। তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে এটি কোর্টে  ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন রেজাউল ইসলাম। সেই মামলার তদন্ত দেওয়া হয় এস আই মো: আল আমিন সরকারকে। তদন্তে তিনি আসামিদের দাঁড়া প্রবাহিত হয়ে, মনগড়া কাল্পনিক চার্জশিট দাখিল করে, চরম গাফিলতি করেন। পরে তদন্ত করে দেখেন এই মামলার আসামিরা ৩২৬ ধারার অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, সুতরাং আদালতের নিকট এটা পরিষ্কার যে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুনির্দিষ্ট সুস্পষ্ট মেডিকেল থাকা সত্ত্বেও আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিটে ৩২৬ ধারা অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় অত্যন্ত দুঃখজনক প্রকাশ করেন আদালত। এতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আল আমিন সরকার বোদা থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় পঞ্চগড় আসামিদের দ্বারা প্রবাহিত হয়ে মনগড়া কাল্পনিক চার্জশিট দাখিল করে তদন্তের চরম গাফিলতি করেছেন। এবং সার্বিক বিবেচনায় তিনি তদন্তের অযোগ্য কর্মকর্তা মর্মে আদালতে নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডিবি পঞ্চগড় জেলা গোয়েন্দা শাখা এসআই পদে কর্মরত আছেন। এবং তার গাফিলতির কারণে এক বছরের জন্য সকল প্রকার তদন্ত কার্য থেকে বিরত রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মতিউর রহমান। এবং সেই আদেশ কবি ডিআইজি রংপু রেঞ্জ,  পুলিশ সুপার পঞ্চগড়, অফিসার ইনচার্জ বোদা থানা, এবং ডিবি অফিসার ইনচার্জ পঞ্চগড় বরাবর প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। এদিকে সেই মামলার আসামিরা হাজিরা দিতে আসলে আসামি শ্রী রঞ্জিত সেন, দিপেন সেন, গোপাল বর্মন, ঞঞ্জন বর্মন, শ্রী বকুল চন্দ্র সেন, শ্রী রমেশ চন্দ্র সেনকে গণ অন্তবর্তকালীন জামিন থাকায় এবং অপরাধে গুরুতর ও প্রকৃতি বিবেচনায় তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য করে পেনাল কোড ৩০৭/ ৩২৬ ধারায় অপরাধ আমলে গ্রহণ করে, তাদের স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। এবং আসামীদেরকে সি ডব্লিউ মূলে জেলহাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।