ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগাতিপাড়া থেকে ১১ বছরের শিশু শিমুল নিখোঁজ ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃ শং স হ/ত্যা র প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পঞ্চগড়ে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের জনসংযোগ পঞ্চগড়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দিলু কারাগারে বালিয়াডাঙ্গীতে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় দুই পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা; ১ জনের মৃত্যু পঞ্চগড়ে তিনদিন ব্যাপী অভিনয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু পঞ্চগড়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেনাবাহিনীর অভিযান মালিককে জরিমানা ঝিনাইগাতীতে সেনা সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীদের মানববন্ধন সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ীতে পিকআপভর্তি ২৬০ বোতল বিদেশী মদ জব্দ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের অভিযান: একজনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড

পঞ্চগড় পশুর হাটে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম, কেনার থেকে দেখার লোক বেশি

উমর ফারুক, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫ ২১৬ বার পড়া হয়েছে

Collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চগড় পশুর হাটে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম, কেনার থেকে দেখার লোক বেশি

পঞ্চগড়ে সবচেয়ে বড় পশুর হাট রাজনগড় হাটে ব্যাপকহারে গরু এলেও ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। বড় গরুর চাহিদা নেই, ক্রেতা কম, দাম কম। সবমিলিয়ে এবার গরুর হাটে পশু বেচাকেনা নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে ব্যবসায়ী ও খামারিদের মাঝে। তবে অনেকের আশা, ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসবে ততোই বাড়বে কেনা-বেচা। এছাড়া কম দাম হওয়ায় খুশি ক্রেতারাও।জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ১৬টি ছোট বড় গরুর হাট রয়েছে। এরমধ্যে পঞ্চগড়ের রাজনগর এবং বোদার নগরকুমারী হাট সবচেয়ে বড় । এ বছর পঞ্চগড়ে ১৫ হাজারেরও বেশি খামারি রয়েছে। খামারিদের গোয়াল থেকে কোরবানির জন্য গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়াসহ মোট ১ লক্ষ ৪৫ হাজার পশু লালন পালন করেছেন খামারিরা।

জেলার বড় হাট হিসেবে পরিচিত রাজনগড় ও বোদার নগরকুমার হাটে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার গরু হাটটিতে এসেছে। বড়, ছোট-মাঝারি থেকে সব ধরনের গরু রয়েছে। আকারভেদে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পশুর হাটে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছে ইজারাদার কর্তৃক স্বেচ্ছাসেবী ও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেনারি চিকিৎসক। তবে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম। কেনার থেকে দেখার ও দাম শোনার মানুষের সংখ্যাই বেশি। আবার বড় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে। কম দামে ক্রেতারা খুশি হলেও আশানুরূপ দাম না পেয়ে হতাশ বিক্রেতারা। মনতাজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, আজকের হাটে গরুর আমদানি বেশি। তুলনামূলক গতবারের চেয়ে দাম কম রয়েছে। আমি একটি গরু কিনেছি। এই গরু অন্য জায়গায় বিক্রি করলে লাভ হবে। ছোট গরুর চাহিদা বেশি। আরেক ক্রেতা মনসুর বলেন, এখনও কয়েকদিন বাকি আছে। এ হাটে কিনতে আসিনি। দেখতে এসেছি। হাট ঘুরে দেখলাম। দরদাম করলাম। কয়েক হাট ঘুরে তারপর কিনবো। তবে এবার গরুর চাহিদা কম হলেও আমদানি বেশি। বড় গরু একটা না কিনে প্রয়োজনে দুই তিনটা কিনবো। গতবারের চেয়ে দামও কম।

হাটের ইজারাদার আব্দুস সামাদ পলক বলেন, প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার বসে এই হাট। উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরুর হাট হলো এই রাজনগড় পশুর হাট । এরইমধ্যে গরুর হাটটি বেশ জমে উঠেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।

হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী রবিউল হোসেন বলেন, ছোট-বড় মিলিয়ে ১১টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। এ হাটে অনেক গরু আসছে, কিন্তু কেনার মানুষ নেই। দেখার মানুষের সংখ্যা বেশি। সকাল দশটার মধ্যে এই ১১ টি গরু নিয়ে এসেছি দুইটা পাড় হয়ে গেলোও এখনো পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি । এতে কি করব বুঝতে পারছিনা । অথচ গত বছর এই সাইজের গরুর চাহিদা ও দাম দুটিই ভালো ছিল।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ বাবুল হোসেন জানান, পঞ্চগড় রাজনগড় হাট জেলার সবচেয়ে বড় হাট। হাটে আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। কোনো গরু বা পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জেলায় ১৬টি হাট রয়েছে। এর মধ্যে হাটগুলোতে এখনও কোরবানির বেশ কয়েকদিন বাকি। এখন পর্যন্ত কেনাবেচার কথা ভালো-মন্দ বলা সম্ভব নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পঞ্চগড় পশুর হাটে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম, কেনার থেকে দেখার লোক বেশি

আপডেট সময় : ০২:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

পঞ্চগড় পশুর হাটে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম, কেনার থেকে দেখার লোক বেশি

পঞ্চগড়ে সবচেয়ে বড় পশুর হাট রাজনগড় হাটে ব্যাপকহারে গরু এলেও ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। বড় গরুর চাহিদা নেই, ক্রেতা কম, দাম কম। সবমিলিয়ে এবার গরুর হাটে পশু বেচাকেনা নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে ব্যবসায়ী ও খামারিদের মাঝে। তবে অনেকের আশা, ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসবে ততোই বাড়বে কেনা-বেচা। এছাড়া কম দাম হওয়ায় খুশি ক্রেতারাও।জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ১৬টি ছোট বড় গরুর হাট রয়েছে। এরমধ্যে পঞ্চগড়ের রাজনগর এবং বোদার নগরকুমারী হাট সবচেয়ে বড় । এ বছর পঞ্চগড়ে ১৫ হাজারেরও বেশি খামারি রয়েছে। খামারিদের গোয়াল থেকে কোরবানির জন্য গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়াসহ মোট ১ লক্ষ ৪৫ হাজার পশু লালন পালন করেছেন খামারিরা।

জেলার বড় হাট হিসেবে পরিচিত রাজনগড় ও বোদার নগরকুমার হাটে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার গরু হাটটিতে এসেছে। বড়, ছোট-মাঝারি থেকে সব ধরনের গরু রয়েছে। আকারভেদে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পশুর হাটে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছে ইজারাদার কর্তৃক স্বেচ্ছাসেবী ও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেনারি চিকিৎসক। তবে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম। কেনার থেকে দেখার ও দাম শোনার মানুষের সংখ্যাই বেশি। আবার বড় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে। কম দামে ক্রেতারা খুশি হলেও আশানুরূপ দাম না পেয়ে হতাশ বিক্রেতারা। মনতাজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, আজকের হাটে গরুর আমদানি বেশি। তুলনামূলক গতবারের চেয়ে দাম কম রয়েছে। আমি একটি গরু কিনেছি। এই গরু অন্য জায়গায় বিক্রি করলে লাভ হবে। ছোট গরুর চাহিদা বেশি। আরেক ক্রেতা মনসুর বলেন, এখনও কয়েকদিন বাকি আছে। এ হাটে কিনতে আসিনি। দেখতে এসেছি। হাট ঘুরে দেখলাম। দরদাম করলাম। কয়েক হাট ঘুরে তারপর কিনবো। তবে এবার গরুর চাহিদা কম হলেও আমদানি বেশি। বড় গরু একটা না কিনে প্রয়োজনে দুই তিনটা কিনবো। গতবারের চেয়ে দামও কম।

হাটের ইজারাদার আব্দুস সামাদ পলক বলেন, প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার বসে এই হাট। উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরুর হাট হলো এই রাজনগড় পশুর হাট । এরইমধ্যে গরুর হাটটি বেশ জমে উঠেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।

হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী রবিউল হোসেন বলেন, ছোট-বড় মিলিয়ে ১১টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। এ হাটে অনেক গরু আসছে, কিন্তু কেনার মানুষ নেই। দেখার মানুষের সংখ্যা বেশি। সকাল দশটার মধ্যে এই ১১ টি গরু নিয়ে এসেছি দুইটা পাড় হয়ে গেলোও এখনো পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি । এতে কি করব বুঝতে পারছিনা । অথচ গত বছর এই সাইজের গরুর চাহিদা ও দাম দুটিই ভালো ছিল।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ বাবুল হোসেন জানান, পঞ্চগড় রাজনগড় হাট জেলার সবচেয়ে বড় হাট। হাটে আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। কোনো গরু বা পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জেলায় ১৬টি হাট রয়েছে। এর মধ্যে হাটগুলোতে এখনও কোরবানির বেশ কয়েকদিন বাকি। এখন পর্যন্ত কেনাবেচার কথা ভালো-মন্দ বলা সম্ভব নয়।