পঞ্চগড়ে সাবেক মন্ত্রী-এমপি-ডিসি-এসপি-ওসিসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

- আপডেট সময় : ০৩:২০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড়ে সাবেক মন্ত্রী-এমপি-ডিসি-এসপি-ওসিসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫০) হত্যার ঘটনায় ভূতপূর্ব ডিসি জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদাকে আসামী করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী। বিচারিক আদালত মামলাটি এজাহারভূক্ত করতে পঞ্চগড় সদর থানাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। আব্দুর রশিদ আরেফিন নিহত হওয়ার দুই বছর পর মামলাটি দায়ের করা হলে। এ বিষয়ে বাদি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওহাব আনসারী বরেন, পতিত স্বৈরাচারী সরকারের বয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের আশঙ্কায় বাদী এতো দিন মামলা করতে পারেননি।
এ মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, আওয়ামীলীগের সরকারের সাবেক রেল মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক এমপি মজাহারুল হক প্রধান, ও এমপি নাঈমুজ্জামান মুক্তা, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, সাবেক পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আল তারিক, সদর থানার ওসি সহ ১৫৪ জনের নামীয় অজ্ঞাত ৭০০-৮০০ জনকে আসামী করা হয়।
সোমবার (৫ মে) অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত পঞ্চগড়-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। উক্ত আদালতে বিচারক সফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার (৬ মে) মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে এজাহার ভূক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে এসই তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিউকিটর (পিপি) আদম সুফি।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪শে ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয় ৷ তারই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড়ে ও শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিল শুরু করে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি। এ সময় আন্দোলকারীদের বাঁধা দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুঁড়েন পুলিশ। এসময় পুলিশ ও আওয়ামীলীগের দমন নিপীড়নে রনক্ষেত্রে পরিনত হয় পুরো পঞ্চগড় শহর। এসময় পুলিশের রাবার বুলেট ও লাঠির আঘাতে মুত্যুবরণ কোলে ঢোলে পড়ে আব্দুর রশিদ আরেফিন। পুলিশ-আওয়ামীগের এলোপাথারী হামলার কারণে বিএনপির আরও প্রায় দুইশ নেতা-কর্মী আহত হন। নিহত আরেফিন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার খোরশেদ মুহুরীর ছেলে এবং ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক।