ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগাতিপাড়ায় জুলাই শহীদ দিবসে আলোচনা সভা বাউয়েটে ছয় দিনব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত গোদাগাড়ীতে জেন্ডার ন্যায্যতা ও জলবায়ু ন্যায্যতার আন্তঃসম্পর্ক’ বিষয়ক দিনব্যাপী কমিউনিটি স্কুল কর্মশালা যারা জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননাকারী কুলাঙ্গারদের খুঁজে বের করা হবে- ফরহাদ হোসেন আজাদ নীলফামারীর ডোমারে গৃহবধূ হত্যার সাথে জড়িত শ্বাশুড়ি রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার নালিতাবাড়ীতে নন্নী-পোড়াগাঁও মৈত্রী কলেজে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ, আটক ১৮ সেনাপ্রধানের নির্দেশনায় গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া নারীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সিএমএইচে রাণীনগরে দল গতিশীল করতে যুবদলের সভা অনুষ্ঠিত শেরপুরে জুলাই বিপ্লব স্মরণে শিশুদের কবিতা আবৃত্তি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর এমপিওভুক্তির দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন

পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলায় কাসাভা চাষীকে হয়রানির অভিযোগ

মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলায় কাসাভা চাষীকে হয়রানির অভিযোগ

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বন বিভাগের বিরুদ্ধে কাসাভা চাষী মোস্তফা কামাল সহ নিরাপরাধ চাষিদের নামে গাছ কর্তনের মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের পুরতান ক্যাম্প এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কাসাভা চাষী মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের বটতলী নতুন পাড়া এলাকায় ৯০ বিঘা জমি তিনি মূল মালিকের কাছে পাওয়ার অব এটর্নি নিয়ে রপ্তানিযোগ্য পন্য কাসাভা চাষাবাদ করে আসছিলেন। এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। এই জমির পাশেই বন বিভাগের রোপন করা কিছু গাছপালা রয়েছে। এই জমির পাশে বন বিভাগের রোপন করা কিছু গাছপালা আছে। বন বিভাগ ১৯২৭ সালের বন আইনে আমাদের নামে কারণে অকারণে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বন বিভাগের লোকজনের যোগসাজসে স্থানীয় একটি চক্রের মাধ্যমে ওই এলাকার অনেক সাধারণ কৃষক মজুরকে মামলা দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানি করছে বলে দাবি করেন তিনি।

মোস্তফা কামাল বলেন, আমি একজন কাসাভা উদ্যোক্তা। এই এলাকায় কাসাভা চাষ করে সফল হয়েছি। আমি যে জমিটি চাষাবাদ করছি তা মূল মালিকের কাছে পাওয়ার নেয়া। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্রের সাথে যোগ সাজস্যে বন বিভাগের লোকজন আমাদের নামে গাছ কাটার মামলা দিয়েছে। আমি কখনো গাছের ডালও ছুঁয়ে দেখিনি। অথচ তারা আমার নামে এবং অনেক নিরাপরাধ মানুষের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমনকি গণমাধ্যমেও আমার নামে মিথ্যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এভাবে আমাকে হেয় করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে একটি চক্র। আমি বন বিভাগের এসব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহায়তা কামনা করেন।

দেবীগঞ্জ বনবিভাগের বটতলী বিটের কর্মকর্তা নুর নবী মিথ্যা মামলা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। আমি আসার আগেই মামলা হয়েছে। এই জমি বন বিভাগের। অনেকে মালিক দাবি করলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কেউ কোন কাগজ দেখাতে পারেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলায় কাসাভা চাষীকে হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:১৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলায় কাসাভা চাষীকে হয়রানির অভিযোগ

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বন বিভাগের বিরুদ্ধে কাসাভা চাষী মোস্তফা কামাল সহ নিরাপরাধ চাষিদের নামে গাছ কর্তনের মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের পুরতান ক্যাম্প এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কাসাভা চাষী মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের বটতলী নতুন পাড়া এলাকায় ৯০ বিঘা জমি তিনি মূল মালিকের কাছে পাওয়ার অব এটর্নি নিয়ে রপ্তানিযোগ্য পন্য কাসাভা চাষাবাদ করে আসছিলেন। এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। এই জমির পাশেই বন বিভাগের রোপন করা কিছু গাছপালা রয়েছে। এই জমির পাশে বন বিভাগের রোপন করা কিছু গাছপালা আছে। বন বিভাগ ১৯২৭ সালের বন আইনে আমাদের নামে কারণে অকারণে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বন বিভাগের লোকজনের যোগসাজসে স্থানীয় একটি চক্রের মাধ্যমে ওই এলাকার অনেক সাধারণ কৃষক মজুরকে মামলা দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানি করছে বলে দাবি করেন তিনি।

মোস্তফা কামাল বলেন, আমি একজন কাসাভা উদ্যোক্তা। এই এলাকায় কাসাভা চাষ করে সফল হয়েছি। আমি যে জমিটি চাষাবাদ করছি তা মূল মালিকের কাছে পাওয়ার নেয়া। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্রের সাথে যোগ সাজস্যে বন বিভাগের লোকজন আমাদের নামে গাছ কাটার মামলা দিয়েছে। আমি কখনো গাছের ডালও ছুঁয়ে দেখিনি। অথচ তারা আমার নামে এবং অনেক নিরাপরাধ মানুষের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমনকি গণমাধ্যমেও আমার নামে মিথ্যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এভাবে আমাকে হেয় করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে একটি চক্র। আমি বন বিভাগের এসব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহায়তা কামনা করেন।

দেবীগঞ্জ বনবিভাগের বটতলী বিটের কর্মকর্তা নুর নবী মিথ্যা মামলা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। আমি আসার আগেই মামলা হয়েছে। এই জমি বন বিভাগের। অনেকে মালিক দাবি করলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কেউ কোন কাগজ দেখাতে পারেনি।