পঞ্চগড়ে তিন ভন্ড কবিরাজ দ্বারা পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী আটক ২

- আপডেট সময় : ০২:০০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ২৪৮ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড়ে তিন ভন্ড কবিরাজ দ্বারা পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী আটক ২
পঞ্চগড়ে প্রবাসীর স্ত্রী তিন কবিরাজের দ্বারা পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার অমর খানা ইউনিয়নের মডেল হাট বাজার এলাকায় ধর্ষণের। অভিযুক্ত তিন কবিরাজ হলো; বোদা উপজেলার গাইঘাটা এলাকরা মাহবুব (৪৩), সদর উপজেলার অমর খানা ইউনিয়নের বড় কামাতের মসিয়র রহমানের ছেলে আজিজুল ওরফে নুর নবী (২৩) ও সাতমেরা ইউনিয়নের গোয়াল ঝার এলাকার শহিদুল ইসলাম ইসলাম (৩৫) নামে ভন্ড কবিরাজ শারীরিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে দিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রী (২৯)কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেছেন। যার মামলা নং ১৫।
এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর ভাষ্য মতে জানা গেছে, ১নং আসামী মাহবুব ঐ গৃহবধূর পরিচিত হওয়ায় ছেলে আল আমিন কে একটি বাই সাইকেল কিনে দিতে তার সহযোগিতা নেয়।
পরিচিত হওয়ার সে মাহবুবকে সরল মনে তার সমস্যার কথা বললে, মাহবুব নিজেই একজন কবিরাজ দাবী করে ওই নারীর সকল সসম্যা সমাধান করে দিবে মর্মে আশ্বাস দিয়ে তার সাথে বাড়িতে যায়। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রাতের বেলা শারীরিক সম্পর্ক করে এবং ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে আরো বিভিন্ন দিনে রাতের বেলা এসে ওই গৃহবধূর সহিত শারীরিক সম্পর্ক করে এবং সমস্যা সমাধান করে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে একলক্ষ বিশ হাজার টাকা (১,২০,০০০) টাকা হাতিয়ে নেয় মাহবুব এবং গত ১২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে রাত আনুমানিক ১১ টায় আরও দু’জনকে (আজিজুল ওরফে নুর নবী ও শহীদুলকে) নিয়ে এসে বলে এরাও কবিরাজ এদের সাথে শরিরিক সম্পর্ক করিলে তোমার সকল সমাধান হবে। পরবর্তীতে ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখে রাত দুইটায় ভুক্তভোগী বাসায় এসে মাহবুব, ১ বার আজিজুল ওরফে নুর নবী ৩ ও শহিদুল ইসলাম ১ বার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চলে যায়।
ভুক্তভোগী নারী জানান, আসামীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আমার কোন সমস্যার সমাধান না হইলে আমি আসামীদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করি কিন্তু আসামীগন আমাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে এবং নির্জন জায়গায় বাড়ি হওয়ার আমার নিকট হইতে প্রতারনামূলক ভাবে উল্লেখিত টাকা গ্রহন পূর্বক আত্মসাৎসহ “অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেছে। আমি এর বিচার চাই।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি (তদন্ত) এইচ এস এম সোহরাওয়ার্দী জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে দুই জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।