ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে আল আমিন হত্যা মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী কারাগারে

উমর ফারুক, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে

Collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চগড়ে আল আমিন হত্যা মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী কারাগারে

পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুম হন আল আমিন। এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর আল আমিনের বাবা মো. মনু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপরে সেই মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চগড় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক মো. আশরাফুজ্জামান এ আদেশ দেন। শনিবার রাতে সাবেক এই মন্ত্রীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি প্রিজন ভ্যানে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে আনা হয়।

মামলায় অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক প্লাবন পাটোয়ারী, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, হাসনাত মো. হামিদুর রহমান, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উজ্জলসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়,মামলার বাদী মো.মনুর ছেলে আলামিন পেশায় রিক্সা চালক।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় যোদ্ধা ছিলেন। এজন্য তাকে শুরু থেকেই বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আলামিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব প্লাবন পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে দিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন কতিপয় আসামীর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামীরা তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দ্বারা আল আমিনকে জখম করে। এতে রক্তাক্ত হয়ে আলামিন সড়কে লুটিয়ে পড়লে তার নিথর দেহ টেনে হিচেড়ে নিয়ে যায় তারা।তখন থেকেই আল আমিনের সন্ধান নেই।এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর তার বাবা মনু বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করে। আসামি পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন,আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে, ডিভিশন মঞ্জুর করেছেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট আদম সুফি জানান, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে।আসামী পক্ষের আইনজীবিরা জামিন চেয়েছেন, আমরা সরকার পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করেছি। বিচারক আসামীর জামিন না মঞ্জুর করেছে।এই আসামীর বিরুদ্ধে রিমান্ড এর প্রার্থনা আসতেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পঞ্চগড়ে আল আমিন হত্যা মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী কারাগারে

আপডেট সময় : ০২:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

পঞ্চগড়ে আল আমিন হত্যা মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী কারাগারে

পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুম হন আল আমিন। এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর আল আমিনের বাবা মো. মনু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপরে সেই মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চগড় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক মো. আশরাফুজ্জামান এ আদেশ দেন। শনিবার রাতে সাবেক এই মন্ত্রীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি প্রিজন ভ্যানে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে আনা হয়।

মামলায় অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক প্লাবন পাটোয়ারী, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, হাসনাত মো. হামিদুর রহমান, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উজ্জলসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়,মামলার বাদী মো.মনুর ছেলে আলামিন পেশায় রিক্সা চালক।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় যোদ্ধা ছিলেন। এজন্য তাকে শুরু থেকেই বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আলামিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব প্লাবন পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে দিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন কতিপয় আসামীর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামীরা তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দ্বারা আল আমিনকে জখম করে। এতে রক্তাক্ত হয়ে আলামিন সড়কে লুটিয়ে পড়লে তার নিথর দেহ টেনে হিচেড়ে নিয়ে যায় তারা।তখন থেকেই আল আমিনের সন্ধান নেই।এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর তার বাবা মনু বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করে। আসামি পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন,আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে, ডিভিশন মঞ্জুর করেছেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট আদম সুফি জানান, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে।আসামী পক্ষের আইনজীবিরা জামিন চেয়েছেন, আমরা সরকার পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করেছি। বিচারক আসামীর জামিন না মঞ্জুর করেছে।এই আসামীর বিরুদ্ধে রিমান্ড এর প্রার্থনা আসতেছে।