ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কমিশন দায়বদ্ধ

এম এম মামুন:
  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কমিশন দায়বদ্ধ

নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সত্যিকার অর্থে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। যেসব কারণে জুলাই-আগস্টের অবতারণা হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভোটের অধিকার হারিয়ে যাওয়া। বর্তমান কমিশন একটি ভঙ্গুর নির্বাচনব্যবস্থার মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। অপরপাশে রয়েছে সন্তানদের রক্ত। কাজেই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই কমিশন দায়বদ্ধ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাজশাহীতে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইসি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও এতোদিন যারা ভোট দিতে পারেননি তারাও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। কাজেই কোনো নাগরিক উপযুক্ত হওয়ার পরও ঐচ্ছিক কাগজপত্র বা সামান্য জটিলতার কারণে যেন ভোটার হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে ইসি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নেয় না। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করা। আমাদের অতিরিক্ত দায়িত্বের অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তথা সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেয় তখন আমরা সেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করে দিই। সুতরাং স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কি হবে না, কবে হবে, এটা সরকারই সিদ্ধান্ত নিবে। যখন সিদ্ধান্ত নিবে তখন আমরা জানতে পারব।

বিগত বিতর্কিত নির্বাচনের সময় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ব্যাপারে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কেউ-ই আইনের উর্ধ্বে নয়। আমরা যারা বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছি আমরাও আইনের উর্ধ্বে নই। কেউ যদি নিজে সুপরিকল্পিতভাবে এবং নিজে সংশ্লিষ্ট থেকে কোনো অপরাধ করে থাকে তাকে আইন আদালতের সামনে যেতে হতেই পারে। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়, আইন আদালতের বিষয়।

এর আগে তিনি রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও সুপারভাইজারদের সাথে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কমিশন দায়বদ্ধ

আপডেট সময় : ০৩:২৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কমিশন দায়বদ্ধ

নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সত্যিকার অর্থে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। যেসব কারণে জুলাই-আগস্টের অবতারণা হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভোটের অধিকার হারিয়ে যাওয়া। বর্তমান কমিশন একটি ভঙ্গুর নির্বাচনব্যবস্থার মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। অপরপাশে রয়েছে সন্তানদের রক্ত। কাজেই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই কমিশন দায়বদ্ধ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাজশাহীতে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইসি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও এতোদিন যারা ভোট দিতে পারেননি তারাও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। কাজেই কোনো নাগরিক উপযুক্ত হওয়ার পরও ঐচ্ছিক কাগজপত্র বা সামান্য জটিলতার কারণে যেন ভোটার হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে ইসি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নেয় না। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করা। আমাদের অতিরিক্ত দায়িত্বের অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তথা সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেয় তখন আমরা সেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করে দিই। সুতরাং স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কি হবে না, কবে হবে, এটা সরকারই সিদ্ধান্ত নিবে। যখন সিদ্ধান্ত নিবে তখন আমরা জানতে পারব।

বিগত বিতর্কিত নির্বাচনের সময় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ব্যাপারে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কেউ-ই আইনের উর্ধ্বে নয়। আমরা যারা বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছি আমরাও আইনের উর্ধ্বে নই। কেউ যদি নিজে সুপরিকল্পিতভাবে এবং নিজে সংশ্লিষ্ট থেকে কোনো অপরাধ করে থাকে তাকে আইন আদালতের সামনে যেতে হতেই পারে। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়, আইন আদালতের বিষয়।

এর আগে তিনি রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও সুপারভাইজারদের সাথে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম।