নাটোরে সোফা কারখানার শিশু শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

- আপডেট সময় : ১২:১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
নাটোরে সোফা কারখানার শিশু শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ
নাটোরে একটি সোফা কারখানা থেকে ইয়াসিন নামের ১২ বছর বয়সী এক শিশু শ্রমিকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে শহরের আলাইপুর এলাকার পদ্মা গ্যালারির পাশে সুপার ফার্নিচার নামে সোফা কারখানার একটি কক্ষ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। মৃত ইয়াসিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামের মনজু মিয়ার ছেলে এবং ওই কারখানায় হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শিশু ইয়াসিন গত কয়েকদিন ধরে বাড়িতে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করছিলো। তার বাড়িতে মায়ের কাছে বার বার ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার অন্যান্য কর্মীরা কাজে গেলেও ইয়াসিন কাজে না গিয়ে বাসায় ছিল। এময় কাজের বোয়া রুপা পার্শে ছাতা আনতে গেলে বাসার বারান্দায় গলায় গামছা জরানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তার আত্বচিৎকারে পরে অন্য সহকর্মীরা ছুটে আসে এবং পুলিশে খবর দেন।
কারখানার শ্রমিক স্বপন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামে তার শুশুর বাড়ি। সেই দিক থেকে ইয়াসিন ভাতিজা হয়। ইয়াসিন এর বাবা মনজু মিয়া অটোচালক এক ছেলে এক মেয়ে অভাবের সংসার তার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করে। ওই পরিবার থেকে কারখানার কাজ শিখানোর জন্য বললে এতে তিনি রাজি হয়। পরে স্বপন চলে আসার পর অন্তর নামে অন্য শ্রমিকের সাথে নাটোর আসে, যা এক মাসও হয় নাই।
কারখানার মালিক নাসির হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেই ছেলেটা সোফা কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিল। একবার বলল সে কাজ করবে না, আবার কয়েক দিন পরে এসে বলছে বাড়ি যাবে না।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জর (ওসি) মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত পরে জানা যাবে। এদিন বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসে নাই বলেও জানান তিনি।