ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালপুরে বিলমাড়ীয়ায় প্রাইজ মানি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন মোহনপুরে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাবেশ বন্ধের দাবিতে আবেদন শেরপুরে সেনাবাহিনী যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার রাণীনগরে এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলীর আত্মহত্যা রাজশাহীতে উদ্ধারকৃত ৩৩টি মোবাইল ফোন মালিকের কাছে হস্তান্তর রাজশাহীতে ৬ দফা দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ লালপুরে ভাঙা রাস্তায় জনদুর্ভোগে হাজার হাজার পরিবার বড়াইগ্রামে ছাত্রদলের মিছিলে আ.লীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ নাটোরে পলিথিন বর্জনে বিকল্প ব্যাগ সরবরাহ ব্যবসায়ীদের, নিচাবাজারকে পলিথিন মুক্ত ঘোষণা! উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ

নাটোরে শিশু অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের ৪৪ বছর করে কারাদন্ডা

বিশেষ প্রতিনিধি, নাটোরঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে

collected pic

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাটোরে শিশু অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের ৪৪ বছর করে কারাদন্ডা

নাটোরে শিশু অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের প্রত্যেককে ৪৪ বছর করে কারাদন্ডা ও ৬০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলো, নাটোর সদর উপজেলার বেলঘড়িয়া তালতলা এলাকার নুর ইসলামের ছেলে মোঃ সেলিম, একই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ শরীফ এবং আরশেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যা সাতটার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বেলঘরিয়া তালতলা এলাকা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে শিশু ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেলিম, শরীফ এবং মনির। এরপরে তারা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে যাতে কারো কাছে এ কথা বলতে না পারে এজন্য তাকে হত্যা করে অভিযুক্তরা। হত্যার পরে এই মরদেহ গুম করে মাটিতে পুঁতে রাখে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ১ জুন নাটোর সদর থানায় একটি জিডি করেন।

নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ভিকটিমের মায়ের দায়ের করা জিডির আলোকে পুলিশ তদন্ত করে ওই বছরের ১৭ জুন পুলিশ ওই এলাকার একটি আখ ক্ষেত থেকে ভিকটিমের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তদন্তে অপহরণ ধর্ষণ এবং গুমের সাথে ওই তিনজনের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। সাক্ষ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন শেষে আট বছর পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামী সেলিম, শরীফ ও মনিরের একটি ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড এবং অপর একটি ধারায় ১৪ বছরের সাশ্রম কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় ৩ আসামীদের কেউই আদালতে উপস্থিত ছিলনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নাটোরে শিশু অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের ৪৪ বছর করে কারাদন্ডা

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নাটোরে শিশু অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের ৪৪ বছর করে কারাদন্ডা

নাটোরে শিশু অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের প্রত্যেককে ৪৪ বছর করে কারাদন্ডা ও ৬০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলো, নাটোর সদর উপজেলার বেলঘড়িয়া তালতলা এলাকার নুর ইসলামের ছেলে মোঃ সেলিম, একই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ শরীফ এবং আরশেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যা সাতটার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বেলঘরিয়া তালতলা এলাকা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে শিশু ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেলিম, শরীফ এবং মনির। এরপরে তারা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে যাতে কারো কাছে এ কথা বলতে না পারে এজন্য তাকে হত্যা করে অভিযুক্তরা। হত্যার পরে এই মরদেহ গুম করে মাটিতে পুঁতে রাখে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ১ জুন নাটোর সদর থানায় একটি জিডি করেন।

নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ভিকটিমের মায়ের দায়ের করা জিডির আলোকে পুলিশ তদন্ত করে ওই বছরের ১৭ জুন পুলিশ ওই এলাকার একটি আখ ক্ষেত থেকে ভিকটিমের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তদন্তে অপহরণ ধর্ষণ এবং গুমের সাথে ওই তিনজনের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। সাক্ষ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন শেষে আট বছর পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামী সেলিম, শরীফ ও মনিরের একটি ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড এবং অপর একটি ধারায় ১৪ বছরের সাশ্রম কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় ৩ আসামীদের কেউই আদালতে উপস্থিত ছিলনা।