ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক আর নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোরঃ
  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক আর নেই

নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক (৮৬) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৭ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরীক নানা রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাদ যোহর নাটোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

জানা যায়, ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে শুয়ে-বসেই সময় কাটতো তার। নাটোর জেলায় যে কয়েকজন ভাষাসৈনিক ছিলেন তাদের মধ্য ফজলুল হক শুধু জীবিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি এ ভাষা সৈনিক। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয় শতবর্ষ উৎসবে ভাষা আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা রাখায় তাকে সম্মাননা প্রদান করেছিল।

ফজলুল হক ১৯৩৮ সালে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। জেলা বোর্ডের সেকশন অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরি করেছেন তিনি। অবসরের পর ফজলুল হক নাটোর শহরে ওষুধ ব্যবসার সাথে সম্পূক্ত হন। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক ফজলুল হক সাহেব নাটোর শহরের কান্দিভিটা মহল্লায় বসবাস করতেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক আর নেই

আপডেট সময় : ০১:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক আর নেই

নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক (৮৬) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৭ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরীক নানা রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাদ যোহর নাটোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

জানা যায়, ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে শুয়ে-বসেই সময় কাটতো তার। নাটোর জেলায় যে কয়েকজন ভাষাসৈনিক ছিলেন তাদের মধ্য ফজলুল হক শুধু জীবিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি এ ভাষা সৈনিক। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয় শতবর্ষ উৎসবে ভাষা আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা রাখায় তাকে সম্মাননা প্রদান করেছিল।

ফজলুল হক ১৯৩৮ সালে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। জেলা বোর্ডের সেকশন অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরি করেছেন তিনি। অবসরের পর ফজলুল হক নাটোর শহরে ওষুধ ব্যবসার সাথে সম্পূক্ত হন। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক ফজলুল হক সাহেব নাটোর শহরের কান্দিভিটা মহল্লায় বসবাস করতেন।