নলডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের হিসাব চাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের ক্ষোভ
- আপডেট সময় : ০২:০৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
নলডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের হিসাব চাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের ক্ষোভ
নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর পুরুষোত্তমবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের হিসাব চাওয়ায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমল কুমার। পুরুষোত্তমবাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমল কুমার বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্যার বর্তমানে সভাপতি। তিনি কি করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের হিসাব নিতে বলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী কার্যকম করেছে এবং উপজেলায় হিসাব দেওয়ার পরও আমার সাথে খারাপ আচরন করা হইছে। যারা দূনীতিবাজ তারা এই বৈষম্যবিরোধী চাঁদাবাজদের দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠিয়ে হয়রানি করছে।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অমল কুমারের বিচার দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা,শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ ও গত ২৪ সেপ্টেম্বর নলডাঙ্গায় মানববন্ধন করেছেন। অভিযোগ ও মানববন্ধনে
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী মোঃ বাদশা খান-সিহাব-সোহানুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক অমল কুমার একজন আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি উপজেলার মাধনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এবং তিনি এখনও আওয়ামীলীগকে সুসংঘটিত করার চেষ্টা করছে। জুলাই-আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে ছাত্র আন্দোলনে পুরোপুরি বিরোধিতা করছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সম্প্রতি তিনি ও তার গুন্ডাবাহিনী দ্বারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন অপবাদ দেয়। তিনি ২০১৭ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার দাপটে সবাইকে কোণঠাসা করে রাখছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়টি নিজের মত চালায়। আমরা এই আওয়ামীলীগ নেতা ও প্রধান শিক্ষক অমল কুমারের সঠিক বিচার দাবী করছি।
উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আনছারী বলেন, ইউএনও স্যার আমাকে ওই বিদ্যালয়ে কি হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে খবর নিতে বলেন।
তবে নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান আকরামুল হক তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।