ঢাকা ০৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংঘাতহীন সম্প্রীতির ধামইরহাট নির্মানের লক্ষ্যে আলোচনাসভা ও মানববন্ধন কোরআনের শাসন দিয়ে আমরা বাংলাদেশ গড়তে চাই- ডা. শফিকুর রহমান রাজশাহীতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে কাঁদলেন শহীদ সাকিবের বাবা নলডাঙ্গায় দেয়ালে লেখা জয় বাংলা শ্লোগান মুছে দিল ছাত্রদল নাটোরে আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মোহনপুরে ইয়াং ড্রাগন মার্শাল আর্ট সেন্টারের বেল্ট বিতরন মান্দায় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ দেড় দশক পর রাজশাহীতে জামায়াতের সম্মেলন, নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা! নাটোরের নাট্যাভিনেত্রী পুতুল রায়ের পরলোকগমন নিষিদ্ধ সংগঠন নাটোর জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুম ঈশ্বরদী থেকে গ্রেফতার

নলডাঙ্গায় বিষাক্ত কেমিক্যাল ছাড়াই শুটকি উৎপাদন

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:০৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নলডাঙ্গায় বিষাক্ত কেমিক্যাল ছাড়াই শুটকি উৎপাদন

নাটোরের নলডাঙ্গায় শুঁটকি পল্লীতে বেড়েছে ব্যস্ততা। মিঠা পানির দেশি প্রজাতি মাছের শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হালতি বিল এলাকার মৎস্যজীবীরা। মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত বৃহৎ হালতিবিলসহ এলাকার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ের পানি কমতে শুরু করায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে দেশীয় প্রজাতির ছোট বড় প্রচুর মাছ। হালতি বিলকে কেন্দ্র করে এর আশপাশে গড়ে উঠেছে ৩/৪টি শুঁটকি পল্লী। এসব শুঁটকিপল্লীতে মাছ শুকানোর কাজে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা হালতি, দূলভপুর, মাধনগরের পরিত্যক্ত জায়গায় গড়ে উঠেছে প্রায় ৩/৪টি শুঁটকি পল্লী। হালতি বিলসহ আশপাশের নদ-নদী,খাল-বিল ও জলাশয়ে জেলেদের জালে ধরা পড়া ছোট বড় নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে শুটকি পল্লীতে সরবরাহ করছে স্থানীয় জেলেরা। শুটকি পল্লীর নারী শ্রমিকরা সেসব মাছকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করছেন আর পুরুষ শ্রমিকরা পরে সেগুলোকে বাঁশের উঁচু মাচায় রৌদ্রে শুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

দেশীয় প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে পুঁটি, চান্দা, টেংরা ও কই মাছ। এগুলোকে রৌদ্রে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করে তারপর বস্তায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে কয়েক মণ শুঁটকি হলেই সেগুলোকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে এ অঞ্চলের শুঁটকির গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এই শুঁটকিপল্লীর ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন ও সাইদুল প্রামানিক জানান,হালতি বিল দেশীয় প্রজাতির মাছের অভয়ারণ্য হওয়ায় এলাকায় ৩/৪টি শুঁটকি পল্লী গড়ে উঠেছে। এতে শ্রমিকদের কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ী- রা জানান, আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এই ৬ মাস শুটকি শুকানোর কাজ চলে। প্রতি ৩/৪ মণ কাঁচা মাছ শুকালে ১ মণ শুটকি তৈরি হয়। তারা আরও জানান, এক মণ শুঁটকি মাছ প্রকার ভেদে বাজারে ৮ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই মাছ শুকানোর কাজে শুধু লবণ ব্যবহার করা হয়। এতে অন্য কোনো মেডিসিন দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শুঁটকি ব্যবসায়ীরা আরও বলেন,সহয়তার জন্য আমাদের সরকারিভাবে সহজ শর্তে ঋণ দিলে এ খাত আরও বেগবান হবে। এখানে বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে।

এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজ্ঞয় কুমারের সঙ্গে। তিনি জানান,আমাদের উপজেলায় প্রায় ৫০ টন শুটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মানসম্মত শুঁটকি প্রস্তুত করতে শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নলডাঙ্গায় বিষাক্ত কেমিক্যাল ছাড়াই শুটকি উৎপাদন

আপডেট সময় : ০৩:০৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

নলডাঙ্গায় বিষাক্ত কেমিক্যাল ছাড়াই শুটকি উৎপাদন

নাটোরের নলডাঙ্গায় শুঁটকি পল্লীতে বেড়েছে ব্যস্ততা। মিঠা পানির দেশি প্রজাতি মাছের শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হালতি বিল এলাকার মৎস্যজীবীরা। মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত বৃহৎ হালতিবিলসহ এলাকার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ের পানি কমতে শুরু করায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে দেশীয় প্রজাতির ছোট বড় প্রচুর মাছ। হালতি বিলকে কেন্দ্র করে এর আশপাশে গড়ে উঠেছে ৩/৪টি শুঁটকি পল্লী। এসব শুঁটকিপল্লীতে মাছ শুকানোর কাজে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা হালতি, দূলভপুর, মাধনগরের পরিত্যক্ত জায়গায় গড়ে উঠেছে প্রায় ৩/৪টি শুঁটকি পল্লী। হালতি বিলসহ আশপাশের নদ-নদী,খাল-বিল ও জলাশয়ে জেলেদের জালে ধরা পড়া ছোট বড় নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে শুটকি পল্লীতে সরবরাহ করছে স্থানীয় জেলেরা। শুটকি পল্লীর নারী শ্রমিকরা সেসব মাছকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করছেন আর পুরুষ শ্রমিকরা পরে সেগুলোকে বাঁশের উঁচু মাচায় রৌদ্রে শুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

দেশীয় প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে পুঁটি, চান্দা, টেংরা ও কই মাছ। এগুলোকে রৌদ্রে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করে তারপর বস্তায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে কয়েক মণ শুঁটকি হলেই সেগুলোকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে এ অঞ্চলের শুঁটকির গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এই শুঁটকিপল্লীর ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন ও সাইদুল প্রামানিক জানান,হালতি বিল দেশীয় প্রজাতির মাছের অভয়ারণ্য হওয়ায় এলাকায় ৩/৪টি শুঁটকি পল্লী গড়ে উঠেছে। এতে শ্রমিকদের কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ী- রা জানান, আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এই ৬ মাস শুটকি শুকানোর কাজ চলে। প্রতি ৩/৪ মণ কাঁচা মাছ শুকালে ১ মণ শুটকি তৈরি হয়। তারা আরও জানান, এক মণ শুঁটকি মাছ প্রকার ভেদে বাজারে ৮ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই মাছ শুকানোর কাজে শুধু লবণ ব্যবহার করা হয়। এতে অন্য কোনো মেডিসিন দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শুঁটকি ব্যবসায়ীরা আরও বলেন,সহয়তার জন্য আমাদের সরকারিভাবে সহজ শর্তে ঋণ দিলে এ খাত আরও বেগবান হবে। এখানে বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে।

এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজ্ঞয় কুমারের সঙ্গে। তিনি জানান,আমাদের উপজেলায় প্রায় ৫০ টন শুটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মানসম্মত শুঁটকি প্রস্তুত করতে শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।