দিনাজপুর বিএডিসি দপ্তর ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছিল আ,লীগ নেতারা!
- আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুর বিএডিসি দপ্তর ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছিল আ,লীগ নেতারা!
সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত দিনাজপুর বিএডিসি দপ্তরটি ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছিল আওয়ামী লীগের পাতি নেতারা। সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে কৃষকদের সেবাদানকারী দপ্তরটি। বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচারী আওয়মী লীগের পতন হলেও এখনো প্রকাশ্য দুর্নীতি করছে আওয়ামিলীগের দোসররা। তাদের বীজ সংরক্ষনের গোডাউন ও বিক্রয় কেন্দ্র (দোকান ঘর) না থাকলেও আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে ডিলার হয়েছেন অনেকে।
সারে জমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) দিনাজপুর সদর উপজেলায় বিগত সরকার আমলে যারা আওয়ামী সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ডিলার নিয়োগ নিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারি মূল্যে বীজ সরবরাহের কথা থাকলেও অধিক মুনাফার লোভে অনত্র বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী ক্ষমতাধর একজন ডিলার হলেন দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বিশ্বস্ত ব্যক্তি আশরাফুল আলম। তিনি বিএডিসির ডিলার নিয়োগ নেয়ার সময় তার বীজ সংরক্ষণের গোডাউন ও বিক্রয় কেন্দ্র (দোকান ঘর) সদর উপজেলার দক্ষিণ সাদিপুর বাজারে মা ট্রেডাস নামক রয়েছে উল্লেখ করেন। সারেজমিনে গিয়ে মা ট্রেডাস নামক কোন প্রতিষ্ঠানের দেখা মেলেনি। দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে সেখানে কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে, তারা বলেন, আশরাফুল কোনদিন বীজের ডিলার হইলো তা আমাদের জানা নেই। কোনদিন দেখিনি কোন কৃষককে ১ কেজি বীজ দিতে। গ্রামের মানুষ আশরাফুলকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবেই জানে।
অবৈধভাবে লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলাররা হলেন, সদর উপজেলার আশরাফুল আলম (লাইসেন্স নং- ১০৬২) দক্ষিণ সাদিপুর। চেহেলগাজী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা জিয়াউর রহমান ওরফে নেতা মুন্না (লাইসেন্স নং-১০৬৬) জামতলী বাজার নশিপুর। সুন্দরপুর ইউনিয়নের খলিলুর রহমান (লাইসেন্স নং- ১০৬৯) টেক্সটাইল বাজার, রামডুবি হাট। ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল। (লাইসেন্স নং- ১০৬৮) উথরাইল মাদ্রাসা মোড়, সদর দিনাজপুর। কোতয়ালী যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম রমজান (লাইসেন্স নং- ১০৬৩) এস আর এন্টারপ্রাইজ কসবা, দিনাজপুর। মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (লাইসেন্স নং- ১০৬৭) মেসার্স আশেশা ট্রেডার্স, ফরিদপুর গোরস্থান মোড় সদর দিনাজপুর। আব্দুল্লাহ আল আমিন (লাইসেন্স নং- ১০৭৩) এসএস সিড, পাঁচবাড়ী সদর দিনাজপুর। এনাম উল্লাহ জ্যামী (লাইসেন্স নং- ১০০৮) মেসার্স জ্যামী ট্রেড হ্যাভেন, বাহাদুর বাজার, দিনাজপুর। ফারুকুজ্জামান চৌধুরী, (লাইসেন্স নং-৯৭৭) মেসার্স চৌধুরি টেডার্স, মহাবলীপুর বাশেরহাট দিনাজপুর।
এ ব্যাপারে আশরাফুল আলমের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ২০১৩ সাল থেকে বীজের ব্যাবসা করি। আমার গোডাউন ও দোকান ঘর সবই রয়েছে আপনারা দেখতে চাইলে মালিগ্রাম বাজারে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। আমার গোডাউন ও দোকান ঘর কয়েক দফায় তদন্ত করে আমাকে ডিলার নিয়োগ দিয়েছে। আপনাদের যা করার করেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন দিনাজপুর শাখার উপ পরিচালক আব্দুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বীজ সংরক্ষণের গোডাউন বা বিক্রয় কেন্দ্র (দোকান ঘর) অনেকেরই নেই সেটা আমার জেনেছি। জনবল সংকট এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া ডিলার বাতিল আমরা করতে পারিনা। আমি বিষয়গুলো উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানাবো।