দিনাজপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কারাগারে জনতা ব্যাংক কমকর্তা

- আপডেট সময় : ০২:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কারাগারে জনতা ব্যাংক কমকর্তা
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জনতা ব্যাংকের সিনিয়র কমকর্তা মো:আব্দুল মান্নান (৫৫) কে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দিনাজপুর জর্জ কোর্টের এজলাশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সুত্রে জানা যায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ও ৩০ ধারায় ২য় স্ত্রীর করা মামলার শুনানিতে জামিন নামঞ্জুর করে এ রায় দেন আদালত। আসামী আব্দুল মান্নান দিনাজপুর শহরের পশ্চিম রামনগরের মৃত রহমত আলী ও মাতা জমিলা খাতুনের পুত্র।
১৮/০২/২০২৩ ইং তারিখে ঘটকের মাধ্যমে দক্ষিন বালুবাড়ীর মৃত তমিজউদ্দিন আহম্মেদের মেয়ে রওশন আরা (৩৯) কে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সেখানে আসামী বলেন পূর্বের স্ত্রীর ১ পুত্র ও ১ মেয়ে থাকলেও স্ত্রী ও পুত্র বেচেঁ নেই মারা গিয়েছে। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বর্তমানে তিনি একাই থাকেন। এরই পেক্ষিতে উভয়পক্ষের আলোচনা অন্তে গত ইং ২০/০২/২০২৩ তারিখে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা দেন মোহরানা ধার্য্য করিয়া পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। কিছুদিন পর জানা যায় যে, আসামীর পূর্বের ১ম স্ত্রী বেঁচে আছেন এবং তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানাধীন বসবাস করেন। ২য় স্ত্রী এই মিথ্যার প্রতিবাদ করলে তুচ্ছ কথায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন এবং মাতা ও ভাইয়ের নিকট হইতে ১০,০০০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা যৌতুক দাবী করনে আসামী মান্নন। এই যৌতুক নিয়ে বিভিন্ন সময় মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন করতেন তিনি। এবং একাধিক বার দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকতেন রওশন আরা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন আসামির ২য় স্ত্রী রওশন আরা(৩৯)। মামলা চলাকালিন আপোষ করার কথা বলে জামিনে মুক্ত থাকলেও কোন প্রকার আপোষের কথা না বলে উল্টো বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকি দিতেন রওশন আরা ও তার পরিবারকে। গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মামলা নং-৪২৮/২৪ দিনাজপুর জর্জ কোর্টের এজলাশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার জি আর নং-৮৭৫/২৩ সদর। বর্তমানে আসামি জেল হাজতে রয়েছে।