দিনাজপুরে অপকর্ম আর দুর্নীতির বাসা বেধেছে রামচন্দ্রপুর সরকারি বিদ্যালয়ে
- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুরে অপকর্ম আর দুর্নীতির বাসা বেধেছে রামচন্দ্রপুর সরকারি বিদ্যালয়ে
দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলা ৬ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে রামচন্দ্রপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহনওয়াজ এর অপকর্ম আর দুর্নীতির বাসা বেধেছে। উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দপ্তরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৮ সালে স্কুলটি স্থাপিত হলেও স্বাভাবিকভাবে স্কুলটি পরিচালনা হয়ে আসছিল। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার সুবাদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই গত ২৪ মার্চ ২০১৩ তারিখে প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহনওয়াজ যোগদান করার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলেও দুর্নীতির বিকশিতর ছোঁয়ায় শিক্ষার মানের ধস নেমেছে। বিদ্যালয়ের পরিছন্নতা ক্লাসরুম, নারী শিক্ষার্থীদের অসংরক্ষিত ওয়াশরুম যেখানে নেই কোন স্যানিটাইজ ব্যবস্থা নেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একেবারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সন্তানদের হাতে-কলমে সুবিধা দিয়ে অসৎ প্রক্রিয়ায় ভাল ফলাফল অর্জন করিয়ে দেয়ার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ হন।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের খেলার মাঠ থাকলেও প্রধান শিক্ষকের ফার্মের গরু বিচরণ করায় মাঠে খেলার মত পরিবেশ নেই, নেই বার্ষিক কোনো ক্রিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ বাথরুমগুলো দরজা ছাড়া এবং জরাজীর্ণ অবস্থা। পরিচয় গোপনে রাখার অনুরোধ জানিয়ে এক শিক্ষিকা জানান, প্রধান শিক্ষকের মনঃপুত শিক্ষক ছাড়া বাকি শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে অসৎ আচরণ বিভিন্ন সময় শিক্ষিকাদের শাড়ি খুলে নেয়া সহ কোথায় কোথায় শোকজ করার ধমক দেখান, অথচ তার মনঃপুত শিক্ষক স্কুলে না আসলেও হাজীরা খাতায় উপস্থিত দেখিয়ে থাকেন। স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিল ভাউচার বানিয়ে বিল তুলে খেয়ে ফেলেন, এসব বিষয়ে উপজেলা ও জেলার শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
প্রধান শিক্ষক শাহনওয়াজ এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট দাবি জানিয়ে বলেন, স্কুলের খেলার মাঠ খেলার উপযোগী করার আমার কাছে কোন সুযোগ নেই তবে বাথরুমের সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করব ।
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সাথে অফিসে যোগাযোগ করতে গেলে অফিসে অনুপস্থিত থাকায় মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভিডিও বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি পোষণ করেন ।