ঢাকা ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি-জামায়াত জাপার প্রার্থীরা মাঠে

এম এম মামুন:
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি-জামায়াত জাপার প্রার্থীরা মাঠে

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিন-তারিখ এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। সম্ভব্য এমপি প্রার্থীরা সংসদীয় এলাকায় নিজের স্থান জানান দিতে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বিএনপি-জামায়াত, জাতীয় পাটির সম্ভব্য প্রার্থীরা নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন। প্রার্থীরা রাজনৈতিক নানা কর্মসূচিতে যোগদানের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে। বিতরণ করছেন শীতবস্ত্র, অতিথি হচ্ছেন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। পাশাপাশি এলাকার মানুষের সমর্থন চাইছেন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের সাথে বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যানার-পোস্টার সাঁটিয়ে চাইছেন দোয়া সমর্থন। তবে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো সাংগঠনিক বা দলীয় তৎপরতা দেখা যায়নি এই নির্বাচনি এলাকায়।

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনের ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। এখানে আগাম নির্বাচনি তৎপরতা শুরু করেছেন বিএনপির সম্ভাব্য চার প্রার্থী। জামায়াতের এক প্রার্থীও জোর সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি জামায়াত নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক কৌশলের অংশ হিসাবে মসজিদ-মাদ্রাসায় সমবেত হয়ে দোয়া মাহফিল করছেন। এসব মাহফিলে তারা ইসলামি শাসন ব্যবস্থার নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য দিচ্ছেন। সমর্থন চাইছেন এলাকাবাসীর। এ আসনে জাতীয় পার্টির এক প্রার্থীও মাঠের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন।

বিএনপির অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই। শরিফ এখন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার (২০০১-২০০৬) সামরিক সচিব ছিলেন। এলাকায় ব্যাপক সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছেন তিনি। গত ১৫ বছর বিএনপির যেসব নেতাকর্মী হামলা মামলায় নিষ্ক্রিয় ও বিপর্যস্ত ছিলেন তাদের সংগঠিত করছেন। গোদাগাড়ী ও তানোরের তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় কমিটিগুলো পুনর্গঠন করছেন। এলাকায় এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথেও যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। শরিফ উদ্দিনের নিজের এলাকা গোদাগাড়ী।

আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে শরিফ উদ্দিন বলেন, বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে আমাকে মাঠের রাজনীতিতে তৎপর হতে বলা হয়েছে। রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আমি দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ করছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছি। আমি ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছি। দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষ আমাকে আগামীতে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান।

সূত্রমতে, রাজশাহী-১ আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হক ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত পরপর তিনবার বিপুল ভোটে জিতেছিলেন। একটি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০০৮ সালে নির্বাচন করতে পারেননি। ওই বছর শরিফের বড় ভাই পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এনামুল হক বিএনপির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। শরিফ উদ্দিন বলেন, এ আসনে বিএনপির ভোটার বেশি। তবে গত সরকারের আমলে প্রহসনের চারটি নির্বাচনে দলীয় ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি। আগামীতে দল আমাকে প্রার্থী করলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ।

শরিফ ছাড়াও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসাবে মাঠে নেমেছেন সুপ্রিমকোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, বিএনপি নেতা সুলতানুল ইসলাম তারেক ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সাজেদুর রহমান মার্কনি। সম্ভব্য প্রার্থীরা জানিয়েছেন, আগামীতে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। এজন্যই এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসাবে মাঠে ব্যাপক দলীয় ও সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছেন দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান। তার বাড়ি গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মহিষালবাড়ি সাগরপাড়া গ্রামে। ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে আরও কয়েকটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হলেও জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। এবার মজিবুর রহমান যেমন সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন, তেমনি দলের দায়িত্বশীলরাও ব্যাপক তৎপর। তারা মসজিদে মসজিদে গিয়ে জামায়াতের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্র কায়েমের কথা বলছেন।

এ বিষয়ে মজিবুর রহমান বলেন, আমি রাজশাহী-১ আসনে দলীয় প্রার্থী হব-দল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেভাবেই নেতাকর্মীরা কাজ শুরু করছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, এ আসনে আমাদের পার্টি প্রার্থী দেবে। আমিই প্রার্থী হব। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছি।

অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি গত কয়েকটি নির্বাচনে এ আসনে রফিকুল ইসলাম পিয়ারুলকে প্রার্থী করেন। তবে ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মতো ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরাও এলাকাছাড়া। ফলে এসব দলের দলীয় ও সাংগঠনিক তৎপরতা এই নির্বাচনি এলাকায় অনুপস্থিত। সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি-জামায়াত জাপার প্রার্থীরা মাঠে

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি-জামায়াত জাপার প্রার্থীরা মাঠে

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিন-তারিখ এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। সম্ভব্য এমপি প্রার্থীরা সংসদীয় এলাকায় নিজের স্থান জানান দিতে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বিএনপি-জামায়াত, জাতীয় পাটির সম্ভব্য প্রার্থীরা নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন। প্রার্থীরা রাজনৈতিক নানা কর্মসূচিতে যোগদানের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে। বিতরণ করছেন শীতবস্ত্র, অতিথি হচ্ছেন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। পাশাপাশি এলাকার মানুষের সমর্থন চাইছেন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের সাথে বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যানার-পোস্টার সাঁটিয়ে চাইছেন দোয়া সমর্থন। তবে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো সাংগঠনিক বা দলীয় তৎপরতা দেখা যায়নি এই নির্বাচনি এলাকায়।

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনের ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। এখানে আগাম নির্বাচনি তৎপরতা শুরু করেছেন বিএনপির সম্ভাব্য চার প্রার্থী। জামায়াতের এক প্রার্থীও জোর সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি জামায়াত নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক কৌশলের অংশ হিসাবে মসজিদ-মাদ্রাসায় সমবেত হয়ে দোয়া মাহফিল করছেন। এসব মাহফিলে তারা ইসলামি শাসন ব্যবস্থার নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য দিচ্ছেন। সমর্থন চাইছেন এলাকাবাসীর। এ আসনে জাতীয় পার্টির এক প্রার্থীও মাঠের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন।

বিএনপির অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই। শরিফ এখন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার (২০০১-২০০৬) সামরিক সচিব ছিলেন। এলাকায় ব্যাপক সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছেন তিনি। গত ১৫ বছর বিএনপির যেসব নেতাকর্মী হামলা মামলায় নিষ্ক্রিয় ও বিপর্যস্ত ছিলেন তাদের সংগঠিত করছেন। গোদাগাড়ী ও তানোরের তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় কমিটিগুলো পুনর্গঠন করছেন। এলাকায় এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথেও যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। শরিফ উদ্দিনের নিজের এলাকা গোদাগাড়ী।

আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে শরিফ উদ্দিন বলেন, বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে আমাকে মাঠের রাজনীতিতে তৎপর হতে বলা হয়েছে। রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আমি দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ করছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছি। আমি ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছি। দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষ আমাকে আগামীতে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান।

সূত্রমতে, রাজশাহী-১ আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হক ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত পরপর তিনবার বিপুল ভোটে জিতেছিলেন। একটি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০০৮ সালে নির্বাচন করতে পারেননি। ওই বছর শরিফের বড় ভাই পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এনামুল হক বিএনপির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। শরিফ উদ্দিন বলেন, এ আসনে বিএনপির ভোটার বেশি। তবে গত সরকারের আমলে প্রহসনের চারটি নির্বাচনে দলীয় ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি। আগামীতে দল আমাকে প্রার্থী করলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ।

শরিফ ছাড়াও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসাবে মাঠে নেমেছেন সুপ্রিমকোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, বিএনপি নেতা সুলতানুল ইসলাম তারেক ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সাজেদুর রহমান মার্কনি। সম্ভব্য প্রার্থীরা জানিয়েছেন, আগামীতে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। এজন্যই এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসাবে মাঠে ব্যাপক দলীয় ও সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছেন দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান। তার বাড়ি গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মহিষালবাড়ি সাগরপাড়া গ্রামে। ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে আরও কয়েকটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হলেও জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। এবার মজিবুর রহমান যেমন সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন, তেমনি দলের দায়িত্বশীলরাও ব্যাপক তৎপর। তারা মসজিদে মসজিদে গিয়ে জামায়াতের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্র কায়েমের কথা বলছেন।

এ বিষয়ে মজিবুর রহমান বলেন, আমি রাজশাহী-১ আসনে দলীয় প্রার্থী হব-দল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেভাবেই নেতাকর্মীরা কাজ শুরু করছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, এ আসনে আমাদের পার্টি প্রার্থী দেবে। আমিই প্রার্থী হব। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছি।

অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি গত কয়েকটি নির্বাচনে এ আসনে রফিকুল ইসলাম পিয়ারুলকে প্রার্থী করেন। তবে ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মতো ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরাও এলাকাছাড়া। ফলে এসব দলের দলীয় ও সাংগঠনিক তৎপরতা এই নির্বাচনি এলাকায় অনুপস্থিত। সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন।