তানোরে বিএনপির দুই গ্রুপের হামলা-পাল্টা হামলা, আহত ১৭

রাজশাহীর তানোরে কম্বল ও ক্যালেন্ডার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের ভবানীপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে সুলতানুল ইসলাম তারেক ও শরিফ উদ্দীনের গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে দুইপক্ষের কারই নাম জানা যায়নি। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে ওই মাদ্রাসা মাঠে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুলতানুল ইসলাম তারেকের শীতবস্ত্র ও ক্যালেন্ডার বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসময় একই আসনের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দীনের অনুসারীরা ওই কর্মসূচিতে হামলা করলে এতেই দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। দুইপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মোট ১৭ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে মাদ্রাসা চত্ত্বরে সুলতানুল ইসলাম তারেকের আগমন উপলক্ষে ছোট একটি মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। এসময় শরিফ উদ্দীনের অনুসারীরা গিয়ে এতে বাধা দেয় এবং কিছু চেয়ার ভাঙচুর করে অন্তত চারজন কর্মী-সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর সুলতানুল ইসলাম তারেক সেখানে গেলে তার কর্মী-সমর্থকেরা শরিফ উদ্দীনের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে দুইপক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। ওই ঘটনার পর পরিবেশ শান্ত হলে সুলতানুল ইসলাম তারেক শীতবস্ত্র ও ক্যালেন্ডার বিতরণ করেন। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর তানোরে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে গেলে এদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

শরিফ উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তানোর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিন মুন্সি বলেন, সুলতানুল ইসলাম তারেক শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন, ভাল কথা। কিন্তু তিনি স্থানীয় বিএনপির নেতাদের দাওয়াত দেননি। ফলে তারা সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানালে ছোট একটা ঘটনা ঘটে।
সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারী স্থানীয় বিএনপি নেতা শামসুল ইসলাম বলেন, সুলতানুল ইসলাম তারেক সাহেবের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু মেজর শরিফের অনুসারীরা ভাঙচুর করেছে। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে হামলা খুবই নিন্দনীয়।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় কোন পক্ষ থেকেই কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।