ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গুরুদাসপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলার চেষ্টার অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগীর পরিবার শাহজাদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও গণ সমাবেশ এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন গোদাগাড়ীতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক সেমিনার বাগাতিপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-২০২৪ নির্বাচিত বাগাতিপাড়ার বাউয়েট বন্ধুসভার উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন রাজশাহীতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে নাটোরে মানববন্ধন নাটোরে নকলবীশদের নাম ব্যবহার করে মানববন্ধন করায় প্রতিবাদ আওয়ামী লীগ এখন এতিমের বাচ্চা হয়ে গেছে- বিএনপি নেতা “দুদু”

তথ্য দিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে কমিশনের কড়া নির্দেশ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২ ২৮ বার পড়া হয়েছে

গোদাগাড়ী উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তথ্য দিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে কমিশনের কড়া নির্দেশ!

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী:
তথ্য দিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে কমিশনের কড়া নির্দেশ! রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের কাছে তথ্যের জন্য আব্দুল বাতেন নামের এক ব্যক্তি আবেন করেন। কিন্তু কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম আবেদন কারীকে তথ্য প্রদান করেননি। গত ২২ আগস্ট শুনানি শেষে তথ্য অধিকার আইনে আবেদনকরীকে আগামী ২০ দিনের মধ্যে তথ্য দিতে কড়া নির্দেশনা প্রদান করেছেন তথ্য কমিশন।

জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর গত ১৬ মার্চ গোদাগাড়ী পৌর এলাকার আব্দুল বাতেন বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। তথ্য অধিকার আইন (২০০৯) অনুযায়ী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম আবেদন কারীকে তথ্য প্রদান করেননি।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনকারী খাদ্য কর্মকর্তার সাথে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জানে আলমের উপস্থিতিতে যোগাযোগ ও তথ্য দেওয়ার বিষয়টি অবগত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে তথ্য দিতে নির্দেশ দিলেও তা কর্ণপাত করেননি।
পরে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদনকারী রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর গত ১৭ এপ্রিল তথ্য পাওয়ার জন্য আপিল করেন। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা দিলদার মাহমুদ আপিল আবেদন পাওয়ার পর গত ১৮ মে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে ২২ মের মধ্যে তথ্য দিতে চিঠি দেয়। এই চিঠির আদেশ অমান্য করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ শফিকুল ইসলাম আবেদন কারীকে তথ্য না দিয়ে নানান টালবাহানা শুরু করে।
পরে আবেদনকারী তথ্য অধিকার আইন অনুসারে প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর গত ৩ জুলাই অভিযোগ দায়ের করেন। তথ্য কমিশন অভিযোগ পাওয়ার পর তা আমলে নিয়ে নিষ্পত্তির জন্য গত ২২ আগস্ট শুনানির দিন ধার্ষ করে সমন জারি করে। এতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম ও তার সহয়োগী হিসেবে খাদ্য পরিদর্শক শফিউর রহমান ও অভিযোগকারী আব্দুল বাতেন ভার্চুয়ালী শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন।
প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদন ও তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম উভয়ের বক্তব্য শুনেন। শুনানিতে উপজেলা খদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে প্রধান তথ্য কমিশনার আবেদনকরীকে কেনো তথ্য দেওয়া হয়নি তা জানতে চাওয়া হলে প্রথমে তা অস্বীকার করে বলেন তিনি কোন তথ্য চাননি, আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।

পরে তথ্য কমিশনারের প্রশ্নের তোপে পড়ে বিষয়টি স্বীকার করেন বলেন আবেদনকরী আমাদের সাথে আর যোগাযোগ করেননি। সেই সময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা পুনরায় প্রশ্ন করেন আবেদনকরীকে তথ্য প্রদানের জন্য ডেকেছেন এমন এমন চিঠি দেখান। এই সময় খাদ্য কর্মকর্তা তা দেখাতে পারেননি। পরে আবেদন কারীকে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তা ডকুমেন্টস সহ বক্তব্য পেশ করেন।
তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম ও খাদ্য পরিদর্শকের শফিউর রহমানের কথার সত্যতা না পেয়ে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মরতুজা আহমেদ আগামী ২০ দিনের মধ্যে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে আবেদনকারী আব্দুল বাতেনকে তথ্য দিতে কড়া নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম তথ্য কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ ও আগামী ২০ দিনের মধ্যে প্রধান তথ্য কমিশনারের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা স্বীকার করে বলেন,আবেদনকারীকে তথ্য দেওয়ার জন্য সকল প্রক্রিয়া প্রস্তুত করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তথ্য দিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে কমিশনের কড়া নির্দেশ!

আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২

তথ্য দিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে কমিশনের কড়া নির্দেশ!

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী:
তথ্য দিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে কমিশনের কড়া নির্দেশ! রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের কাছে তথ্যের জন্য আব্দুল বাতেন নামের এক ব্যক্তি আবেন করেন। কিন্তু কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম আবেদন কারীকে তথ্য প্রদান করেননি। গত ২২ আগস্ট শুনানি শেষে তথ্য অধিকার আইনে আবেদনকরীকে আগামী ২০ দিনের মধ্যে তথ্য দিতে কড়া নির্দেশনা প্রদান করেছেন তথ্য কমিশন।

জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর গত ১৬ মার্চ গোদাগাড়ী পৌর এলাকার আব্দুল বাতেন বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। তথ্য অধিকার আইন (২০০৯) অনুযায়ী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম আবেদন কারীকে তথ্য প্রদান করেননি।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনকারী খাদ্য কর্মকর্তার সাথে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জানে আলমের উপস্থিতিতে যোগাযোগ ও তথ্য দেওয়ার বিষয়টি অবগত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে তথ্য দিতে নির্দেশ দিলেও তা কর্ণপাত করেননি।
পরে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদনকারী রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর গত ১৭ এপ্রিল তথ্য পাওয়ার জন্য আপিল করেন। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা দিলদার মাহমুদ আপিল আবেদন পাওয়ার পর গত ১৮ মে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে ২২ মের মধ্যে তথ্য দিতে চিঠি দেয়। এই চিঠির আদেশ অমান্য করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ শফিকুল ইসলাম আবেদন কারীকে তথ্য না দিয়ে নানান টালবাহানা শুরু করে।
পরে আবেদনকারী তথ্য অধিকার আইন অনুসারে প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর গত ৩ জুলাই অভিযোগ দায়ের করেন। তথ্য কমিশন অভিযোগ পাওয়ার পর তা আমলে নিয়ে নিষ্পত্তির জন্য গত ২২ আগস্ট শুনানির দিন ধার্ষ করে সমন জারি করে। এতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম ও তার সহয়োগী হিসেবে খাদ্য পরিদর্শক শফিউর রহমান ও অভিযোগকারী আব্দুল বাতেন ভার্চুয়ালী শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন।
প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদন ও তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম উভয়ের বক্তব্য শুনেন। শুনানিতে উপজেলা খদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে প্রধান তথ্য কমিশনার আবেদনকরীকে কেনো তথ্য দেওয়া হয়নি তা জানতে চাওয়া হলে প্রথমে তা অস্বীকার করে বলেন তিনি কোন তথ্য চাননি, আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।

পরে তথ্য কমিশনারের প্রশ্নের তোপে পড়ে বিষয়টি স্বীকার করেন বলেন আবেদনকরী আমাদের সাথে আর যোগাযোগ করেননি। সেই সময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা পুনরায় প্রশ্ন করেন আবেদনকরীকে তথ্য প্রদানের জন্য ডেকেছেন এমন এমন চিঠি দেখান। এই সময় খাদ্য কর্মকর্তা তা দেখাতে পারেননি। পরে আবেদন কারীকে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তা ডকুমেন্টস সহ বক্তব্য পেশ করেন।
তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম ও খাদ্য পরিদর্শকের শফিউর রহমানের কথার সত্যতা না পেয়ে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মরতুজা আহমেদ আগামী ২০ দিনের মধ্যে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে আবেদনকারী আব্দুল বাতেনকে তথ্য দিতে কড়া নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম তথ্য কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ ও আগামী ২০ দিনের মধ্যে প্রধান তথ্য কমিশনারের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা স্বীকার করে বলেন,আবেদনকারীকে তথ্য দেওয়ার জন্য সকল প্রক্রিয়া প্রস্তুত করা হচ্ছে।