ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালপুরে বিলমাড়ীয়ায় প্রাইজ মানি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন মোহনপুরে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাবেশ বন্ধের দাবিতে আবেদন শেরপুরে সেনাবাহিনী যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার রাণীনগরে এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলীর আত্মহত্যা রাজশাহীতে উদ্ধারকৃত ৩৩টি মোবাইল ফোন মালিকের কাছে হস্তান্তর রাজশাহীতে ৬ দফা দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ লালপুরে ভাঙা রাস্তায় জনদুর্ভোগে হাজার হাজার পরিবার বড়াইগ্রামে ছাত্রদলের মিছিলে আ.লীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ নাটোরে পলিথিন বর্জনে বিকল্প ব্যাগ সরবরাহ ব্যবসায়ীদের, নিচাবাজারকে পলিথিন মুক্ত ঘোষণা! উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ

ডিজিটাল আইন করে সাংবাদিকদের সত্য লেখা বন্ধ করেছিল শেখ হাসিনা- দুলু

বিশেষ প্রতিনিধি, নাটোরঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিজিটাল আইন করে সাংবাদিকদের সত্য লেখা বন্ধ করেছিল শেখ হাসিনা- দুলু

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের লেখার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাংবাদিকরা স্বাধীন ভাবে এবং সত্য লিখতে পারেনি। ডিজিটাল আইন করে সত্য লেখা বন্ধ করা হয়েছিল। কেউ সত্য লিখলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের কানাইখালী এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্তোরায় নাটোরে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুলু সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, পতিত শেখ হাসিনার আমলে ডিজিটাল আইন দিয়ে আপনাদের লেখার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আপনারা নিরাপক্ষ ভাবে লিখতে পারেননি। অনেক নিরাপদ সাংবাদিককে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। আমরা এ ডিজিটাল আইন পরিবর্তনের দাবী করছি।

তিনি নাটোরের উন্নয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, নাটোরকে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ছিল। আধুনিক নাটোর গড়ার কাজও শুরু করেছিলেন। হালতি বিলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রাস্তাকে সাবমারসিবল করেছিলেন। ওই রাস্তার কারনে মানুষ এখন হালতিবিলে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। বর্ষা মৌসুমে হালতি বিল মিনি কস্কবাজার হিসেবে পরিচিতি পায়। নাটোর স্টোডিয়ামকে আন্তজার্তিকমানের স্টোডিয়াম করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সুযোগ হয়নি। আওয়ামীলীগ সেই স্টেডিয়ামের নাম দিয়েছে শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম। তিনি আওয়ামীলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নাম দিবেন তাতে কারো আপত্তি থাকবেনা। একটি স্টেডিয়াম করে যার নাম দেয়ার ইচ্ছা দিন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নাটোরের ওপর দিয়ে অন্য জেলা গ্যাস যায় অথচ নাটোর পায়নি। তার সময়ে যদি নাটোরের গ্যাস না পেতো তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিতাম।

তিনি আইন শৃংখলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, বিএনপির নাম দিয়ে যদি কেউ চাঁদাবাজি, ছিনতাই, লুট করে আমাকে বললেন। আমি যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারি, তাহলে হাতে চুরি পড়ে রাজনীতি ছেড়ে দেবো। এ বিষয়ে কোনো আপোষ চলবে না। অন্যায়কারীর বিচার হবেই। তাকে দল থেকে বের করে দেয়া হবে। চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কোন স্থান নেই। এছাড়া তিনি নাটোরের বিভিন্ন উন্নয়ন ও ভবিষৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মদ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোর সদর উপজেলা বিএরপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলামসহ যুবদল,ছাত্রদল এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেততৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডিজিটাল আইন করে সাংবাদিকদের সত্য লেখা বন্ধ করেছিল শেখ হাসিনা- দুলু

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডিজিটাল আইন করে সাংবাদিকদের সত্য লেখা বন্ধ করেছিল শেখ হাসিনা- দুলু

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের লেখার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাংবাদিকরা স্বাধীন ভাবে এবং সত্য লিখতে পারেনি। ডিজিটাল আইন করে সত্য লেখা বন্ধ করা হয়েছিল। কেউ সত্য লিখলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের কানাইখালী এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্তোরায় নাটোরে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুলু সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, পতিত শেখ হাসিনার আমলে ডিজিটাল আইন দিয়ে আপনাদের লেখার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আপনারা নিরাপক্ষ ভাবে লিখতে পারেননি। অনেক নিরাপদ সাংবাদিককে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। আমরা এ ডিজিটাল আইন পরিবর্তনের দাবী করছি।

তিনি নাটোরের উন্নয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, নাটোরকে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ছিল। আধুনিক নাটোর গড়ার কাজও শুরু করেছিলেন। হালতি বিলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রাস্তাকে সাবমারসিবল করেছিলেন। ওই রাস্তার কারনে মানুষ এখন হালতিবিলে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। বর্ষা মৌসুমে হালতি বিল মিনি কস্কবাজার হিসেবে পরিচিতি পায়। নাটোর স্টোডিয়ামকে আন্তজার্তিকমানের স্টোডিয়াম করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সুযোগ হয়নি। আওয়ামীলীগ সেই স্টেডিয়ামের নাম দিয়েছে শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম। তিনি আওয়ামীলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নাম দিবেন তাতে কারো আপত্তি থাকবেনা। একটি স্টেডিয়াম করে যার নাম দেয়ার ইচ্ছা দিন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নাটোরের ওপর দিয়ে অন্য জেলা গ্যাস যায় অথচ নাটোর পায়নি। তার সময়ে যদি নাটোরের গ্যাস না পেতো তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিতাম।

তিনি আইন শৃংখলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, বিএনপির নাম দিয়ে যদি কেউ চাঁদাবাজি, ছিনতাই, লুট করে আমাকে বললেন। আমি যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারি, তাহলে হাতে চুরি পড়ে রাজনীতি ছেড়ে দেবো। এ বিষয়ে কোনো আপোষ চলবে না। অন্যায়কারীর বিচার হবেই। তাকে দল থেকে বের করে দেয়া হবে। চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কোন স্থান নেই। এছাড়া তিনি নাটোরের বিভিন্ন উন্নয়ন ও ভবিষৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মদ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোর সদর উপজেলা বিএরপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলামসহ যুবদল,ছাত্রদল এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেততৃবৃন্দ।