ঠাকুরগাঁওয়ে সন্দেহভাজন চোরের জেলে; জনমনে ক্ষোভ!
- আপডেট সময় : ০২:১১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৩১ বার পড়া হয়েছে
আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
রুহিয়ায় গত ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে সাদেকুল এর মুদি দোকান ভাই ভাই স্টোরে চুরির ঘটনায় রুহিয়া থানায় সাদেকুল বাদি হয়ে একটি চুরির মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-২ তারিখ ২৯/০১/২০২২। সিসি টিভি ফুটেজে ২ জন চোরকে দেখা গেলেও তাদেরকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করতে সক্ষম হয়নি রুহিয়া থানা পুলিশ। চেহারার সঙ্গে মিল না থাকা সত্ত্বেও উক্ত মামলায় রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেষপুর মাইনদ্দীন পাড়ার নূরল ইসলামের ছেলে এরশাদ (৩৮) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন থানা পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে এলাকা বাসির মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরা বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, এরশাদ প্রকৃত পক্ষে ভবঘুরে ছেলে তবে চোর নয় এবং সিসি টিভি ফুটেজের ২ জন চোরের চেহারার সঙ্গে তার কোনো সাদৃশ্য না থাকার পরেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করেছেন বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়। তাহলে কি পুলিশ চাইলেই যে কাউকে যখন তখন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে পারে? এ বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে মামলার বাদি সাদেকুল ইসলাম বলেন, মামলার আর্জিতে আমি কোন আসামির নাম উল্লেখ করিনি। উক্ত ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত মেম্বার সফিকুল ইসলাম বলেন, এরশাদ ফিটফাট হয়ে চলতে পছন্দ করে কিন্তু চুরির সঙ্গে সে জড়িত নয়। রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু বলেন, এরশাদ এর পূর্বের ব্যাকগ্রাউন্ড খারাপ থাকলেও বিগত ৫ বছর ধরে তার চলাফেরায় কোনো ত্রুটি পাওয়া যায় নি। রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায় মামলার বিষয়টি ও সন্দেহ ভাজন এরশাদ কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।