ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানার নাম পরিবর্তন করে পুনরায় চালু!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে সুপ্রিয় রেশম কারখানা চালু

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানার নাম পরিবর্তন করে পুনরায় চালু!

নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানার নাম পরিবর্তন করে পুনরায় চালু! দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর ধরে বন্ধ থাকা ঠাকুরগাঁওয়ের অন্যতম মাঝারী শিল্প প্রতিষ্ঠান রেশম কারাখানা অবশেষে বেসরকারিভাবে চালু করা হয়েছে। তবে এ কারখানার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘সুপ্রিয় রেশম কারখানা’। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে প্রধান অথিতি হিসেবে কারখানাটি শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি।

এ সময় সুপ্রিয় গ্রুপের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান মো. বাবলুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, রংপুরের আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. মাহবুব উল হক, ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো. মোদ্দাচ্ছের হোসেন, জেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলীসহ অনেকে।

১৯৭৫-৭৬ অর্থ বছরে শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন একর জায়গা নিয়ে রেশম কারখানাটি স্থাপন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস। পরে সেটি ১৯৮১ সালে রেশম বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০২ সালের ২৯ নভেম্বর লোকসান দেখিয়ে তৎকালীন সরকার কারখানটি বন্ধ করে দেয়।
রেশম বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কারখানাটি ভাড়ায় চালুর জন্য চুক্তি সম্পাদন করেন স্থানীয় সুপ্রিয় গ্রুপ। কারখানাটির সঙ্গে ৭৫ জন শ্রমিক-কর্মচারী ও প্রায় ১০ হাজার তুতচাষি জড়িত ছিলেন। সে সময় কর্মরত দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরি দিচ্ছে সুপ্রিয় গ্রুপের প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি নতুনদেরও কাজের ব্যবস্থা হয়েছে কারখানাটিতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কারখানাটি চালুর উদ্যোগে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের পাশাপাশি ঘটবে উন্নয়ন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানার নাম পরিবর্তন করে পুনরায় চালু!

আপডেট সময় : ০৬:২৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানার নাম পরিবর্তন করে পুনরায় চালু!

নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানার নাম পরিবর্তন করে পুনরায় চালু! দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর ধরে বন্ধ থাকা ঠাকুরগাঁওয়ের অন্যতম মাঝারী শিল্প প্রতিষ্ঠান রেশম কারাখানা অবশেষে বেসরকারিভাবে চালু করা হয়েছে। তবে এ কারখানার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘সুপ্রিয় রেশম কারখানা’। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে প্রধান অথিতি হিসেবে কারখানাটি শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি।

এ সময় সুপ্রিয় গ্রুপের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান মো. বাবলুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, রংপুরের আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. মাহবুব উল হক, ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো. মোদ্দাচ্ছের হোসেন, জেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলীসহ অনেকে।

১৯৭৫-৭৬ অর্থ বছরে শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন একর জায়গা নিয়ে রেশম কারখানাটি স্থাপন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস। পরে সেটি ১৯৮১ সালে রেশম বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০২ সালের ২৯ নভেম্বর লোকসান দেখিয়ে তৎকালীন সরকার কারখানটি বন্ধ করে দেয়।
রেশম বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কারখানাটি ভাড়ায় চালুর জন্য চুক্তি সম্পাদন করেন স্থানীয় সুপ্রিয় গ্রুপ। কারখানাটির সঙ্গে ৭৫ জন শ্রমিক-কর্মচারী ও প্রায় ১০ হাজার তুতচাষি জড়িত ছিলেন। সে সময় কর্মরত দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরি দিচ্ছে সুপ্রিয় গ্রুপের প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি নতুনদেরও কাজের ব্যবস্থা হয়েছে কারখানাটিতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কারখানাটি চালুর উদ্যোগে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের পাশাপাশি ঘটবে উন্নয়ন।