ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিসিবির পণ্যে সয়লাব ঠাকুরগাঁওয়ের খোলাবাজার, প্রশাসন নিরব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টিসিবির পণ্যে সয়লাব ঠাকুরগাঁওয়ের খোলাবাজার, প্রশাসন নিরব

আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ  টিসিবির পণ্যে সয়লাব ঠাকুরগাঁওয়ের খোলাবাজার, প্রশাসন নির। ঠাকুরগাঁও শহরের বাইরের বিভিন্ন হাটে বাজারে দোকানে দোকানে এখন সয়লাব টিসিবির সয়াবিন তেল। তবে বিক্রি হচ্ছে খোলাবাজার দরে। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় এমটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে ক্রেতারা।

ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী হাটের দোকান গুলোতে দেখাযায়, দোকানের রেকে শোভা পাচ্ছে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা টিসিবির বেশ কিছু বসুন্ধরা সয়াবিন তেল। তেল কিনতে চাইলে তেলের বোতল দেওয়ার আগেই ২ লিটার তেলের জন্যে দোকানি দাম হাকালেন ৩৪০ টাকা। যোদিও বোতলের গায়ে কোনো মুল্য লেখা ছিলোনা। বোতোলের একপাশের ষ্টিকার ছেড়া। দোকানের পিছনদিকে থাকা খোলা গোডাউনে পাওয়া গেলো টিসিবির মনোগ্রাম সহ আরও এক বাক্স সয়াবিন তেল।

দোকানে রাখা সয়াবিন তেলগুলো টিসিবির পণ্য হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে দোকানদার আকরাম বলন, দোকানের ছেলেরা লাইনে দাড়িয়ে একটি একটি করে কিনেছিলো। বাসায় খবার জন্যে রেখেছি। ছেলেটি ভুল করে ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিল। তবে দোকানে পাওয়া টিসিবির বাক্সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের এক দোকানদার জানান, বাজারের প্রায় প্রতিটি দোকানে এরকম টিসিবির তেল,ডাল ও চিনি পাওয়া যাবে। সবাই প্রায় খোলামেলা ভাবেই এগুলো বিক্রি করছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখছিনা।

আকরামের মোদি দোকানে টিসিবির পণ্যের ফুটেজ নেবার সময় বাজারের ক্রেতাসাধারণের ভীড় জমে যায়। অনেকেই দোকানিকে অসাধু আখ্যা দিয়ে দোকান বয়কটের ঘোষনা দিতে থাকে। এই ঘটনা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য অনেক মোদি দোকান বন্ধ করে দেবার দৃশ্য চোখে পড়ে।

উপস্থিত এক ক্রেতা জানান, এই দোকান থেকে এর আগে আমি এমনি একটি তেলের বোতল কিনে নিয়ে গেছি। আমি না জেনে এটা কিনেছিলাম। এই অসাধু ব্যবসায়ী ও তাদেরকে সহযোগীতা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এই বিষয়ে সেই এলাকার টিসিবির ডিলার শিমুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই দোকানে পাওয়া টিসিবির তেল কোথায় থেকে এসেছে আমার জানা নেই। আমি কোনো দোকানির কাছে কখনোই বিক্রি করিনি।

ঠাকুরগাঁও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী জানান, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। দুরের বাজার গুলোতে একটু কম যাওয়া হচ্ছে। তবে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টিসিবির পণ্যে সয়লাব ঠাকুরগাঁওয়ের খোলাবাজার, প্রশাসন নিরব

আপডেট সময় : ০৩:১০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২

টিসিবির পণ্যে সয়লাব ঠাকুরগাঁওয়ের খোলাবাজার, প্রশাসন নিরব

আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ  টিসিবির পণ্যে সয়লাব ঠাকুরগাঁওয়ের খোলাবাজার, প্রশাসন নির। ঠাকুরগাঁও শহরের বাইরের বিভিন্ন হাটে বাজারে দোকানে দোকানে এখন সয়লাব টিসিবির সয়াবিন তেল। তবে বিক্রি হচ্ছে খোলাবাজার দরে। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় এমটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে ক্রেতারা।

ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী হাটের দোকান গুলোতে দেখাযায়, দোকানের রেকে শোভা পাচ্ছে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা টিসিবির বেশ কিছু বসুন্ধরা সয়াবিন তেল। তেল কিনতে চাইলে তেলের বোতল দেওয়ার আগেই ২ লিটার তেলের জন্যে দোকানি দাম হাকালেন ৩৪০ টাকা। যোদিও বোতলের গায়ে কোনো মুল্য লেখা ছিলোনা। বোতোলের একপাশের ষ্টিকার ছেড়া। দোকানের পিছনদিকে থাকা খোলা গোডাউনে পাওয়া গেলো টিসিবির মনোগ্রাম সহ আরও এক বাক্স সয়াবিন তেল।

দোকানে রাখা সয়াবিন তেলগুলো টিসিবির পণ্য হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে দোকানদার আকরাম বলন, দোকানের ছেলেরা লাইনে দাড়িয়ে একটি একটি করে কিনেছিলো। বাসায় খবার জন্যে রেখেছি। ছেলেটি ভুল করে ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিল। তবে দোকানে পাওয়া টিসিবির বাক্সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের এক দোকানদার জানান, বাজারের প্রায় প্রতিটি দোকানে এরকম টিসিবির তেল,ডাল ও চিনি পাওয়া যাবে। সবাই প্রায় খোলামেলা ভাবেই এগুলো বিক্রি করছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখছিনা।

আকরামের মোদি দোকানে টিসিবির পণ্যের ফুটেজ নেবার সময় বাজারের ক্রেতাসাধারণের ভীড় জমে যায়। অনেকেই দোকানিকে অসাধু আখ্যা দিয়ে দোকান বয়কটের ঘোষনা দিতে থাকে। এই ঘটনা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য অনেক মোদি দোকান বন্ধ করে দেবার দৃশ্য চোখে পড়ে।

উপস্থিত এক ক্রেতা জানান, এই দোকান থেকে এর আগে আমি এমনি একটি তেলের বোতল কিনে নিয়ে গেছি। আমি না জেনে এটা কিনেছিলাম। এই অসাধু ব্যবসায়ী ও তাদেরকে সহযোগীতা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এই বিষয়ে সেই এলাকার টিসিবির ডিলার শিমুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই দোকানে পাওয়া টিসিবির তেল কোথায় থেকে এসেছে আমার জানা নেই। আমি কোনো দোকানির কাছে কখনোই বিক্রি করিনি।

ঠাকুরগাঁও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী জানান, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। দুরের বাজার গুলোতে একটু কম যাওয়া হচ্ছে। তবে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।