ঝিনাইগাতীতে সেপটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক!
- আপডেট সময় : ০৯:০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইগাতীতে সেপটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক!
মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর প্রতিনিধিঃ
গত ১৯ এপ্রিল প্রথম স্ত্রীকে শশুর বাড়ি থেকে নিয়ে এসে হত্যা করে নিজ বাড়ির সেপটি ট্যাংকিতে রেখে দেয় স্বামী। ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে এবং সেখানে মাছি উড়তে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে এদিন দুপুরে ওই সেপটি ট্যাংকি থেকে এক গৃহবধুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে স্বামীকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের দেবোত্তরপাড়া দান্নেরপাড়া গ্রামে।
নিহত গৃহবধু উপজেলার পাগলারমুখ গ্রামের আব্দুল হাকিমের নামে ৩০ বছর বয়সী মেয়ে আকলিমা বেগম। তিনি দুই সন্তানের জননী ছিলেন বলে জানা গেছে। আটককৃত স্বামী ওই গ্রামের মালিঝিকান্দা দান্নেরপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে রহমত উল্লাহ। এ ঘটনায় নিহত আকলিমার বড় ভাই বাদী হয়ে রহমত উল্লাহ কে প্রধান আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে রহমত উল্লাহ ও আকলিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি সন্তানও আছে। কিন্তু পারিবারিক কলহের কারণে প্রায় ৬ বছর আগে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে রহমত দ্বিতীয় বিয়ে করে। কিছুদিন পরে সে আবরও আকলিমাকে নিয়ে চাইলে দু সন্তানের কথা ভেবে তাদের পুনরায় বিয়ে হয়। বিয়ে হলেও আকলিমা তার বাবার বাড়িতেই থাকতো। আকলিমা রহমত কে তার বাড়িয়ে নিয়ে যেতে বললেই শুরু হয় ঝগড়া বিবাদ। এরই একপর্যায়ে গত ১৯ এপ্রিল আকলিমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায় রহমত উল্লাহ। তারপর থেকেই নিখোঁজ আকলিমা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায় তার বাবার বাড়ির লোকজন। এদিকে রহমত উল্লাহকেও পাওয়া যাচ্ছিলোনা।
পুলিশ জানান, স্থানীয়দের খবরে বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল পুলিশ রহমত উল্লার বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে আকলিমা বেগমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাদতদন্তের জন্য শেরপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই হত্যার সাথে জড়িত পাষন্ড স্বামীকে ওইদিন রাতে জেলার শ্রীবরর্দী থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে শ্রীবরর্দী থানা এলাকা থেকে স্বামী রহমত উল্লাহ কে আটক করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বশির আহম্মেদ বাদল বলেন, রমত উল্লাকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে তার প্রথম স্ত্রীকে সে একাই হত্যা করে সেফটি ট্যাংকিতে গুম করার উদ্দেশ্যে রেখে দেয়। এই হত্যাকান্ডের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ। রহমত উল্লাহ কে শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।