ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীনগরে রেলগেটের যানজট নিরসনে আন্ডারপাস বা ফ্লাইওভারের দাবিতে মানববন্ধন মান্দায় বাড়ির আঙিনা থেকে ছয়টি গাঁজার গাছ উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিকে দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত চারঘাটে রঙ মেশানো ১২ টন মুগডাল জব্দ, দুই মিল মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা ঠাকুরগাঁওয়ে বিস্কুট খাওয়ার পরপরই অসুস্থ কুমারপুর বিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রী! বাগাতিপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার- রহস্য আত্মহত্যা নাকি হত্যা? শেরপুরে প্রণোদনার ভাগ না পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পে’টালেন ছাত্রদল নেতা! নাটোরের বড়াইগ্রামে আদিবাসী হত্যা দিবস পালিত রাণীনগরে ধানক্ষেত থেকে যুবকের লা’শ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হ/ত্যা পঞ্চগড়ে ৭ হাজারের বেশি কৃষকের মাঝে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ শুরু

ঝিনাইগাতীতে শতাধিক একর জমির ধান চিটা, কৃষকের মাথায় হাত!

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৫:০২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইগাতীতে শতাধিক একর জমির ধান চিটা, কৃষকের মাথায় হাত!

দূর থেকে দেখলে মনে হবে পাকা ধানে ভরে গেছে বোর ধানের ক্ষেত। কিন্তু বাস্তবে ক্ষেতে গেলে দেখা যায় পুরো ক্ষেতে নামমাত্র কোন ধান নেই, সবই চিটা। এমন ভয়ংকর ক্ষতিতে কৃষকদের মাথায় হাত! ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে। কৃষকরা বলছে, দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও তারা তাদের ক্ষেতের ফসলকে পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা করতে পারেনি। এদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ তাদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে বলছে, মাজরা পোকা দমনে বাজারের সবচেয়ে ভালো কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

জানা গেছে,পর্যটনের আনন্দে তুলশী মালার সুগন্ধে শেরপুর। ধান উৎপাদনের অন্যতম জেলা শেরপুর। গেলো বছর কয়েক দফা পাহাড়ী ঢলে পুরো জেলায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা সবোর্চ্চ চেষ্টা করে বোর ধান চাষে। এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক তাদের শতাধিক একর জমিতে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার হাইব্রিড সীড্স এর জনক রাজ বোর ধান সংগ্রহ করে বীজ রোপণ করেন। ক্ষেতের অবস্থা দেখে কৃষকরাও বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধেঁছিলো। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। ধানের থোর বের হওয়ার সময় দেখা দেয় মাজরা পোকার আক্রমণ। এতে কৃষকরা দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে উক্ত জমিগুলোতে কীটনাশক ব্যবহার করলেও মিলেনি কোন প্রতিকার। এতে প্রায় শতাধিক একর জমির বোর ধান পুরোটাই চিটা।

ফলে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছে ওইসব কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, স্থানীয় সার ও কীটনাশক ডিলার এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে নানা প্রকার বিষ প্রয়োগের পরেও আমাদের বোর ক্ষেতের পুরো ধান চিটা হয়ে গেছে। এখন আমরা সংসার চালাবো কিভাবে আর দায়-দেনা পরিশোধইবা করবো কিভাবে? আমাদের এই বিশাল ক্ষতির দায় এখন কে নেবে?

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. ফরহাদ হোসেন জানান,বোর ধান চাষীদের মাজরা পোকা দমনে বাজারের ভালো কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা সহ উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক বিষয়ে খেঁজখবর নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।এদিকে এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন- উপজেলার ডেফলাই গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষকের শতাধিক একর জমির বোর ধান চিটায় পরিণত হওয়ার পিছনে দায়ী স্থানীয় ডিলার?কৃষি বিভাগ?নাকি বীজ কোম্পানী?

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঝিনাইগাতীতে শতাধিক একর জমির ধান চিটা, কৃষকের মাথায় হাত!

আপডেট সময় : ০৫:০২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

ঝিনাইগাতীতে শতাধিক একর জমির ধান চিটা, কৃষকের মাথায় হাত!

দূর থেকে দেখলে মনে হবে পাকা ধানে ভরে গেছে বোর ধানের ক্ষেত। কিন্তু বাস্তবে ক্ষেতে গেলে দেখা যায় পুরো ক্ষেতে নামমাত্র কোন ধান নেই, সবই চিটা। এমন ভয়ংকর ক্ষতিতে কৃষকদের মাথায় হাত! ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে। কৃষকরা বলছে, দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও তারা তাদের ক্ষেতের ফসলকে পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা করতে পারেনি। এদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ তাদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে বলছে, মাজরা পোকা দমনে বাজারের সবচেয়ে ভালো কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

জানা গেছে,পর্যটনের আনন্দে তুলশী মালার সুগন্ধে শেরপুর। ধান উৎপাদনের অন্যতম জেলা শেরপুর। গেলো বছর কয়েক দফা পাহাড়ী ঢলে পুরো জেলায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা সবোর্চ্চ চেষ্টা করে বোর ধান চাষে। এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক তাদের শতাধিক একর জমিতে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার হাইব্রিড সীড্স এর জনক রাজ বোর ধান সংগ্রহ করে বীজ রোপণ করেন। ক্ষেতের অবস্থা দেখে কৃষকরাও বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধেঁছিলো। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। ধানের থোর বের হওয়ার সময় দেখা দেয় মাজরা পোকার আক্রমণ। এতে কৃষকরা দায়-দেনা করে স্থানীয় ডিলার ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে উক্ত জমিগুলোতে কীটনাশক ব্যবহার করলেও মিলেনি কোন প্রতিকার। এতে প্রায় শতাধিক একর জমির বোর ধান পুরোটাই চিটা।

ফলে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছে ওইসব কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, স্থানীয় সার ও কীটনাশক ডিলার এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে নানা প্রকার বিষ প্রয়োগের পরেও আমাদের বোর ক্ষেতের পুরো ধান চিটা হয়ে গেছে। এখন আমরা সংসার চালাবো কিভাবে আর দায়-দেনা পরিশোধইবা করবো কিভাবে? আমাদের এই বিশাল ক্ষতির দায় এখন কে নেবে?

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. ফরহাদ হোসেন জানান,বোর ধান চাষীদের মাজরা পোকা দমনে বাজারের ভালো কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা সহ উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক বিষয়ে খেঁজখবর নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।এদিকে এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন- উপজেলার ডেফলাই গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষকের শতাধিক একর জমির বোর ধান চিটায় পরিণত হওয়ার পিছনে দায়ী স্থানীয় ডিলার?কৃষি বিভাগ?নাকি বীজ কোম্পানী?