ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার পঞ্চগড়ে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল রাণীশংকৈলে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র উদ্বার, মাদক কারবারির ১ বছর কারাদণ্ড দেবীগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করেছে কৃষক নাটোরে জিয়া পরিষদ ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহীতে অস্ত্র মামলার ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদকসহ গ্রেপ্তার দিনাজপুরে কেবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ’র মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল রাণীনগরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত বাগাতিপাড়ায় ফারিয়া’র নির্বাচনে নিজের ভোটও না পাওয়া প্রার্থী এবার হলেন সভাপতি দরিদ্র্যতা দমাতে পারেনি জুঁইকে, এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫, স্বপ্ন দেখেন ডাক্তার হওয়ার

ঝিনাইগাতীতে ফাকরাবাদ বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি অবৈধ দখলে

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইগাতীতে ফাকরাবাদ বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি অবৈধ দখলে

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ৩নং নলকুড়া ইউনিয়নে দেশ স্বাধীনতার আগে মহারশি নদীর পার ঘেষে স্থাপন করা হয়েছিল সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর নামে বিডিআর ক্যাম্পের বাজার। ততকালীন ক্যাম্পের সরকারি কর্মকর্তা বিডিআর ফোর্স ও স্থানীয় এলাকাবাসীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা মেটাতে ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি বাজার বসানো হয়েছিল। তাই সবার কাছে ক্যাম্পের বাজার নামে পরিচিত ছিল।

ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পের বাজারে স্বাধীনতার পূর্বে থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ এ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি ক্রয়-বিক্রয় করতো। মহারশি নদী পথে যাতায়াতের সুবিধা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকাররা এখান থেকে কৃষি পন্য সারাদেশে আমদানি রফতানি করতো।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোরে বাজারের কিছু অংশ জমিসহ বিডিআর ক্যাম্পটি মহারশি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।পরে এলাকার নামানুসারে বাজারটি নাম রাখা হয় ফাকরাবাদ বাজার নামে পরিচিত হয়ে উঠে।কিন্তু কালের বিবর্তনে বাজারের জমিতে স্থানীয়রা স্থায়ী অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে নেয় বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি। ফলে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে বাজারটি।আশির দশকের পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজারে জায়গা না পেয়ে রাস্তার পাশে ভাড়াটিয়া হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।এতে ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের জামানত ও মাসিক ভাড়া।

বাজারের ইজারাদার মোঃ সালাম বলেন, এই বাজারে ততকালীন প্রতিবছর ইজারা ডাক হতো ৬০ হাজার টাকা। আর এখন বছরে মাত্র ১৪ হাজার টাকা ইজারা ডাক হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অবঃ সেনা সদস্য মোঃ মজিবর রহমান বলেন,আমার বাপ-দাদার আমলে এই বাজারে গরু মহিষ ছাগল ভেড়া হাস মুরগী ধান চাউলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেচাকেনার ঐতিহাসিক বাজার হিসেবে পরিচিত ছিল।কিন্তু বর্তমানে বাজারের সমুদয় জায়গা অবৈধ দখলদাররা দখল করে নিয়েছে। তারা নিজেরাও ব্যবসা করেনা এবং কি অন্যকেও ব্যবসা করতে দেয়না।অবৈধভাবে ঘর করে দিচ্ছে মাসিক হারে ভাড়া। তাই সরকার প্রতিবছর মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, যদি সরকার অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে বাজারের জায়গা উদ্ধার করে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মাঝে বরাদ্দ দেয়। তাহলে বাজারটি সচল হওয়ার পাশাপাশি বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঝিনাইগাতীতে ফাকরাবাদ বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি অবৈধ দখলে

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ঝিনাইগাতীতে ফাকরাবাদ বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি অবৈধ দখলে

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ৩নং নলকুড়া ইউনিয়নে দেশ স্বাধীনতার আগে মহারশি নদীর পার ঘেষে স্থাপন করা হয়েছিল সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর নামে বিডিআর ক্যাম্পের বাজার। ততকালীন ক্যাম্পের সরকারি কর্মকর্তা বিডিআর ফোর্স ও স্থানীয় এলাকাবাসীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা মেটাতে ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি বাজার বসানো হয়েছিল। তাই সবার কাছে ক্যাম্পের বাজার নামে পরিচিত ছিল।

ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পের বাজারে স্বাধীনতার পূর্বে থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ এ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি ক্রয়-বিক্রয় করতো। মহারশি নদী পথে যাতায়াতের সুবিধা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকাররা এখান থেকে কৃষি পন্য সারাদেশে আমদানি রফতানি করতো।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোরে বাজারের কিছু অংশ জমিসহ বিডিআর ক্যাম্পটি মহারশি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।পরে এলাকার নামানুসারে বাজারটি নাম রাখা হয় ফাকরাবাদ বাজার নামে পরিচিত হয়ে উঠে।কিন্তু কালের বিবর্তনে বাজারের জমিতে স্থানীয়রা স্থায়ী অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে নেয় বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি। ফলে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে বাজারটি।আশির দশকের পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজারে জায়গা না পেয়ে রাস্তার পাশে ভাড়াটিয়া হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।এতে ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের জামানত ও মাসিক ভাড়া।

বাজারের ইজারাদার মোঃ সালাম বলেন, এই বাজারে ততকালীন প্রতিবছর ইজারা ডাক হতো ৬০ হাজার টাকা। আর এখন বছরে মাত্র ১৪ হাজার টাকা ইজারা ডাক হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অবঃ সেনা সদস্য মোঃ মজিবর রহমান বলেন,আমার বাপ-দাদার আমলে এই বাজারে গরু মহিষ ছাগল ভেড়া হাস মুরগী ধান চাউলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেচাকেনার ঐতিহাসিক বাজার হিসেবে পরিচিত ছিল।কিন্তু বর্তমানে বাজারের সমুদয় জায়গা অবৈধ দখলদাররা দখল করে নিয়েছে। তারা নিজেরাও ব্যবসা করেনা এবং কি অন্যকেও ব্যবসা করতে দেয়না।অবৈধভাবে ঘর করে দিচ্ছে মাসিক হারে ভাড়া। তাই সরকার প্রতিবছর মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, যদি সরকার অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে বাজারের জায়গা উদ্ধার করে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মাঝে বরাদ্দ দেয়। তাহলে বাজারটি সচল হওয়ার পাশাপাশি বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে।