ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগাতিপাড়া থেকে ১১ বছরের শিশু শিমুল নিখোঁজ ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃ শং স হ/ত্যা র প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পঞ্চগড়ে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের জনসংযোগ পঞ্চগড়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দিলু কারাগারে বালিয়াডাঙ্গীতে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় দুই পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা; ১ জনের মৃত্যু পঞ্চগড়ে তিনদিন ব্যাপী অভিনয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু পঞ্চগড়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেনাবাহিনীর অভিযান মালিককে জরিমানা ঝিনাইগাতীতে সেনা সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীদের মানববন্ধন সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ীতে পিকআপভর্তি ২৬০ বোতল বিদেশী মদ জব্দ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের অভিযান: একজনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভর্তি জসিমের

নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভর্তি জসিমের

ছোট বেলা থেকেই বাবার সাথে দিনমজুরী করে পড়াশোনা করেছেন জসিম উদ্দীন। খেয়ে না খেয়ে পরিশ্রম করেছেন স্বপ্ন পুরণের জন্য। সেই স্বপ্ন পুরনে বাধা এখন অভাব। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তে বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চোচপাড়া বুরাবার গ্রামের দিনমজুরের ছেলে জসিম উদ্দিন। চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় সফল হলেও অর্থের অভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন।

জসিম উদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘ডি’ ইউনিটে ৪৪৭তম মেধাক্রমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া তার পক্ষে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

জসিমের বাবা তসলিম উদ্দিন একজন দিনমজুর এবং মা মহসিনা বেগম গৃহিণী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ছোট জসিম পরিবারে শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাচ্ছেন নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে। বড়পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন জসিম।

জসিম উদ্দিন বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল প্রশাসনের ক্যাডার হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও এখন পরিবারের টানাপোড়েনে সেই স্বপ্ন থমকে গেছে। আগামী ২০ মে ভর্তির শেষ তারিখ। এখনও ভর্তির টাকা জোগাড় হয়নি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সুবিধা না থাকায় ভর্তি হওয়ার পরে ম্যাচে থেকে পড়াশোনা করতে হবে।

জসিমের বাবা তসলিম উদ্দীন জানান, স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করার সময় একসাথে এত টাকা লাগেনি। অল্প করে খরচ ছিল, দিনমজুরী করে চালিয়েছি। এখন একসাথে ভর্তির টাকা, ম্যাচে থাকতে হবে। ভাড়া, খাওয়া খরচ সবমিলিয়ে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে আমার পক্ষে। ভিটেবাড়ী ছাড়া কোন সম্পদ নেই যে, বিক্রি করে ছেলের পিছনে খরচ করবো।

ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভর্তির জন্য সহযোগিতা চান জসিমের বাবা ও মা। তাদের অনুরোধ এই দুঃসময়ে ছেলের স্বপ্ন পুরনে মানবিক মানুষদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে অনুরোধ জানান তিনি।

বড়পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নগেন্দ্র নাথ পাল বলেন, জসিমের পড়াশোনা করেছে অনেক কষ্ট করে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিটা টাকার জন্য আটকে গেছে। সবাই এগিয়ে আসলে ছেলেটার ভবিষ্যত সুন্দর হবে। আমরাও স্কুল থেকে চেষ্টা করছি।

এদিকে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভর্তি জসিমের

আপডেট সময় : ০২:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভর্তি জসিমের

ছোট বেলা থেকেই বাবার সাথে দিনমজুরী করে পড়াশোনা করেছেন জসিম উদ্দীন। খেয়ে না খেয়ে পরিশ্রম করেছেন স্বপ্ন পুরণের জন্য। সেই স্বপ্ন পুরনে বাধা এখন অভাব। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তে বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চোচপাড়া বুরাবার গ্রামের দিনমজুরের ছেলে জসিম উদ্দিন। চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় সফল হলেও অর্থের অভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন।

জসিম উদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘ডি’ ইউনিটে ৪৪৭তম মেধাক্রমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া তার পক্ষে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

জসিমের বাবা তসলিম উদ্দিন একজন দিনমজুর এবং মা মহসিনা বেগম গৃহিণী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ছোট জসিম পরিবারে শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাচ্ছেন নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে। বড়পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন জসিম।

জসিম উদ্দিন বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল প্রশাসনের ক্যাডার হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও এখন পরিবারের টানাপোড়েনে সেই স্বপ্ন থমকে গেছে। আগামী ২০ মে ভর্তির শেষ তারিখ। এখনও ভর্তির টাকা জোগাড় হয়নি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সুবিধা না থাকায় ভর্তি হওয়ার পরে ম্যাচে থেকে পড়াশোনা করতে হবে।

জসিমের বাবা তসলিম উদ্দীন জানান, স্কুল-কলেজের পড়াশোনা করার সময় একসাথে এত টাকা লাগেনি। অল্প করে খরচ ছিল, দিনমজুরী করে চালিয়েছি। এখন একসাথে ভর্তির টাকা, ম্যাচে থাকতে হবে। ভাড়া, খাওয়া খরচ সবমিলিয়ে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে আমার পক্ষে। ভিটেবাড়ী ছাড়া কোন সম্পদ নেই যে, বিক্রি করে ছেলের পিছনে খরচ করবো।

ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভর্তির জন্য সহযোগিতা চান জসিমের বাবা ও মা। তাদের অনুরোধ এই দুঃসময়ে ছেলের স্বপ্ন পুরনে মানবিক মানুষদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে অনুরোধ জানান তিনি।

বড়পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নগেন্দ্র নাথ পাল বলেন, জসিমের পড়াশোনা করেছে অনেক কষ্ট করে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিটা টাকার জন্য আটকে গেছে। সবাই এগিয়ে আসলে ছেলেটার ভবিষ্যত সুন্দর হবে। আমরাও স্কুল থেকে চেষ্টা করছি।

এদিকে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ।