চাটমোহরে প্রায় প্রতিরাতেই চুরি হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

- আপডেট সময় : ০২:২৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
চাটমোহরে প্রায় প্রতিরাতেই চুরি হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন
চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় প্রতিরাতেই কৃষকের স্বপ্ন চুরি হয়ে যাচ্ছে। সারা বছরের কষ্টে অর্জিত সম্পদ নিমেষেই ফাঁকা করে দিচ্ছে চোরের দল। গত চার দিনে হরিপুর ইউনিয়ন থেকে তিনটি ডিবি গ্রাম ইউনিয়ন থেকে পাঁচটি ও সর্বশেষ ২২ শে মে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১ টা থেকে ভোর ৫ টার মধ্যে নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল প্রামানিক এর ছেলে শাহজাহান আলীর দুটি মহিষ চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। যার আনুমানিক মূল্য ছিল ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। এ সকল কৃষকরা কোরবানিকে সামনে রেখে বাড়িতে দীর্ঘ ১-২ বছর ধরে লালন পালন করে আসছিল এ সকল গরু ও মহিষ। কিন্তু মাত্র চার দিনের ব্যবধানে শুধুমাত্র চাটমোহর উপজেলা থেকেই প্রায় ১২ লক্ষ টাকা মূল্য মানের গরু ও মহিষ চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল।
ফলে সারা বছর ধরে কৃষক যে স্বপ্ন দেখেছিলেন একটু লাভবান হওয়ার তা নিমেষেই ধুলোয় মিশিয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামেই রাত জেগে গরু পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসী। অপর দিকে প্রধান সড়ক গুলোতে থানা পুলিশ টহল দিচ্ছে। কিন্তু এত সকল নিরাপত্তার মধ্যেও প্রতিদিনই চুরির ঘটনা চাটমোহর বাসীকে আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে। আবার একাধিক চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ হলেও এখন পর্যন্ত চোরকে আটক করা বা চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অনেকেই মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হয়তো বা তাদের কাজ সঠিকভাবে করছেন না। ফলে একটু লাভের আশায় কৃষক যে স্বপ্ন বুনেছিল তা নিমেশেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সুধী সমাজ মনে করেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সাথে এলাকার সাধারণ মানুষেরও এই সকল নিরাপত্তার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। প্রয়োজনে রাত জেগে পাহারা দেওয়া, আঞ্চলিক সড়কগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল আলমের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোন নাম্বারে (সকাল ১২.০০) যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আগামী সোমবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আমরা এই সকল চুরি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করবো। সেখানে সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে এ সকল চুরি বন্ধের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।