চাটমোহরে জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন
- আপডেট সময় : ০১:০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২ ৪২ বার পড়া হয়েছে
চাটমোহরে জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন। আইনের আশ্রয় নিলেই করা হয় সংঘবদ্ধ হামলা মারপিট
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
চাটমোহরে জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন। পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের পৈলানপুর গ্রামের এক পরিবারের সদস্যরা তাদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার
দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে চাটমোহর থানা মোড় এলাকায় অবস্থিত সাদ হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৈলানপুর গ্রামের নির্যাতিত পরিবারের পক্ষে আব্দুর রশীদের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, “আমি আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন ও
সম্পদের নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। আমার শ্বশুর মৃত ইব্রাহিম হোসেন ও মৃত ওছিম উদ্দিন আপন দুই ভাই ছিলেন। ইব্রাহিম হোসেনের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগনকে ওছিম উদ্দিন প্রাপ্য সম্পত্তি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করে। ওছিম উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগনও দীর্ঘ সময় ধরে উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করতে থাকেন। উপজেলার জাবরকোল মৌজার ২৭২ খতিয়ানের প্রায় সাড়ে ৩ একর জমি, বাড়ি নিয়ে বিরোধ চলমান। এ বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ওছিম উদ্দিনের ছেলে ররিউল করিমের দায়েরকৃত ৬৯/০৭ বাটোয়ারা মামলা আদালতে চলমান থাকা অবস্থায় প্রায় এক বছর পূর্ব হতে আমাদের বসত বাড়ী থেকে জোড় পূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করছে রবিউল গং। দীর্ঘ দিন যাবত তারা আমাদের হক দখলীয় বাড়ি সংলগ্ন পালান বার বার বেদখল দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন। দফায় দফায় আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করছেন, মারধোর করছেন, হামলা, মামলা মোকদ্দমায় জর্জরিত করে আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, গত কয়েক দিনে কয়েক দফায় আমাদের কে তারা মারপিট করে রক্তাক্ত যখম করেছে। সকালে আইনের আশ্রয় নিলে বিকেলেই আবার দলবল নিয়ে এসে আবার হামলা মারপিট করে। গত কয়েক দিনে অন্তত পাঁচ দফায় আমাদেরকে মেরে রক্তাক্ত যখম করেছে।
এসকল ব্যাপারে ৩০ এপ্রিল ২০২১ তারিখে আমার স্বামী আব্দুর রশীদ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে লিখিত অভিযোগ করলে তৎকালীন চেয়ারম্যান সমাধানের জন্য ২২/৫/২১ তারিখে ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস বৈঠকে বসেন। রবিউল করিম গং এ বৈঠক অমান্য করে থানার মাধ্যমে সমাধানের কথা বললেও পর পর দুই দফা নির্ধারিত দিনে থানায় হাজির হন না। এরমধ্যেই তারা নিজেরাই নিজেদের ঘর বাড়ি ভাঙ্চুর করে উল্টো আমাদের নামে থানায় মামলা দিয়েছে।
বরিউল করিমের ছোট ভাই রেজাউল করিম শিল্প মন্ত্রালয়ের উপসচিব, ভাগ্নে মতিউর পুলিশের সার্জেন্ট এবং ভাগ্নে বউ ফারজানা হক সহকারী পুলিশ সুপার পদে চাকুরী করায় তারা তিনজনই বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় পুলিশ প্রসাশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে আসছেন। ফলে আমরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছি। বরিউলের মেয়ে রোজিনা আনছার ব্যাটালিয়নে চাকরীরত। সে আমাদের বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ও আমাদের ক্রস ফায়ায়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।”
এমতাবস্থায় নিলুফা ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যে কোন সময় রবিউল করিম গং তাদের জীবন নাশ করতে পারে ও তাদের সম্পত্তি দখল করে নিতে পারে এমন আশংকায় রয়েছেন। রবিউল করিম গং এর অন্যায়, অবিচারের সুষ্ঠ বিচারসহ নিলুফা তার নিজের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রজব আলী বাবলু জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেব।
ঘটনার বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, দুথপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষই মামলা করেছে। আবারও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে থানা পুলিশ সজাগ রয়েছে। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ সাংবাদিক সম্মেলনে নিলুফার পরিবারের আঞ্জুয়ারা খাতুন, আব্দুল মান্নান,রিনা খাতুন, মোবারক হোসেন, হেনা খাতুনসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।