চাটমোহরের খৈরাশ গ্রামের ক্যানেল দখলমুক্ত; খননকাজ শুরু
- আপডেট সময় : ০৫:৩৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
চাটমোহরের খৈরাশ গ্রামের ক্যানেল দখলমুক্ত; খননকাজ শুরু
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
চাটমোহরের খৈরাশ গ্রামের ক্যানেল দখলমুক্ত; খননকাজ শুরু। অবশেষে দীর্ঘবছরের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলতে যাচ্ছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের খৈরাশ গ্রামবাসীর। গ্রামের ক্যানেলটি দখলমুক্ত করে সেটি খননের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। ৯শথ ফুটের অধিক দীর্ঘ ক্যানেলটি খননে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে খৈরাশ গ্রামে ক্যানেল খননকাজের উদ্বোধন করেন ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম হোসাইন। এ সময় ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাফফর আলী, সাংবাদিক ইশারত আলী, শাহীন রহমান, এম এ আলীম আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্যানেল খননকাজ শুরু হওয়ায় উচ্ছসিত এলাকাবাসী। তারা সাংবাদিকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা বিষয়টি টিভি চ্যানেলে ও পত্রিকা, অনলাইনে দুর্ভোগের খবর তুলে ধরায় প্রশাসন এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাফফর আলী বলেন, আড়াই কিলোমিটার একটি রাস্তা নিয়ে বছরের পর বছর দূর্বিষহ জীবনযাপন করছেন খৈরাশ গ্রামের মানুষ। বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পরিমাণ কাদা-পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয়। ক্যানেল দখল হয়ে যাওয়ায় পানি বের হতে না পেরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। এখন ক্যানেল খননকাজ শেষ হলে আর জলাবদ্ধতা হবে না। রাস্তাও নষ্ট হবে না।
ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম হোসাইন বলেন, জলাবদ্ধতা আর রাস্তার কারণে এলাকার কৃষিকাজসহ আর্থ সামাজিক উন্নয়ন থমকে গিয়েছিল। জলাবদ্ধতার কারণে গ্রামের রাস্তাটিও নির্মাণ করা যায়নি। পাবনা ও নাটোরের অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ ছিল চরমে। ক্যানেল খননের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। আগামীতে রাস্তাটিও পাকাকরণের মাধ্যমে সকল দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈকত ইসলাম বলেন, অনেক সমস্যাই আমাদের নজরে আসে না বা আমরা জানতে পারি না। সাংবাদিকরা সে বিষয়গুলো, মানুষের দুর্ভোগ সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। খৈরাশ গ্রামের সমস্যাও তেমনি একটি বিষয়। আপনারা তুলে ধরেছেন বলেই ব্যবস্থা নিতে পেরেছি। আশা করি খৈরাশ গ্রামের মানুষ দীর্ঘবছরের দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি পাবে।