ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চরভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন একটি শিশু পার্ক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১ ২০৬ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাজমুল হোসেন, চ্যানেল এ নিউজ প্রতিনিধিঃ
মাঠে সাজানো সারি সারি খেলার সামগ্রী। ফুল গাছে ফুটেছে শীতকালীন ফুল।পুকুরের চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে হাতি, ঘোড়া, হরিণ, জিরাফ, বক, টিয়া ময়ূর সহ অনেক কিছু। আরো আছে সোনালী ফসলের সৌন্দর্যের মাঠ যা দেখে  মন মাতিয়ে রাখে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের।
দৃষ্টনন্দন চোখ জুরানো দুর থেকে এক অবিশ্বাস্ব  বিনোদন কেন্দ্রের মতো মনে হলেও আসলে এটি একটি মনকারানো প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেসব শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে তা প্রতিরোধে একদৃষ্টিনন্দন মন আকৃষ্ট করা এবং চোখ জুরানো বিদ্যালয়জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এমনই মুগ্ধকর পরিবেশ। এই বিদ্যালযটি শিশুদের আনন্দ উচ্ছাসের এক অবিশ্বাস্ব ভুবন গড়ে তুলেছেন  প্রধান শিক্ষক এক সময়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এরফান আলী। বিদ্যালয় টিতে রয়েছে ৪ জন শিক্ষক।
ইতিমধ‍্যে এই বিদ্যালয়টির নাম-খ‍্যাতি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ‍্যমে বাংলাদেশের শীর্ষস্হানে স্হান করে নিয়েছে, ঠিক তেমনি এক সময় জায়গা করতে সক্ষম হয়েছে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ তালিকায় এই চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত।
বাংলাদেশে এমন দৃষ্টিনন্দন বিদ্যাপিঠ কমই আছে। যেখানে রয়েছে প্রকৃতির কাছ থেকে বিদ্যা লাভ করার অনেক চোখ জুরানো শিশুদের বিনোদনের নানা উপকরন। যেখানে ব্যতিক্রম পরিবেশে শিক্ষাদান করা হয়। ব্যতিক্রম সেই বিদ্যাপিঠের নাম ‘চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়।
অসাধারণ স্থাপনায় নির্মিত বিদ্যালয় ভবনের চারপাশ খোলামেলা। শ্রেণিকক্ষসহ বিদ্যালয়ের সবকিছুই রঙিন প্রচ্ছদে ঢাকা যেন এক রঙ্গিন অন‍্যরকম বিনোদন কেন্দ্র।
এখানে ছেলে মেয়েদের জন্য আছে একাধিক আলাদা আলাদা ওয়াশরুম আরো রয়েছে দুপুরের খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে নানা সরঞ্জাম।
চারদিকে সবুজের সমারোহ। সারি সারি গাছের পাতা ও ফুল দোলে হিমেল বাতাসে, যা দেখে মনে শিহরণ জাগে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম নাম চরভিটা। সেখানেই ব্যতিক্রমী এ স্কুল। দেখে মনে হয় না এটি বিদ্যাপিঠ। কোনো জমিদারের বাড়ি বা অভিজাত রিসোর্ট মনে হতে পারে। যেতে যেতে রাস্তার দুই পাশের গাছ-গাছালি আর পাখির কলতানে গ্রামীণ পরিবেশের ছোঁয়া যেন হৃদয় কেড়ে নেয় গ্রাম বাংলার ঐহিত‍্য। শহর ছেড়ে গ্রামের পথে প্রতিবেশী দেশ ভারত সংলগ্ন বর্ডার ঘেঁষা ডের-দুই কিলোমিটার আগে দেখা মিলল কারুকার্য অঙ্কিত, দৃষ্টিনন্দ এই বিদ্যাপিঠের। যেখানে সূর্যের আলোয় বিদ্যাপিঠটি আলোতে ঝলমল করছে। রাতের জন্য রয়েছে ল্যাম্প পোস্ট বাতি। এছাড়া এই বিদ‍্যালয়ের আশ পাশ গ্রাম বাংলার নানা দৃষ্টিনন্দন স্মৃতি। যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ঘুরতে আসে বিভিন্ন ধরনের দর্শনার্থীসহ ছাত্র-ছাত্রীরা।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক এরফান আলী আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, ইচ্ছা থাকলে সব কিছুই সম্ভব। আমারা ইচ্ছা ছিল তাই আমি করতে পেরেছি আমি ধন্য হয়েছি।গ্রামের অবহেলিত শিশুদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চরভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন একটি শিশু পার্ক

আপডেট সময় : ০১:১৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

নাজমুল হোসেন, চ্যানেল এ নিউজ প্রতিনিধিঃ
মাঠে সাজানো সারি সারি খেলার সামগ্রী। ফুল গাছে ফুটেছে শীতকালীন ফুল।পুকুরের চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে হাতি, ঘোড়া, হরিণ, জিরাফ, বক, টিয়া ময়ূর সহ অনেক কিছু। আরো আছে সোনালী ফসলের সৌন্দর্যের মাঠ যা দেখে  মন মাতিয়ে রাখে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের।
দৃষ্টনন্দন চোখ জুরানো দুর থেকে এক অবিশ্বাস্ব  বিনোদন কেন্দ্রের মতো মনে হলেও আসলে এটি একটি মনকারানো প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেসব শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে তা প্রতিরোধে একদৃষ্টিনন্দন মন আকৃষ্ট করা এবং চোখ জুরানো বিদ্যালয়জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এমনই মুগ্ধকর পরিবেশ। এই বিদ্যালযটি শিশুদের আনন্দ উচ্ছাসের এক অবিশ্বাস্ব ভুবন গড়ে তুলেছেন  প্রধান শিক্ষক এক সময়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এরফান আলী। বিদ্যালয় টিতে রয়েছে ৪ জন শিক্ষক।
ইতিমধ‍্যে এই বিদ্যালয়টির নাম-খ‍্যাতি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ‍্যমে বাংলাদেশের শীর্ষস্হানে স্হান করে নিয়েছে, ঠিক তেমনি এক সময় জায়গা করতে সক্ষম হয়েছে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ তালিকায় এই চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত।
বাংলাদেশে এমন দৃষ্টিনন্দন বিদ্যাপিঠ কমই আছে। যেখানে রয়েছে প্রকৃতির কাছ থেকে বিদ্যা লাভ করার অনেক চোখ জুরানো শিশুদের বিনোদনের নানা উপকরন। যেখানে ব্যতিক্রম পরিবেশে শিক্ষাদান করা হয়। ব্যতিক্রম সেই বিদ্যাপিঠের নাম ‘চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়।
অসাধারণ স্থাপনায় নির্মিত বিদ্যালয় ভবনের চারপাশ খোলামেলা। শ্রেণিকক্ষসহ বিদ্যালয়ের সবকিছুই রঙিন প্রচ্ছদে ঢাকা যেন এক রঙ্গিন অন‍্যরকম বিনোদন কেন্দ্র।
এখানে ছেলে মেয়েদের জন্য আছে একাধিক আলাদা আলাদা ওয়াশরুম আরো রয়েছে দুপুরের খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে নানা সরঞ্জাম।
চারদিকে সবুজের সমারোহ। সারি সারি গাছের পাতা ও ফুল দোলে হিমেল বাতাসে, যা দেখে মনে শিহরণ জাগে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম নাম চরভিটা। সেখানেই ব্যতিক্রমী এ স্কুল। দেখে মনে হয় না এটি বিদ্যাপিঠ। কোনো জমিদারের বাড়ি বা অভিজাত রিসোর্ট মনে হতে পারে। যেতে যেতে রাস্তার দুই পাশের গাছ-গাছালি আর পাখির কলতানে গ্রামীণ পরিবেশের ছোঁয়া যেন হৃদয় কেড়ে নেয় গ্রাম বাংলার ঐহিত‍্য। শহর ছেড়ে গ্রামের পথে প্রতিবেশী দেশ ভারত সংলগ্ন বর্ডার ঘেঁষা ডের-দুই কিলোমিটার আগে দেখা মিলল কারুকার্য অঙ্কিত, দৃষ্টিনন্দ এই বিদ্যাপিঠের। যেখানে সূর্যের আলোয় বিদ্যাপিঠটি আলোতে ঝলমল করছে। রাতের জন্য রয়েছে ল্যাম্প পোস্ট বাতি। এছাড়া এই বিদ‍্যালয়ের আশ পাশ গ্রাম বাংলার নানা দৃষ্টিনন্দন স্মৃতি। যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ঘুরতে আসে বিভিন্ন ধরনের দর্শনার্থীসহ ছাত্র-ছাত্রীরা।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক এরফান আলী আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, ইচ্ছা থাকলে সব কিছুই সম্ভব। আমারা ইচ্ছা ছিল তাই আমি করতে পেরেছি আমি ধন্য হয়েছি।গ্রামের অবহেলিত শিশুদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি।