ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে দলিল লেখক সমিতির বিরুদ্ধে বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রাজশাহীতে দেশী গরু ভারতীয় বলে আটক, বিজিবির সামনে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ রাবির শিক্ষক-ছাত্রীর বহিষ্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মামলা করলেন শিক্ষক রাণীশংকৈলে বজ্রপাতের সময় হার্টস্টকে এক কৃষকের মৃত্যু পরিবেশ সংরক্ষণ করতে কি গাছ লাগানো যায় তা গবেষণা করতে হবে- পঞ্চগড় ডিসি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে রাবিতে ছাত্রীসংস্থার মানববন্ধন রাজশাহীর বাগমারায় আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় রেললাইন নয়, এ যেনো লাল গালিচা ঝিনাইগাতীতে বিদেশী মদ সহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার, পিকআপ জব্দ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মদ সহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার

চরফ্যাশনে ভোট দিতে গিয়ে হামলায় আহত হারুনের খবর নেয়নি কেউ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২১ ৩০৯ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ইউপি নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ব্যক্তিকে দেখতে যায়নি কেউ। এমন অভিযোগ করেন চরফ্যাসন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ হারুন (৪৯)। ভূক্তভোগী হারুন অভিযোগ করে বলেন, গত ২৮ নভেম্বর চরফ্যাশনের ৭ইউপিতে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সকালে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার সময় ফুটবল প্রতিকের ইউপি সদস্য প্রার্থী রিয়াজ মোল্লার নির্দেশে তার ভাই ইউসুফ মোল্লাসহ অন্তত ১৫জন সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী একত্রিত আমার পথ আটকিয়ে স্থানীয় হাজি বাড়ির কবর স্থান সংলগ্ন এলাকায় অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। সন্ত্রাসীরা আমাকে একাধিকবার কিল ঘুসি ও লাথি মারতে থাকে। ওই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, হারুনকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে সন্ত্রাসীরা নির্যাতন করতে থাকে। এসময় হারুন অচেতন হয়ে গেলে হামলার খবর পেয়ে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশকে জানালে এলাকাবাসী সহ পুলিশ হারুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চরফ্যাশন হাসপাতালে ৬দিন ধরে চিকিৎসাধীন হারুনের শয্যা পাশে থাকা হারুনের স্ত্রী কান্নাভরা কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী ৮নং ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতিকের প্রার্থী কাশেম মিয়ার নির্বাচনী কর্মী ছিলেন। নির্বাচনের দিন সকাল ৮টার সময় আমার স্বামী ভোট দিতে গেলে স্থানীয় এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদল তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করায় আমার স্বামী এখন কথা বলতেও কষ্ট হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রিয়াজ মোল্লার গ্রুপের জয়নাল মোল্লা, ইউসিুফ মোল্লাসহ বহিরাগতরা হারুনকে মারধর করে। অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, নির্বাচনের দিন সকালে ভোট কেন্দ্রের কাছে রিয়াজ মোল্লার কর্মীরা ফুটবল বলে উল্লাস করার সময় কাসেমের কর্মীরা টিউবওয়েল বলায় হারুনকে ধরে নিয়ে কবর স্থানের কাছে নিয়ে বেধরক মারধর করে রিয়াজ মোল্লার গ্রুপ। আরেক বাসিন্দা বলেন, রিয়াজ মোল্লা ও তার বড় ভাই ইউসুফ মোল্লা এবং ছোট ভাই সুমনসহ ১০/১২ জন আমাদের টিউবওয়েল প্রতিকের কর্মী হারুন ভাইকে মারধর করেছে আমরা এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য কাশেম মিয়া বলেন, রিয়াজ মোল্লা ফুটবল প্রতিকে নির্বাচন করে এবং আমি টিউবওয়েল প্রতিকে নির্বাচন করি। নির্বাচনের আগে থেকেই রিয়াজ গং আমাদের উপর হামলা মারধরসহ ব্যাপক হাঙ্গামা করে এবং ভোটারদের বাড়িঘরে গিয়ে হুমকি-ধামকি দেয় যেন তারা আমাকে ভোট দিতে না আসে। নির্বাচনের দিন রিয়াজ মোল্লার নির্দেশে ইউসুফ মোল্লা,সুমন মোল্লা,জয়নাল মোল্লা ও ইব্রাহীম মাস্টারের ছেলে ছাব্বিরসহ একাধিক ব্যক্তি হারুনকে মারধর করে হারুনের মৃত্যু হয়েছে মনে করে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে কৌশলে চলে যায়। হারুন এখন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এঘটনায় চরফ্যাসন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে চরফ্যাসন থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়া বলেন, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চরফ্যাশনে ভোট দিতে গিয়ে হামলায় আহত হারুনের খবর নেয়নি কেউ

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২১

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ইউপি নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ব্যক্তিকে দেখতে যায়নি কেউ। এমন অভিযোগ করেন চরফ্যাসন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ হারুন (৪৯)। ভূক্তভোগী হারুন অভিযোগ করে বলেন, গত ২৮ নভেম্বর চরফ্যাশনের ৭ইউপিতে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সকালে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার সময় ফুটবল প্রতিকের ইউপি সদস্য প্রার্থী রিয়াজ মোল্লার নির্দেশে তার ভাই ইউসুফ মোল্লাসহ অন্তত ১৫জন সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী একত্রিত আমার পথ আটকিয়ে স্থানীয় হাজি বাড়ির কবর স্থান সংলগ্ন এলাকায় অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। সন্ত্রাসীরা আমাকে একাধিকবার কিল ঘুসি ও লাথি মারতে থাকে। ওই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, হারুনকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে সন্ত্রাসীরা নির্যাতন করতে থাকে। এসময় হারুন অচেতন হয়ে গেলে হামলার খবর পেয়ে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশকে জানালে এলাকাবাসী সহ পুলিশ হারুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চরফ্যাশন হাসপাতালে ৬দিন ধরে চিকিৎসাধীন হারুনের শয্যা পাশে থাকা হারুনের স্ত্রী কান্নাভরা কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী ৮নং ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতিকের প্রার্থী কাশেম মিয়ার নির্বাচনী কর্মী ছিলেন। নির্বাচনের দিন সকাল ৮টার সময় আমার স্বামী ভোট দিতে গেলে স্থানীয় এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদল তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করায় আমার স্বামী এখন কথা বলতেও কষ্ট হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রিয়াজ মোল্লার গ্রুপের জয়নাল মোল্লা, ইউসিুফ মোল্লাসহ বহিরাগতরা হারুনকে মারধর করে। অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, নির্বাচনের দিন সকালে ভোট কেন্দ্রের কাছে রিয়াজ মোল্লার কর্মীরা ফুটবল বলে উল্লাস করার সময় কাসেমের কর্মীরা টিউবওয়েল বলায় হারুনকে ধরে নিয়ে কবর স্থানের কাছে নিয়ে বেধরক মারধর করে রিয়াজ মোল্লার গ্রুপ। আরেক বাসিন্দা বলেন, রিয়াজ মোল্লা ও তার বড় ভাই ইউসুফ মোল্লা এবং ছোট ভাই সুমনসহ ১০/১২ জন আমাদের টিউবওয়েল প্রতিকের কর্মী হারুন ভাইকে মারধর করেছে আমরা এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য কাশেম মিয়া বলেন, রিয়াজ মোল্লা ফুটবল প্রতিকে নির্বাচন করে এবং আমি টিউবওয়েল প্রতিকে নির্বাচন করি। নির্বাচনের আগে থেকেই রিয়াজ গং আমাদের উপর হামলা মারধরসহ ব্যাপক হাঙ্গামা করে এবং ভোটারদের বাড়িঘরে গিয়ে হুমকি-ধামকি দেয় যেন তারা আমাকে ভোট দিতে না আসে। নির্বাচনের দিন রিয়াজ মোল্লার নির্দেশে ইউসুফ মোল্লা,সুমন মোল্লা,জয়নাল মোল্লা ও ইব্রাহীম মাস্টারের ছেলে ছাব্বিরসহ একাধিক ব্যক্তি হারুনকে মারধর করে হারুনের মৃত্যু হয়েছে মনে করে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে কৌশলে চলে যায়। হারুন এখন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এঘটনায় চরফ্যাসন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে চরফ্যাসন থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়া বলেন, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।