চরফ্যাশনের দুই প্রধান শিক্ষক তিন মাসের এমপিও হারালেন
- আপডেট সময় : ১২:২৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অক্টোবর ২০২১ ২১১ বার পড়া হয়েছে
এম, নোমান চৌধুরী, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
এনটিআরসিএর দ্বিতীয় চক্রের শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের ভুল তথ্য দিয়েছিল কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েও কয়েক হাজার প্রার্থী যোগদান ও এমপিওভুক্ত হতে জটিলতায় পড়েছিলেন। মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ, প্যাটার্ন জটিলতাসহ নানা সমস্যায় তারা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না।
এসব জটিলতার মূলে ছিলেন শূন্যপদের ভুল তথ্য পাঠানো প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক নিয়োগের ভুল তথ্য পাঠানো চরফ্যাশনের দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের ৩ মাসের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে দায়ীদের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। এ দফায় তিন মাসের বেতন হারানো ভোলার পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের তালিকায় চরফ্যাশন উপজেলার দুই প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা হলেন,চরফ্যাশন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিলারা বেগম এবং পূর্ব ওসমানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। বিধান ছিল, এসব পদে নিয়োগে মন্ত্রণালয় আলাদা আদেশ জারি করবে। এ পদগুলো নবসৃষ্ট পদ নামে বহুল পরিচিত। এসব প্রতিষ্ঠান প্রধান আদেশ জারির আগেই ২য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা হিসেবে সে পদগুলোকে শূন্য দেখিয়েছিলেন। ফলে, সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না।
পরে অবশ্য এসব শিক্ষকের জটিলতা নিরসন করেছে সরকার। এনটিআরসিএর মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েও প্রার্থীদের এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার জন্য। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই, গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর দায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তিন মাসের এমপিও কর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে।
তিন মাসের এমপিও হারানো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের মধ্যে চরফ্যাশনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের ফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।