গোদাগাড়ীর নলকুপ অপারেটরের বিচারের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ০২:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
গোদাগাড়ীর নলকুপ অপারেটরের বিচারের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন
এম এম মামুন, রাজশাহী ব্যুরো:
গোদাগাড়ীর নলকুপ অপারেটরের বিচারের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধান খেতে পানি না পেয়ে আদিবাসী কৃষক অভিনাথ মার্ডি ও রবি মার্ডি আত্মহত্যার প্ররোচনার সঙ্গে জড়িত গভীর নলকুপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
রোববার (২৮ মার্চ) জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে এই মানববন্ধনে আদাবাসি নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। মানববন্ধন থেকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে গোদাগাড়ী থানার ওসিকে অপসারণের দাবি জানানো হয়।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী জেলার সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজোয়ারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা দেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন।
আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গণেক মার্ডি, দপ্তর সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, রাজশাহী মহানগর আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আলিন্দরায় বিশ্বাস, গোদাগাড়ী উপজেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ হেমব্রম, নাটোর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রঘুনাথ এক্কাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধানের জমিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুই কৃষক পানির জন্য ঘুরে ঘুরে না পেয়ে নলকূপের অপারেটর শাখাওয়াতের হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে বিষ পান করে আত্নহত্যা করেছে। আদিবাসীর এমনি ভাবে যুগযুগ ধরে নির্যাতিত হয়ে আসছে। কৃষি প্রধান দেশ কৃষির জমিতে যদি পানির জন্য বৈষম্যের শিকার হতে হয় তাহলে এমন নিপীড়িন আর কি হতে পারে।
বক্তারা গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলামের অপসারণ দাবি করে বলেন, নলকূপ অপারেটরকে বাঁচাতে এবং মামলা নিতে গড়িমসি করেছে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন। এছাড়াও এই হত্যার সাথে যারা ইন্ধন দিয়েছে ও জড়িত সঠিক তদন্ত করে তাদেরকেউ শাস্তির আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়।
গত ২৩ মার্চ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামের দুই আদিবাসী কৃষক অভিনাথ মার্ডি ও রবি মার্ডি তাদের ধান খেতে পানি না পেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার পর তোড়পাড় শুরু হলে নলকুপ অপারেটরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা হয়। তবে এখনো নলকুপ অপারেটর সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।