গোদাগাড়ীতে নিহত দুই কৃষকের বাড়িতে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতারা
- আপডেট সময় : ০৫:২৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২ ৪০ বার পড়া হয়েছে
গোদাগাড়ীতে নিহত দুই কৃষকের বাড়িতে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতারা
এম এম মামুন, রাজশাহী ব্যুরো:
গোদাগাড়ীতে নিহত দুই কৃষকের বাড়িতে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর নমঘুটু গ্রামে বিষপানে আত্মহননকারী কৃষক রবি মারান্ডি ও অভিনাথ মারান্ডির বাড়িতে গেছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এবং রাজশাহী জেলা ও মহানগর এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
বুধবার সকালে কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা ও যুগ্ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন নিমঘুটু গ্রামে উপস্থিত হন।
তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, রায়হানুল আলম রায়হান, তোফায়েল হোসেন রাজু ও বিএনপি নেতা বিপ্লব প্রিন্সিপাল, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আল আমিন সরকার টিটু, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক ওয়াদদু হাসান পিন্টু, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব নাজমুল হক প্রমুখ।
ঘন্টাব্যাপি সদস্যরা গোদাগাড়ীর নিমঘুটু গ্রামে ছিলেন। কৃষকদলের নেতৃবৃন্দদের দেখে অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন।
বুধবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম নিমঘুটু গ্রামে গিয়ে দুই পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসেন। ইউএনও জানান, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছেন।
আগের দিন দুই কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের গঠন করে দেওয়া তদন্ত কমিটির সদস্যরা আগের দিন নিমঘুটু যান। তাদের কাছে পরিবার ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার কৃষকেরা অভিযোগ করেন, জমিতে সেচের পানি না দেওয়ার কারণে দুই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এখন পরিবার দুটি বেকায়দায় পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ সোমবার রবি ও অভিনাথ বিষপান করেন। সেদিনই বাড়িতে অভিনাথের মৃত্যু হয়। দুদিন পর হাসপাতালে মারা যান রবি। মৃত্যুসনদে বলা হয়েছে বিষক্রিয়ায় রবির মৃত্যু হয়েছে। দুই কৃষকের মরদেহের ময়নাতদন্ত হলেও প্রতিবেদন এখনো প্রস্তুত হয়নি। তাদের মৃত্যুর জন্য গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াতকে দায়ী করে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দুটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। প্রথম মামলাটি হওয়ার পরই সাখাওয়াত পালিয়েছেন। পুলিশ তাঁকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।