ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে পারিবারিক কো ন্দ লে ভাবী ও ভাতিজিকে কু পি য়ে জখম

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪ ২২৮ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গুরুদাসপুরে পারিবারিক কো ন্দ লে ভাবী ও ভাতিজিকে কু পি য়ে জখম

নাটোরের গুরুদাসপুরে পারিবারিক কোন্দলের জেরে ভাবী ও ভাতিজিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে শানিনুর ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ সময় শানিনুর ইসলামের মেয়ে মা-মেয়ের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে হামলায় সহযোগিতা করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত ১৪ জুলাই সকালে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের রওশনপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে তার সহদর শানিনুর ইসলামকে ১ নং আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। বাদী সহিদুল ইসলাম ও অভিযুক্ত শানিনুর ইসলাম রওশনপুর গ্রামের মৃত্যু ভাদু মোল্লার দুই ছেলে।

এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাদী সহিদুল ও বিবাদী শাহিনুর আপন দুই ভাই। তাদের বাবা এক বিঘা জমি দুজনের নামেই রেজি:করে দিয়েছিলেন। রেজিস্ট্রারীকৃত জমির অর্ধেক নিয়ে বিবাদী বাড়ি করেন ও বাকী অর্ধেক বাদী বিভিন্ন ফলজ গাছ রোপন করেন। পুরাতন বাড়ি থেকে বিবাদী ৫ শতাংশ জমি পাওনা হলে তার বাড়ির পাশে নেওয়ার ইচ্ছা জানায়। এবং গ্রামের গন্যমান্য লোকের মাধ্যমে তিনমাস সময় নির্ধারণ করে বাটোয়ারা রেজি: করে করে ফয়সালা হবে। উভয় জনই তা মেনে নেয়। কিন্তু ১২ দিন পরেই বিবাদী বাদীর জমির ফলজ গাছ কর্তন করেলে বিষয়টি গন্যমান্যদের জানাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদী শাহিনুর দেশীয় ধারালো হাসুয়া দিয়ে বাদীর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি কোপায় বিবাদীর স্ত্রী ধারালো বটি দিয়ে কুপায় ও তার কন্যা মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয় বাদীর স্ত্রী ও কন্যার চোখে।

বাদী সহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রাম্য সালিশির মাধ্যমে সবকিছুই মেনে নিয়ছিলাম। তিনমাস পরেই বাটোয়ারা করে সব ঠিক করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আমার জায়গার গাছপালা কর্তন করায় আমি প্রধানদের জানাই। সেকারণে আমার স্ত্রী কন্যাকে এমন ভাবে মেরেছে। হত্যার উদ্দেশ্যই ছিল তার। আমার স্ত্রী কন্যা হয়তো আর কখনো স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারবে না। তাই এই আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তিনি।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ উজ্জ্বল হোসেন জানান, বসতভিটা নিয়ে পারিবারিক কোন্দল থেকেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শানিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গুরুদাসপুরে পারিবারিক কো ন্দ লে ভাবী ও ভাতিজিকে কু পি য়ে জখম

আপডেট সময় : ০৮:০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

গুরুদাসপুরে পারিবারিক কো ন্দ লে ভাবী ও ভাতিজিকে কু পি য়ে জখম

নাটোরের গুরুদাসপুরে পারিবারিক কোন্দলের জেরে ভাবী ও ভাতিজিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে শানিনুর ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ সময় শানিনুর ইসলামের মেয়ে মা-মেয়ের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে হামলায় সহযোগিতা করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত ১৪ জুলাই সকালে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের রওশনপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে তার সহদর শানিনুর ইসলামকে ১ নং আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। বাদী সহিদুল ইসলাম ও অভিযুক্ত শানিনুর ইসলাম রওশনপুর গ্রামের মৃত্যু ভাদু মোল্লার দুই ছেলে।

এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাদী সহিদুল ও বিবাদী শাহিনুর আপন দুই ভাই। তাদের বাবা এক বিঘা জমি দুজনের নামেই রেজি:করে দিয়েছিলেন। রেজিস্ট্রারীকৃত জমির অর্ধেক নিয়ে বিবাদী বাড়ি করেন ও বাকী অর্ধেক বাদী বিভিন্ন ফলজ গাছ রোপন করেন। পুরাতন বাড়ি থেকে বিবাদী ৫ শতাংশ জমি পাওনা হলে তার বাড়ির পাশে নেওয়ার ইচ্ছা জানায়। এবং গ্রামের গন্যমান্য লোকের মাধ্যমে তিনমাস সময় নির্ধারণ করে বাটোয়ারা রেজি: করে করে ফয়সালা হবে। উভয় জনই তা মেনে নেয়। কিন্তু ১২ দিন পরেই বিবাদী বাদীর জমির ফলজ গাছ কর্তন করেলে বিষয়টি গন্যমান্যদের জানাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদী শাহিনুর দেশীয় ধারালো হাসুয়া দিয়ে বাদীর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি কোপায় বিবাদীর স্ত্রী ধারালো বটি দিয়ে কুপায় ও তার কন্যা মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয় বাদীর স্ত্রী ও কন্যার চোখে।

বাদী সহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রাম্য সালিশির মাধ্যমে সবকিছুই মেনে নিয়ছিলাম। তিনমাস পরেই বাটোয়ারা করে সব ঠিক করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আমার জায়গার গাছপালা কর্তন করায় আমি প্রধানদের জানাই। সেকারণে আমার স্ত্রী কন্যাকে এমন ভাবে মেরেছে। হত্যার উদ্দেশ্যই ছিল তার। আমার স্ত্রী কন্যা হয়তো আর কখনো স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারবে না। তাই এই আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তিনি।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ উজ্জ্বল হোসেন জানান, বসতভিটা নিয়ে পারিবারিক কোন্দল থেকেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শানিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।