গুরুদাসপুরের বৃদ্ধ দম্পত্তির পাশে দাড়ালেন ক্লিনিক মালিক
- আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১ ২৭৬ বার পড়া হয়েছে
নাটোর প্রতিনিধিঃ
অবশেষে শতবছর বয়সী বাছেদ আলী ও ৯০ বছর বয়সী রুপজান বেওয়ার পাশে দাঁড়ালেন নাটোরের গুরুদাসপুরের এক ক্লিনিক মালিক। ভাগ্য বিড়ম্বিত ওই বৃদ্ধ দম্পত্তিকে পৌঁছে দেন নিত্য পণ্য সহ নতুন পোষাক ও উপহার সামগ্রী।
এই বয়সে ওই বৃদ্ধ দম্পত্তিকে ছেলে-মেয়েসহ পরিবার-পরিজনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় জীবনযাপনের কথা। অথচ এখনও লাঠিতে ভর দিয়ে হেটে বাজারে আলোপাতা বিক্রি করেন তিনি। আর স্ত্রী অসুস্থতায় বিছানাগত। একসময় বাছেদ আলীর ঘর-বাড়ি জমি-জমা সবি ছিলো। এখনও আছে তবে সেগুলো ছেলের দখলে। পিতার কাছে থেকে সেগুলো লিখে নিয়েছে ছেলে। নিজের ঔরষজাত ছেলে দালান কোঠায় থাকলেও তাদের জায়গা হয়েছে উপজেলার ওয়াপদা বাজার এলাকায় হতদরিদ্র মেয়ের বাড়ির মাচাং ঘরে। সেখানেই শেষ জীবন কাটাবেন বলে জানিয়েছেন ওই দম্পতি।
সম্প্রতি ‘ছেলে থাকেন দালান কোঠায়, বাবা-মায়ের স্থান মাচাং ঘরে’ এই শিরোনামে দেশের বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইনসহ সামাজিক গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিতহলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। সেই সংবাদ নজরে আসে গুরুদাসপুরের হাজেরা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আমিরুল ইসলাম সাগরের। সংবাদটি দেখে তিনি ওই বৃদ্ধ দম্পতির খোঁজ করে তাদের পাশে দাঁড়ান। তিনি নিজে ওই বৃদ্ধ দম্পতির কাছে গিয়ে পৌছে দিয়েছেন, চাল, ডাল, আলু, তেল, সাবান, নতুন পাঞ্জাবি, শাড়ি, লুঙ্গি, ওরনা, তসবিহ, জায়নামাজ, মগ, হাটার জন্য লাঠিসহ দৈনন্দিন জীবনে চলতে যা যা প্রয়োজন প্রায় সব কিছুই। শেষ জীবনে যে কোন প্রয়োজনে তাদের পাশে সব সময় থাকবেন বলেও তিনি অঙ্গিকার করেন। এদিকে তার দেওয়া নতুন পোষাক ও উপহার সামগ্রী পেয়ে আবেগ আপ্লুত হন বৃদ্ধ দম্পত্তি। খুশি হন তরা।
আমিরুল ইসলাম সাগর জানান, তিনি তার বাবা আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেনের আদর্শে আদর্শিত। তার দেখানো পথেই তিনি চলছেন। তারা বাবা প্রতিটি সময় অসহায় হত দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়াতেন। তিনি ওই বৃদ্ধ দম্পত্তির সংবাদ দেখার পরেই উপহার সামগ্রী নিয়ে যান তাদের কাছে। তিনি সব সময় অসহায় হত দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে চান।