ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পরীক্ষা দিন বাদে কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত ক্লাস নিতে পঞ্চগড়ে নির্দেশনা প্রদান সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ীতে ৬১৭৯০ ভারতীয় রুপি সহ গ্রেফতার-২ শেরপুরের সীমান্তে বিপুল পরিমাণে ভারতীয় ম/দ জব্দ বাঘাতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মণে করা সড়কে দুদকের অভিযান ধামইরহাটে কৃষককে পা ভেঙ্গে আহত করার প্রদিবাদে মানববন্ধন মান্দায় ক্লাসে শিক্ষকের ভুল ধরায় ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের শাটডাউন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ নলডাঙ্গায় রেল ওভারব্রিজের পিলালের সাথে ধাক্কায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু রাজশাহী এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান

খসরুর সুদের ফাঁদে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১ ৫২৮ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটােরের গুরুদাসপুর উপজেলার শিকারপুর বাজার এলাকা সুদ কারবারীদের সর্গরাজ্যে পরিনিত হয়েছে। অনেকেই রক্তচোষা এ ব্যবসার সাথে জড়িত। এদের মধ্যে আব্দুল জলিলের ছেলে আমিরুল ইসলাম ওরফে খসরুর নাম সবার উপরে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনি সুদ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে দারিদ্রতা সেখানেই তার উদারতা। তার উদারতার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হয়েছেন অনেকেই।
ভুক্তভোগীরা জানায়, মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সুদের ফাঁদে ফেলে তাদের নিঃস্ব করছেন খসরু। তিনি শুধু সুদ কারবারীই নন মামলাবাজও। সুদ গ্রহীতাদের কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন ব্যাংকের ফাঁকা চেকে তাদের স্বাক্ষর নিয়ে সুদ ব্যবসা করেন তিনি। সময়মতো সুদের টাকা দিতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো টাকার অংক বসিয়ে বিভিন্ন কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তার কাজ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করা হয়। কখনও বাড়ি ঘরে হামলা করে মারপিটও করা হয়।
খসরুর সুদের ফাঁদে পড়া উপজেলার বিন্যাবাড়ী গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ওরফে আওয়াল জানান, থসরু তাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। ইতিমধ্যে সুদ নিয়েছেন ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এতেও ক্ষান্ত হননি তিনি। ফাঁকা চেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা বসিয়ে চেক ডিজআনারের মামলা করবে বলে উকিল নোটিশ পাঠিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। এবিষয়ে খসরুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আওয়াল।
স্থানীয়রা জানায়, শুধু খসরুই নয় তার স্ত্রী, ভাই ও বেশ কয়েকজন সহযোগী এ ব্যবসার সাথে জড়িত। আইনি পদক্ষেপ না থাকায় খসরুর মতো আরো অনেকেই এলাকায় দেদার সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বলেছেন, খসরু তাদের বিপদের বন্ধু। সুদ নিলেও দুঃসময়ে তার কাছে থেকে টাকা পাওয়া যায়। খসরুর চাচাতো ভাই হান্নান প্রামানিক বলেন, সুদের ব্যবসা করেই খান্ত নন তিনি। জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিথ্যে মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করেন। খসরু মানুষের সাথে বিনা কারনে বিরোধ বাধিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এব্যাপারে খসরুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
থানার ওসি মোঃ আব্দুল মতিন জানান,খসরুর বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গুরুদাসপুরের ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন জানান, তদন্ত করে খসরু দোষী হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

খসরুর সুদের ফাঁদে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ

আপডেট সময় : ০৪:২২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটােরের গুরুদাসপুর উপজেলার শিকারপুর বাজার এলাকা সুদ কারবারীদের সর্গরাজ্যে পরিনিত হয়েছে। অনেকেই রক্তচোষা এ ব্যবসার সাথে জড়িত। এদের মধ্যে আব্দুল জলিলের ছেলে আমিরুল ইসলাম ওরফে খসরুর নাম সবার উপরে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনি সুদ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে দারিদ্রতা সেখানেই তার উদারতা। তার উদারতার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হয়েছেন অনেকেই।
ভুক্তভোগীরা জানায়, মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সুদের ফাঁদে ফেলে তাদের নিঃস্ব করছেন খসরু। তিনি শুধু সুদ কারবারীই নন মামলাবাজও। সুদ গ্রহীতাদের কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন ব্যাংকের ফাঁকা চেকে তাদের স্বাক্ষর নিয়ে সুদ ব্যবসা করেন তিনি। সময়মতো সুদের টাকা দিতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো টাকার অংক বসিয়ে বিভিন্ন কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তার কাজ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করা হয়। কখনও বাড়ি ঘরে হামলা করে মারপিটও করা হয়।
খসরুর সুদের ফাঁদে পড়া উপজেলার বিন্যাবাড়ী গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ওরফে আওয়াল জানান, থসরু তাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। ইতিমধ্যে সুদ নিয়েছেন ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এতেও ক্ষান্ত হননি তিনি। ফাঁকা চেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা বসিয়ে চেক ডিজআনারের মামলা করবে বলে উকিল নোটিশ পাঠিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। এবিষয়ে খসরুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আওয়াল।
স্থানীয়রা জানায়, শুধু খসরুই নয় তার স্ত্রী, ভাই ও বেশ কয়েকজন সহযোগী এ ব্যবসার সাথে জড়িত। আইনি পদক্ষেপ না থাকায় খসরুর মতো আরো অনেকেই এলাকায় দেদার সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বলেছেন, খসরু তাদের বিপদের বন্ধু। সুদ নিলেও দুঃসময়ে তার কাছে থেকে টাকা পাওয়া যায়। খসরুর চাচাতো ভাই হান্নান প্রামানিক বলেন, সুদের ব্যবসা করেই খান্ত নন তিনি। জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিথ্যে মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করেন। খসরু মানুষের সাথে বিনা কারনে বিরোধ বাধিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এব্যাপারে খসরুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
থানার ওসি মোঃ আব্দুল মতিন জানান,খসরুর বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গুরুদাসপুরের ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন জানান, তদন্ত করে খসরু দোষী হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।