ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

এমন বাধ্য শিক্ষার্থী কমই দেখেছেন শিক্ষক!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

বাধ্য শিক্ষার্থী বানর

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এমন বাধ্য শিক্ষার্থী কমই দেখেছেন শিক্ষক!

চ্যানেল এ নিউজঃ
এমন বাধ্য শিক্ষার্থী কমই দেখেছেন শিক্ষক! রোদ, ঝড়, বৃষ্টি যাই হোক সকালে স্কুল শুরুর ঘন্টা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্লাসে ঢুকে প্রথম বেঞ্চে বসে পড়ে। ক্লাসের অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সারাদিন ক্লাস করে। আবার ছুটির ঘণ্টা বাজলে অন্যদের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এর মধ্যে নেই কোন বেয়াদবি বা দুষ্টুমি। এমনকি মাঝে নেই কোন ক্লাস ফাঁকি। স্কুলের মাস্টারমশাইরা এত বাধ্য পড়ুয়া শিক্ষার্থী এর আগে খুব কমই পেয়েছেন।
তবে মাঝে মাঝে টিফিন টাইমে হেড স্যারের টেবিলে গিয়ে বসে থাকে!

ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার দানাউ গ্রামের একটি সরকারি স্কুলের ঘটনা এটি। এ মাসের প্রথম দিকে সেখানে এসে হাজির হয় একটি বানর।
প্রথম দিন নবম শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন বানরটি ক্লাসে ঢুকে পড়ে। তাকে দেখে ওই ক্লাসের শিক্ষার্থীরা হইচই শুরু করে দেয় এবং ভয়ে সরে যায়। সেদিন ক্লাস ওঠে লাটে। কিন্তু বানরটি কারো কোনো ক্ষতি না করে শান্তভাবে এসে প্রথম বেঞ্চে বসে পড়ে। ফাঁকা বেঞ্চটিতে অবশ্য সে একাই বসে। এরপর ক্লাস শুরু হলে অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে সেও মন দিয়ে ক্লাস করতে থাকে।
এরপর থেকে প্রতিদিনই সে স্কুল শুরুর সময় ক্লাসে ঢুকে পড়ে। ছুটি হলে বের হয়। তবে নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির ক্লাস সে করেনা। একটা শ্রেণির ক্লাস শেষ হলে অন্য শ্রেণির কক্ষে গিয়ে সে পরের ক্লাস করে। আর মাঝে মধ্যে টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষকের টেবিলে গিয়ে বসে থাকে। কিন্তু টিফিনের পর ক্লাস শুরু হলে আর দেরি না করে আবার ক্লাসে চলে যায়।

পড়ায় তার খুব মন। সব সময় ফার্স্ট বেঞ্চে বসবে। সামনের সারির একটি বেঞ্চ তার চাই। ক্লাস চলাকালীন মন দিয়ে শোনে মাস্টারমশাই কি পড়াচ্ছেন। ক্লাসগুলোতে সে কোনো বেয়াদবি করেছে এমন কোনো অভিযোগ স্কুলটির কোনো মাস্টারমশাই করতে পারেননি।

এমন বাধ্য পড়ুয়া বানর নিয়ে স্কুলে এখন আর কোনও সমস্যা নেই। তবে স্কুলের তরফে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়েছিল। বন কর্মীরা এসে বানরটিকে ধরার চেষ্টাও করেন। কিন্তু তার নাগাল পাওয়া যায়নি।
নিউজ ক্রেডিট- সংবাদ সংস্থা

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এমন বাধ্য শিক্ষার্থী কমই দেখেছেন শিক্ষক!

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

এমন বাধ্য শিক্ষার্থী কমই দেখেছেন শিক্ষক!

চ্যানেল এ নিউজঃ
এমন বাধ্য শিক্ষার্থী কমই দেখেছেন শিক্ষক! রোদ, ঝড়, বৃষ্টি যাই হোক সকালে স্কুল শুরুর ঘন্টা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্লাসে ঢুকে প্রথম বেঞ্চে বসে পড়ে। ক্লাসের অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সারাদিন ক্লাস করে। আবার ছুটির ঘণ্টা বাজলে অন্যদের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এর মধ্যে নেই কোন বেয়াদবি বা দুষ্টুমি। এমনকি মাঝে নেই কোন ক্লাস ফাঁকি। স্কুলের মাস্টারমশাইরা এত বাধ্য পড়ুয়া শিক্ষার্থী এর আগে খুব কমই পেয়েছেন।
তবে মাঝে মাঝে টিফিন টাইমে হেড স্যারের টেবিলে গিয়ে বসে থাকে!

ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার দানাউ গ্রামের একটি সরকারি স্কুলের ঘটনা এটি। এ মাসের প্রথম দিকে সেখানে এসে হাজির হয় একটি বানর।
প্রথম দিন নবম শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন বানরটি ক্লাসে ঢুকে পড়ে। তাকে দেখে ওই ক্লাসের শিক্ষার্থীরা হইচই শুরু করে দেয় এবং ভয়ে সরে যায়। সেদিন ক্লাস ওঠে লাটে। কিন্তু বানরটি কারো কোনো ক্ষতি না করে শান্তভাবে এসে প্রথম বেঞ্চে বসে পড়ে। ফাঁকা বেঞ্চটিতে অবশ্য সে একাই বসে। এরপর ক্লাস শুরু হলে অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে সেও মন দিয়ে ক্লাস করতে থাকে।
এরপর থেকে প্রতিদিনই সে স্কুল শুরুর সময় ক্লাসে ঢুকে পড়ে। ছুটি হলে বের হয়। তবে নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির ক্লাস সে করেনা। একটা শ্রেণির ক্লাস শেষ হলে অন্য শ্রেণির কক্ষে গিয়ে সে পরের ক্লাস করে। আর মাঝে মধ্যে টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষকের টেবিলে গিয়ে বসে থাকে। কিন্তু টিফিনের পর ক্লাস শুরু হলে আর দেরি না করে আবার ক্লাসে চলে যায়।

পড়ায় তার খুব মন। সব সময় ফার্স্ট বেঞ্চে বসবে। সামনের সারির একটি বেঞ্চ তার চাই। ক্লাস চলাকালীন মন দিয়ে শোনে মাস্টারমশাই কি পড়াচ্ছেন। ক্লাসগুলোতে সে কোনো বেয়াদবি করেছে এমন কোনো অভিযোগ স্কুলটির কোনো মাস্টারমশাই করতে পারেননি।

এমন বাধ্য পড়ুয়া বানর নিয়ে স্কুলে এখন আর কোনও সমস্যা নেই। তবে স্কুলের তরফে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়েছিল। বন কর্মীরা এসে বানরটিকে ধরার চেষ্টাও করেন। কিন্তু তার নাগাল পাওয়া যায়নি।
নিউজ ক্রেডিট- সংবাদ সংস্থা