ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগাতিপাড়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি শামসুল আরেফীন,সেক্রেটারি আকরাম হোসেন বাগমারায় পুকুর থেকে স্কুল ছাত্রের লা/শ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হ/ত্যা রাণীশংকৈলের রাজবাড়িটি দ্রুত সংস্কার করে যাদুঘর করা হবে- সাবিনা আলম সাপাহারে শিবিরের উদ্যোগে সিরাত সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শেরপুরে বন্যার্তদের মাঝে বিএনপি সাবেক এমপির খাদ্যসামগ্রী বিতরণ রাজশাহীর আ.লীগ নেতা ডাবলু ৫দিন ও যুবলীগ নেতা রুবেল ৩দিনের রিমান্ডে নাটোরে নানা আয়োজনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ এর মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী মহানগর আ.লীগের সম্পাদক ডাবলু সরকার নওগাঁয় গ্রেপ্তার রাজশাহীর হরিয়ানে যুব বিভাগের আয়োজনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

এবারের শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ে কমেনি সবজির দাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এবারের শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ে কমেনি সবজির দাম

উমর ফারুক, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
এবারের শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ে কমেনি সবজির দাম। পঞ্চগড়ে এবারে শীতের সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলেও কমেনী দাম। বিক্রেতাদের অজুহাত, পাইকারি বাজারের বাড়তি দাম। ফলে মানুষকে সবজির ভরা মৌসুমেও প্রায় সব ধরনের সবজিই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছ, মাংস  দামও বেশ চড়া। গ্রাহকদের সবজি কিংবা মাছ, মাংস কিনতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে দেখা গেছে বাজারে বেগুনের কেজি ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, প্রতি কেজি টমেটো ৫০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পাতাকপি প্রতি পিস ৩০, করলা ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৪০ টাকা, লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আর মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, কুয়াশায় ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা এবং পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, শসা ৬০ টাকা কেজি এবং লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা। রসুনের কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা,

ক্রেতারা জানান, বেশির ভাগ সবজির দাম গত কয়েক দিনের তুলনায় কেজিতে গড়ে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু কিছু মানুষের সাতে কথা বলে জানা গেছে এবারের শীত শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত। বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজি থাকলেও। তবে দাম অত্যন্ত বেশি। সাধারণত শীতের এই মৌসুমে সবজির দাম কম থাকে। কিন্তু এবার কমেনি দাম। বাজারে সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম যেন আকাশ চৌমবি। কমানোর ব্যাপারে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমাতে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন সাধারণ মানুষ। বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল হাকিম বলেন, শীতের মৌসুম শুরু হলেও পাইকারিতে কমেনি সবজির দাম। তবে সরবরাহ আরও বাড়লে সবজির দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, বাজারে সবজির পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের মাছের দামও চড়া। অন্যান্য বছর শীতের শুরু থেকে এই সময়ে মাছের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম থাকলেও এবার কমছে না। বিক্রেতাদের অজুহাত, সরবরাহ কম থাকায় কমছে না মাছের দাম।

এছাড়া বাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের আটা-ময়দা, তেল, চিনি, ও চালের দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় মূলত এই দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়িদের। বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাই আটা-ময়দা ও চালের দাম বেড়েছে। কেজিতে আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। অন্য দিকে বাজারে মিনিকেট, নাজির এবং আটাশ চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ও লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এবারের শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ে কমেনি সবজির দাম

আপডেট সময় : ০৫:১৪:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২

এবারের শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ে কমেনি সবজির দাম

উমর ফারুক, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
এবারের শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ে কমেনি সবজির দাম। পঞ্চগড়ে এবারে শীতের সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলেও কমেনী দাম। বিক্রেতাদের অজুহাত, পাইকারি বাজারের বাড়তি দাম। ফলে মানুষকে সবজির ভরা মৌসুমেও প্রায় সব ধরনের সবজিই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছ, মাংস  দামও বেশ চড়া। গ্রাহকদের সবজি কিংবা মাছ, মাংস কিনতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে দেখা গেছে বাজারে বেগুনের কেজি ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, প্রতি কেজি টমেটো ৫০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পাতাকপি প্রতি পিস ৩০, করলা ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৪০ টাকা, লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আর মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, কুয়াশায় ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা এবং পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, শসা ৬০ টাকা কেজি এবং লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা। রসুনের কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা,

ক্রেতারা জানান, বেশির ভাগ সবজির দাম গত কয়েক দিনের তুলনায় কেজিতে গড়ে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু কিছু মানুষের সাতে কথা বলে জানা গেছে এবারের শীত শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত। বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজি থাকলেও। তবে দাম অত্যন্ত বেশি। সাধারণত শীতের এই মৌসুমে সবজির দাম কম থাকে। কিন্তু এবার কমেনি দাম। বাজারে সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম যেন আকাশ চৌমবি। কমানোর ব্যাপারে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমাতে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন সাধারণ মানুষ। বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল হাকিম বলেন, শীতের মৌসুম শুরু হলেও পাইকারিতে কমেনি সবজির দাম। তবে সরবরাহ আরও বাড়লে সবজির দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, বাজারে সবজির পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের মাছের দামও চড়া। অন্যান্য বছর শীতের শুরু থেকে এই সময়ে মাছের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম থাকলেও এবার কমছে না। বিক্রেতাদের অজুহাত, সরবরাহ কম থাকায় কমছে না মাছের দাম।

এছাড়া বাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের আটা-ময়দা, তেল, চিনি, ও চালের দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় মূলত এই দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়িদের। বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাই আটা-ময়দা ও চালের দাম বেড়েছে। কেজিতে আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। অন্য দিকে বাজারে মিনিকেট, নাজির এবং আটাশ চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ও লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে।