এক মাদরাসার সব পরীক্ষার্থীই অনুপস্থিত; সব ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার দাবি সুপারের!
- আপডেট সময় : ০৬:৪২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১ ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
এবারের এসএসসি ও দাখিল পরিক্ষায় নাটোরের বাগাতিপাড়ার পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় একটি মাদরাসার সব পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছেন।
গত ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রতি গ্রুপে দুটি বিষয়ের অনুষ্ঠিত কোন পরীক্ষায় বাগাতিপাড়া মহিলা মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়নি।
সবশেষে বৃহস্পতিবার হাদিস শরীফ বিষয়ের পরীক্ষায়ও তারা অনুপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট মাদরাসা প্রধান জানিয়েছেন, করোনা মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সব পরীক্ষার্থীদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
জানা গেছে, এ বছর বাগাতিপাড়া উপজেলার পেড়াবাড়িয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ৫টি মাদরাসার পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষা অংশ নিচ্ছে। এসব মাদরাসার মোট ৯৮ জন শিক্ষার্থীর ওই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। কিন্তু প্রতিদিন কেন্দ্রে ৮৩ জন উপস্থিত হয়। অনুপস্থিত ১৫ পরীক্ষার্থীর সবগুলোই বাগাতিপাড়া মহিলা মাদরাসার শিক্ষার্থী। ওই মাদরাসা থেকে এ বছর মোট ১৫ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। কিন্তু কেউই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। মাদরাসা সুপার ওই সব শিক্ষার্থীর প্রবেশ পত্রও সংগ্রহ করেছেন।
কেন্দ্র সচিব ইব্রাহিম হোসাইন জানান, তার কেন্দ্রের অধীনে ৫ টি মাদরাসার ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র পেয়ে সংশ্লিষ্ট সুপারদের কাছে সবগুলো বিতরণ করা হয়। সবশেষে বাগাতিপাড়া মহিলা মাদরাসা সুপারকে ১৫ জন পরীক্ষার্থীর সবগুলোর প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থী প্রতি ৩০০ টাকা কেন্দ্র ফি প্রদানের কথা থাকলেও ৪ হাজার ৫০০ টাকার পুরো ফি বকেয়া রেখে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছিল। এদিকে মানবিক গ্রুপের আল কোরআন এবং হাদিস শরীফ দুটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ওই মাদরাসা থেকে কেউ অংশ নেয়নি। এ বিষয়ে মাদরাসার সুপারের সাথে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি।
এবিষয়ে বাগাতিপাড়া মহিলা মাদরাসা সুপার আব্দুর রউফ বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিককে মুঠোফোনে জানান, চলতি বছরে তার মাদরাসা থেকে ১৫ জন পরিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারিতে সব ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কেউই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। তবে প্রবেশ পত্র পেয়ে এসব পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি তিনি গিয়ে ছাত্রীর পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেছিলেন। কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেয়নি।