উত্তরের জেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পদ্মপুরাণ বা মনসা গানের উৎসব!
- আপডেট সময় : ০৩:০৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে
উত্তরের জেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পদ্মপুরাণ বা মনসা গানের উৎসব!
কালের বিবর্তনে দিনদিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পদ্মপুরাণ বা মনসা গানের আসরগুলো। এক সময় এই পদ্মপুরাণ বা মনসা গানের ব্যাপক দর্শক প্রিয়তা ছিল দেশের উত্তরের জেলা নাটোরে। গানের সঙ্গে সঙ্গে অসাধরণ নৃত্য ও সংলাপে এসেছে গদ্যছন্দে। মা মনসা ও নাগের জন্ম, দেবতার তুষ্টি, স্বামীভক্তি আর ভালোবাসার কাহিনীই হলো আবহমান বাংলার ভাসান গানের উপজীব্য। প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত চারদিন ব্যাপী নিজ বাড়িতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ভট্টপাড়া গ্রামের শ্রী বিমান ঘোষ।
রবিবার মোট ১১ থেকে ১২ জন শিল্পী পদ্মপুরাণ গান ও গীতিনাট্য পরিবেশন করেছেন। এতে প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে নারী সেজে পুরুষদের অভিনয়ে দুর-দুরান্তর থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার শতশত শ্রোতাদর্শক এই গান শুনে মুগ্ধ হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের বেহুলা-লখীন্দর ও শিব-পার্বতী কিশোরী মেয়েদের বর-কনে সাজিয়ে বিয়ের অসাধারণ মুহূর্তটা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলেন।
গানের শিল্পী জেকের আলী ও শিমুল বলেন, পদ্নপুরাণ মূলত বেহুলা আর লখীন্দরের গীতনাট্য। কোন ব্যাক্তি বা পরিবার মনের আশা পূরনের জন্য করে। তবে আগের মত এই গান আর হয়না।
স্থানীয় এলাকাবাসী সনজিৎ, জয়দেব, নিপেন চন্দ্রসহ অনেকে জানান, আমরা সেই উঠতি বয়সে এ গান শুনেছিলাম। আগে গ্রামে এ গানগুলো বেশ হতো। এখন আর হয় না। অনেক বছর পর এখানে দেখে ভালই লাগলো। তারা আরও জানান, সাধারণত মাঠের ফসল ওঠার পর রাত জেগে এটি পরিবেশন করা হয়। এলাকাভেদে এই গানের নাম আলাদা আলাদা। অঞ্চল ভেদে এ গানের নাম পদ্মপুরাণ গান, পদ্মার নাচন, বেহুলার নাচাড়ি, কান্দনী বিষহরির গান নামে পরিচিত।