ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্রাইয়ে আইসক্রিম বিক্রি করেই চলে নিপেন চন্দ্র সাহার সংসার!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আত্রাইয়ে আইসক্রিম বিক্রি করেই চলে নিপেন চন্দ্র সাহার সংসার!

কামাল উদ্দিন টগর, সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
উত্তর জনপদের শষ্যভান্ডার জেলা নওগাঁ। এ জেলার ধান কাটা মারা মৌসুমে কাকডাকা সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুরু হয় নিপেন চন্দ্রের জীবনের তাগিদে বিভিন্ন গ্রামে অলিগলি, স্কুল,কলেজ, হাসপাতাল, রেলস্টেশন ঘুরে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন নিপেন চন্দ্র সাহা। নিপেন চন্দ্র সাহা পার্শ্ববতী উপজেলার কাতিলা মাধাইমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। এই তীব্র রোদ, তার পর ভ্যাপসা গরম। দুইয়ে মিলে যায় যায় অবস্থা। ঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গায়ের ঘামে ভিজে যায় পড়নের কাপড়। এ অবস্থায় সামান্য স্বস্তি খোঁজতে মড়িয়া আত্রাইবাসী। অনেকেই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বেঁছে নেন ঠান্ডা তোমল পানীয়। আবার অনেকের ভরসা আইসক্রিম। তাই প্রত্যেক বছর এপ্রিলে শুরু থেকে বেড়ে যায় আইক্রিমের চাহিদা। ব্যতিক্রম হয়নি এ বছরও।

এক দুপুরে উপজেলার সাহেবগঞ্জ পালপাড়ায় দেখা হয় নিপেন চন্দ্র সাহার সাথে। আলাপ চারিতায় তিনি বলেন, শীত, গরম, রোদ,বৃষ্টি যাই হোক না কেন তাকে জীবনের তাগিদে আইসক্রিম বিক্রি করতে যেতেই হবে। না হলে সংসার চলবে কি করে? এক প্রশ্নের জবাবে নিপেন্ চন্দ্র সাহা বলেন, অতিযত্ন সহকারে রুচি সম্মত আমি নিজে তৈরি করি আইসক্রিম। এতে দুধ, চিনি, এলাচ, বাদাম, কিসমিচ আর গরম মসল্লার মিশ্রনে তৈরি হয় আইসক্রিম। স্বাদের সঙ্গে সুঘ্রাণেরও যে নিবিড় সম্পর্ক আছে, সেটা তুলার মতো নরম আইসক্রিম কামুড় দিলে স্বাদ নিতে পারেন। স্বাদের সঙ্গে সুঘ্রাণেরও যে নিবিড় একটা সম্পর্ক আছে, সেটা তুলার মতো নরম আইসক্রিমে কামড় দিয়ে স্বাধ নিতে পারেন যে কেউ। তাই শীত, গরম মৌসুমেও নিপেন চন্দ্র সাহার আইসক্রিম বেশ জনপ্রিয়। তিনি আরো বলেন, গত২০ বছর ধরে আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। সারা বছর আইসক্রিম বিক্রি করলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কম হয়।

আইসক্রিম কিনতে আসা সাহেবগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মতিন মন্ডল নামের এক ক্রেতা বলেন,য খন স্কুলে পড়তাম প্রতিদিন বাবা-মায়ের কাছে বায়না ধরতাম আইসক্রিম খাওয়ার জন্য। স্কুলের সামনে বসতো আইসক্রিম ওয়ালা, ওখান থেকে অনেক আইসক্রিম খাওয়া হয়েছে তবে এখন আর আইসক্রিম কেনা হয় না।এখন আগের মতো আইসক্রিম বিক্রেতাদের রাস্তা-ঘাটে দেখাও যায় না। মালিপুকুর গ্রামের আজাদ আলী বলেন ,গরীব হলেও নিপেন চন্দ্র সাহা খুব সৎ মানুষ। কষ্ট করলেও তার মুখে সব সময় হাসি লেগেই থাকে। সব সময় পরিপাটি থাকা মিষ্টিভাষী এই মানুষটি কখনও কারও ক্ষতি করেন নাই। তাই এলাকার মানুষও তাকে খুব পছন্দ করেন, ভালোবাসে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আত্রাইয়ে আইসক্রিম বিক্রি করেই চলে নিপেন চন্দ্র সাহার সংসার!

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

আত্রাইয়ে আইসক্রিম বিক্রি করেই চলে নিপেন চন্দ্র সাহার সংসার!

কামাল উদ্দিন টগর, সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
উত্তর জনপদের শষ্যভান্ডার জেলা নওগাঁ। এ জেলার ধান কাটা মারা মৌসুমে কাকডাকা সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুরু হয় নিপেন চন্দ্রের জীবনের তাগিদে বিভিন্ন গ্রামে অলিগলি, স্কুল,কলেজ, হাসপাতাল, রেলস্টেশন ঘুরে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন নিপেন চন্দ্র সাহা। নিপেন চন্দ্র সাহা পার্শ্ববতী উপজেলার কাতিলা মাধাইমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। এই তীব্র রোদ, তার পর ভ্যাপসা গরম। দুইয়ে মিলে যায় যায় অবস্থা। ঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গায়ের ঘামে ভিজে যায় পড়নের কাপড়। এ অবস্থায় সামান্য স্বস্তি খোঁজতে মড়িয়া আত্রাইবাসী। অনেকেই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বেঁছে নেন ঠান্ডা তোমল পানীয়। আবার অনেকের ভরসা আইসক্রিম। তাই প্রত্যেক বছর এপ্রিলে শুরু থেকে বেড়ে যায় আইক্রিমের চাহিদা। ব্যতিক্রম হয়নি এ বছরও।

এক দুপুরে উপজেলার সাহেবগঞ্জ পালপাড়ায় দেখা হয় নিপেন চন্দ্র সাহার সাথে। আলাপ চারিতায় তিনি বলেন, শীত, গরম, রোদ,বৃষ্টি যাই হোক না কেন তাকে জীবনের তাগিদে আইসক্রিম বিক্রি করতে যেতেই হবে। না হলে সংসার চলবে কি করে? এক প্রশ্নের জবাবে নিপেন্ চন্দ্র সাহা বলেন, অতিযত্ন সহকারে রুচি সম্মত আমি নিজে তৈরি করি আইসক্রিম। এতে দুধ, চিনি, এলাচ, বাদাম, কিসমিচ আর গরম মসল্লার মিশ্রনে তৈরি হয় আইসক্রিম। স্বাদের সঙ্গে সুঘ্রাণেরও যে নিবিড় সম্পর্ক আছে, সেটা তুলার মতো নরম আইসক্রিম কামুড় দিলে স্বাদ নিতে পারেন। স্বাদের সঙ্গে সুঘ্রাণেরও যে নিবিড় একটা সম্পর্ক আছে, সেটা তুলার মতো নরম আইসক্রিমে কামড় দিয়ে স্বাধ নিতে পারেন যে কেউ। তাই শীত, গরম মৌসুমেও নিপেন চন্দ্র সাহার আইসক্রিম বেশ জনপ্রিয়। তিনি আরো বলেন, গত২০ বছর ধরে আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। সারা বছর আইসক্রিম বিক্রি করলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কম হয়।

আইসক্রিম কিনতে আসা সাহেবগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মতিন মন্ডল নামের এক ক্রেতা বলেন,য খন স্কুলে পড়তাম প্রতিদিন বাবা-মায়ের কাছে বায়না ধরতাম আইসক্রিম খাওয়ার জন্য। স্কুলের সামনে বসতো আইসক্রিম ওয়ালা, ওখান থেকে অনেক আইসক্রিম খাওয়া হয়েছে তবে এখন আর আইসক্রিম কেনা হয় না।এখন আগের মতো আইসক্রিম বিক্রেতাদের রাস্তা-ঘাটে দেখাও যায় না। মালিপুকুর গ্রামের আজাদ আলী বলেন ,গরীব হলেও নিপেন চন্দ্র সাহা খুব সৎ মানুষ। কষ্ট করলেও তার মুখে সব সময় হাসি লেগেই থাকে। সব সময় পরিপাটি থাকা মিষ্টিভাষী এই মানুষটি কখনও কারও ক্ষতি করেন নাই। তাই এলাকার মানুষও তাকে খুব পছন্দ করেন, ভালোবাসে।