ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীশংকৈলে সমাজসেবার পুনর্বাসনে পাল্টে গেছে ভিক্ষুকদের জীবন প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে পঞ্চগড় কালেক্টর স্কুল জয়ী মান্দায় ইউএনওর অফিসের সামনে দোকান বসিয়ে কৃষকের প্রতিবাদ রাণীশংকৈলে ডেভিল হান্ট অপারেশনে গ্রেফতার দুই গুলশানের বিলাসবহুল ভবনের বাসিন্দাদের তালিকায় টিউলিপের নাম পঞ্চগড়ে ২৪ টি দোকানে ঝুলছে তালা হতাশ ব্যবসায়ীরা গোদাগাড়ীতে ভাষার মাসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরুষ্কার বিতরণ রাজশাহীতে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু বাগাতিপাড়ায় আ’লীগকে সংগঠিত করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয় ভাংচুর রাণীনগরে নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠায় মতবিনিময় সভা

আগাম সবজি চাষে লাভবান চাষী হাকিম!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

আগাম সবজি চাষ করে চাষীরা লাভোবান হচ্ছেন

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগাম সবজি চাষে লাভবান চাষী হাকিম!

সবুজ হোসেন রাজা, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আগাম সবজি চাষে লাভবান চাষী হাকিম! এ বছর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় লাউ, শসা ও ক্ষিরার মত আগাম সবজির চাষ হয়েছে। আগাম সবজির চাষ করে কৃষক যেমন লাভবান হয় তেমনি গ্রামীণ জীবনে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের গাড়াদহ গ্রামে কৃষকের জমিতে শোভা পাচ্ছে মাচায় ঝুলে থাকা অসংখ্য লাউ। প্রতি ১০০ পিচ লাউ ২ হাজার ৩ শত থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে । এই দাম পেয়ে কৃষক খুশি।

কৃষক আঃ হাকিম জানান, গত বছর তিনি ২০ শতাংশ জমিতে লাউয়ের চাষ করে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছিলাম। তিনি আরো বলেন, জমি প্রস্ত্তত করা থেকে মাচা তৈরি, লেবারসহ অন্যান্য খরচ মিলে আমার প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। সবমিলে আমার ঐ জমি থেকে আমি ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ করেছিলাম। এ বছর আমি ৭২ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছি। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে আশাকরি ১ লাখ ৫০ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবো।

লাউয়ের জমি পরিদর্শনে এসে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ এহসানুল হক বলেন, আমরা চাষীদের উচ্চমূল্যের ফসলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি যেন কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদেরকে উচ্চমূল্যের ফসলের উৎপাদনে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছে।
সেই সাথে তা যেন নিরাপদ থাকে সেজন্য আমরা কৃষকের মাঠে ‘‘পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন’’ প্রকল্প থেকে প্রদর্শনী দিয়েছি। তাদেরকে ভার্মি কম্পোষ্ট, সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ, আঠালো ফাঁদ ইত্যাদির ব্যবহার শিখিয়েছি। কৃষক এগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে বলে এই ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মনে করেন। উপজেলায় ৬ হেক্টর জমিতে লাউয়ের চাষ হয়েছে। আগামী বছর এর চাষ আরো বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগাম সবজি চাষে লাভবান চাষী হাকিম!

আপডেট সময় : ১০:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২

আগাম সবজি চাষে লাভবান চাষী হাকিম!

সবুজ হোসেন রাজা, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আগাম সবজি চাষে লাভবান চাষী হাকিম! এ বছর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় লাউ, শসা ও ক্ষিরার মত আগাম সবজির চাষ হয়েছে। আগাম সবজির চাষ করে কৃষক যেমন লাভবান হয় তেমনি গ্রামীণ জীবনে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের গাড়াদহ গ্রামে কৃষকের জমিতে শোভা পাচ্ছে মাচায় ঝুলে থাকা অসংখ্য লাউ। প্রতি ১০০ পিচ লাউ ২ হাজার ৩ শত থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে । এই দাম পেয়ে কৃষক খুশি।

কৃষক আঃ হাকিম জানান, গত বছর তিনি ২০ শতাংশ জমিতে লাউয়ের চাষ করে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছিলাম। তিনি আরো বলেন, জমি প্রস্ত্তত করা থেকে মাচা তৈরি, লেবারসহ অন্যান্য খরচ মিলে আমার প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। সবমিলে আমার ঐ জমি থেকে আমি ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ করেছিলাম। এ বছর আমি ৭২ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছি। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে আশাকরি ১ লাখ ৫০ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবো।

লাউয়ের জমি পরিদর্শনে এসে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ এহসানুল হক বলেন, আমরা চাষীদের উচ্চমূল্যের ফসলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি যেন কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদেরকে উচ্চমূল্যের ফসলের উৎপাদনে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছে।
সেই সাথে তা যেন নিরাপদ থাকে সেজন্য আমরা কৃষকের মাঠে ‘‘পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন’’ প্রকল্প থেকে প্রদর্শনী দিয়েছি। তাদেরকে ভার্মি কম্পোষ্ট, সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ, আঠালো ফাঁদ ইত্যাদির ব্যবহার শিখিয়েছি। কৃষক এগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে বলে এই ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মনে করেন। উপজেলায় ৬ হেক্টর জমিতে লাউয়ের চাষ হয়েছে। আগামী বছর এর চাষ আরো বাড়বে।