ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামীতে ট্যাগিংয়ের রাজনীতি চলবে না: শিবির সেক্রেটারি

এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামীতে ট্যাগিংয়ের রাজনীতি চলবে না: শিবির সেক্রেটারি

আগামীতে কোনো ধরনের ট্যাগিংয়ের রাজনীতি চলবে না বলে জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়া রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার ইসলামী ছাত্রশিবিরের অনুষ্ঠিত সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিবির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “গত ১৫ বছর ফ্যাসিজম কায়েমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে যেটি বেশি ভূমিকা রেখেছে তা ছিল ট্যাগিংয়ের রাজনীতি। কথায় কথায় ‘রাজাকার’। তার বাবারই জন্ম হয়নি ৭১ সালে সে সন্তানকে আপনি ‘রাজাকার’ বলেন। কথায় কথায় ‘শিবির’। কেমন শিবির? নামাজ পড়লে শিবির। দাঁড়ি রাখছে এজন্য সে শিবির। টাকনুর ওপরে প্যান্ট পরে এজন্য শিবির। মেয়েদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করে না এজন্য সে শিবির। মাদকাসক্ত হয় না এজন্য সে শিবির। কত নির্মম এই রাষ্ট্র!”

বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা দেখেছি একবার হরতাল চলাকালে জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিশ্বজিৎ নামের একজনকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মিডিয়ার সামনে। সারাবিশ্ব দেখেছে সেই চিত্র। তাদের (হত্যাকারীদের) অভিযোগ ছিল বিশ্বজিৎ শিবিরের হিন্দু শাখার সদস্য। কতটা হাস্যকর, কত নির্মম!”

তিনি বলেন, আবরার ফাহাদ পানি সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলেছিল। তাকে ‘শিবির’ আখ্যায়িত করে সাপের মতো পিটিয়ে পিটিয়ে মেরেছে। সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের যদি চিত্র এই হয়। এটি দুই একটি ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না। বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে, প্রতিটি অলিতে-গলিতে, ক্যাম্পাসের প্রতিটি রুমে রুমে, হলে হলে এ ধরনের হাজার হাজার গল্প লুকায়িত আছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন দিয়ে দুর্নীতি নির্মুল সম্ভব নয়। হযরত ওমরের শাসন আমলের চিত্র দেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হলে শ্রমিকের ইচ্ছা প্রতিফলিত হবে।

মহানগর শিবিরের সভাপতি সিফাত আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের আমীর ডা. মওলানা কেরামত আলী, শিবিরের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন, মহানগর যুব বিভাগের সভাপতি জসিম উদ্দিন সরকার সহ জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগামীতে ট্যাগিংয়ের রাজনীতি চলবে না: শিবির সেক্রেটারি

আপডেট সময় : ১২:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আগামীতে ট্যাগিংয়ের রাজনীতি চলবে না: শিবির সেক্রেটারি

আগামীতে কোনো ধরনের ট্যাগিংয়ের রাজনীতি চলবে না বলে জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়া রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার ইসলামী ছাত্রশিবিরের অনুষ্ঠিত সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিবির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “গত ১৫ বছর ফ্যাসিজম কায়েমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে যেটি বেশি ভূমিকা রেখেছে তা ছিল ট্যাগিংয়ের রাজনীতি। কথায় কথায় ‘রাজাকার’। তার বাবারই জন্ম হয়নি ৭১ সালে সে সন্তানকে আপনি ‘রাজাকার’ বলেন। কথায় কথায় ‘শিবির’। কেমন শিবির? নামাজ পড়লে শিবির। দাঁড়ি রাখছে এজন্য সে শিবির। টাকনুর ওপরে প্যান্ট পরে এজন্য শিবির। মেয়েদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করে না এজন্য সে শিবির। মাদকাসক্ত হয় না এজন্য সে শিবির। কত নির্মম এই রাষ্ট্র!”

বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা দেখেছি একবার হরতাল চলাকালে জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিশ্বজিৎ নামের একজনকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মিডিয়ার সামনে। সারাবিশ্ব দেখেছে সেই চিত্র। তাদের (হত্যাকারীদের) অভিযোগ ছিল বিশ্বজিৎ শিবিরের হিন্দু শাখার সদস্য। কতটা হাস্যকর, কত নির্মম!”

তিনি বলেন, আবরার ফাহাদ পানি সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলেছিল। তাকে ‘শিবির’ আখ্যায়িত করে সাপের মতো পিটিয়ে পিটিয়ে মেরেছে। সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের যদি চিত্র এই হয়। এটি দুই একটি ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না। বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে, প্রতিটি অলিতে-গলিতে, ক্যাম্পাসের প্রতিটি রুমে রুমে, হলে হলে এ ধরনের হাজার হাজার গল্প লুকায়িত আছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন দিয়ে দুর্নীতি নির্মুল সম্ভব নয়। হযরত ওমরের শাসন আমলের চিত্র দেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হলে শ্রমিকের ইচ্ছা প্রতিফলিত হবে।

মহানগর শিবিরের সভাপতি সিফাত আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের আমীর ডা. মওলানা কেরামত আলী, শিবিরের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন, মহানগর যুব বিভাগের সভাপতি জসিম উদ্দিন সরকার সহ জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।