ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার পঞ্চগড়ে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল রাণীশংকৈলে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র উদ্বার, মাদক কারবারির ১ বছর কারাদণ্ড দেবীগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করেছে কৃষক নাটোরে জিয়া পরিষদ ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহীতে অস্ত্র মামলার ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদকসহ গ্রেপ্তার দিনাজপুরে কেবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ’র মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল রাণীনগরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত বাগাতিপাড়ায় ফারিয়া’র নির্বাচনে নিজের ভোটও না পাওয়া প্রার্থী এবার হলেন সভাপতি দরিদ্র্যতা দমাতে পারেনি জুঁইকে, এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫, স্বপ্ন দেখেন ডাক্তার হওয়ার

অস্থায়ী মাছ বাজারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১ ৩৩২ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও শহরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন একটি মাছের বাজার। শহরের প্রাণকেন্দ্র অস্থায়ীরুপে গড়ে উঠা এই মাছ বাজরটি গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে বেশকিছু সরকারি ও পাবলিক প্রতিষ্ঠান, সাধারণ বাসিন্দা সহ সেই মাছ ব্যবসায়ীদের জন্যেও।
জানাযায়, দেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনার প্রকোপ বাড়ার পর ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ির মাছ বাজারটি সরিয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে স্থানান্তর করে জেলা প্রশাসন। যেখানে এই বাজারটি স্থানান্তর করা হয় তার সাথেই পাবলিক লাইব্রেরি, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব এবং মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনের অবস্থান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই সাধারণত এই মাছবাজারের রাস্তাটি ব্যবহার করে।এছাড়াও একটি বালিকা বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষেই এই বাজারটি।
করোনার প্রভাব কমার পর থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাজারের মাছ ব্যবসায়ী, এমনকি সাধারণ বাসিন্দারা বার বার জেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করে। কিন্তু বাজারটি সরিয়ে আগের অবস্থানে নেওয়ার কোনো উদ্যােগ না নেওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সকলে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজ্জাক জানান, মাছের বাজারটি এখানে স্থানান্তরের সময়ই স্থান নির্বাচনে আপত্তি প্রকাশ করেছিলো শহরের বাসিন্দারা। কারন এমন একটি স্থানে মাছ বাজারটা বেশ বেমানান দেখাচ্ছিল। তবে এখনতো পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই আমি নিজেও বাজারটি সরিয়ে আগের স্থানে নেওয়ার অনুরোধ করেছি। তবুও তারা কোনো উদ্যােগ নিচ্ছেনা।
বাজারের মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল জানান, আমরা এখানে থাকতে চাচ্ছিনা। এখানে দোকান করে তেমন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছেনা। অবিক্রীত মাছ সংরক্ষণে সমস্যা হচ্ছে। পানি ফেলার নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই এখানে। তাই আমরা আগের স্থানে ফিরে যাবার আবেদন করেছি। প্রশাসন অনুমিত দিলেই আমরা চলে যাবো।
ঠাকুরগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, আমাদের বাচ্চারা এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসতেছে। মাছের পানির দুর্গন্ধ তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষতিকর। সেই দুর্গন্ধ স্কুলের ভিতরেও আসছে। তাই দ্রুতই এই বাজারটি সরানো উচিত।
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু বলেন, মাছের বাজরটির অবস্থান জেলার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মাঝেই। এটা দেখতে যেমন খারাপ লাগছে। তেমনি মাছের পানির দুর্গন্ধে এই রাস্তা ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে পরেছে। আমি একাধিকবার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। কিন্তু এক রকম অলসতায় তারা কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুব হোসেন জানান, করোনার কারনে বাজারটি অস্থায়ী ভাবে সেখানে নেওয়া হয়েছে। সমস্যা গুলো নিয়ে অনেকেই আমাকে জানিয়েছে। দ্রুতই বাজারটি সরিয়ে আগের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অস্থায়ী মাছ বাজারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা

আপডেট সময় : ০৩:০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও শহরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন একটি মাছের বাজার। শহরের প্রাণকেন্দ্র অস্থায়ীরুপে গড়ে উঠা এই মাছ বাজরটি গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে বেশকিছু সরকারি ও পাবলিক প্রতিষ্ঠান, সাধারণ বাসিন্দা সহ সেই মাছ ব্যবসায়ীদের জন্যেও।
জানাযায়, দেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনার প্রকোপ বাড়ার পর ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ির মাছ বাজারটি সরিয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে স্থানান্তর করে জেলা প্রশাসন। যেখানে এই বাজারটি স্থানান্তর করা হয় তার সাথেই পাবলিক লাইব্রেরি, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব এবং মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনের অবস্থান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই সাধারণত এই মাছবাজারের রাস্তাটি ব্যবহার করে।এছাড়াও একটি বালিকা বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষেই এই বাজারটি।
করোনার প্রভাব কমার পর থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাজারের মাছ ব্যবসায়ী, এমনকি সাধারণ বাসিন্দারা বার বার জেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করে। কিন্তু বাজারটি সরিয়ে আগের অবস্থানে নেওয়ার কোনো উদ্যােগ না নেওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সকলে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজ্জাক জানান, মাছের বাজারটি এখানে স্থানান্তরের সময়ই স্থান নির্বাচনে আপত্তি প্রকাশ করেছিলো শহরের বাসিন্দারা। কারন এমন একটি স্থানে মাছ বাজারটা বেশ বেমানান দেখাচ্ছিল। তবে এখনতো পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই আমি নিজেও বাজারটি সরিয়ে আগের স্থানে নেওয়ার অনুরোধ করেছি। তবুও তারা কোনো উদ্যােগ নিচ্ছেনা।
বাজারের মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল জানান, আমরা এখানে থাকতে চাচ্ছিনা। এখানে দোকান করে তেমন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছেনা। অবিক্রীত মাছ সংরক্ষণে সমস্যা হচ্ছে। পানি ফেলার নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই এখানে। তাই আমরা আগের স্থানে ফিরে যাবার আবেদন করেছি। প্রশাসন অনুমিত দিলেই আমরা চলে যাবো।
ঠাকুরগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, আমাদের বাচ্চারা এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসতেছে। মাছের পানির দুর্গন্ধ তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষতিকর। সেই দুর্গন্ধ স্কুলের ভিতরেও আসছে। তাই দ্রুতই এই বাজারটি সরানো উচিত।
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু বলেন, মাছের বাজরটির অবস্থান জেলার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মাঝেই। এটা দেখতে যেমন খারাপ লাগছে। তেমনি মাছের পানির দুর্গন্ধে এই রাস্তা ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে পরেছে। আমি একাধিকবার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। কিন্তু এক রকম অলসতায় তারা কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুব হোসেন জানান, করোনার কারনে বাজারটি অস্থায়ী ভাবে সেখানে নেওয়া হয়েছে। সমস্যা গুলো নিয়ে অনেকেই আমাকে জানিয়েছে। দ্রুতই বাজারটি সরিয়ে আগের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।